প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ— উভয় কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সৈয়দ তাহের বলেন, সংসদে উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি, পিআর হতে হবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ— উভয় কক্ষেই। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব।
পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে সংসদীয় আসনভিত্তিক দলীয় প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় না। বরং কোনো একটি দল নির্বাচনে সারা দেশে যে পরিমাণ ভোট পায়, সেই ভোটের অনুপাতে সংসদের আসনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
পিআর পদ্ধতিতে আসনভিত্তিক প্রার্থীও দেওয়া হয় না। বরং নির্বাচন হয় কেবল দলীয় প্রতীকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে কোনো দল যদি সারা দেশে ১০ শতাংশ ভোট পায়, সেই দলের প্রতীক এককভাবে কোনো আসনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সংসদে ৩০টি আসন পাবে।
জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন ও সংসদে জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা যাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাই। কারণ ৫৪ বছরের নির্বাচনের পদ্ধতিতে আমরা দেখেছি, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন (ফেয়ার ইলেকশন) কখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এসেছে। একেক দল একেক পদ্ধতিতে পিআর প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে। কোনো দল কেবল সংসদের উচ্চকক্ষের জন্য পিআর চেয়েছে, কোনো কোনো দল দুই কক্ষের জন্যই পিআর চেয়েছে।
এখন পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নিম্নকক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের পাশাপাশি উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দল একমত হয়েছে। জামায়াতের নায়েবে আমিরের ভাষ্য, তারা দুই কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে ভোটের জন্য আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে।
এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলেও মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। সৈয়দ তাহের বলেন, জামায়াত ইসলামী সবসময় নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তারিখের ব্যাপারে জামায়াতে মৌলিক কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমরা আগে থেকেই বলেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে।
সবশেষ তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
দলটির নায়েবে আমির বলেন, অতীতে তিনটি নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তাতে নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কাটা কাটেনি। সে জন্য সরকারকে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। আমরা সিইসিকে বলেছি, নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। উনি আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, তার দিক থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। আমরা সিইসির ওপর আস্থা রাখতে চাই।
এই নির্বাচনের আগে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও জানান তাহের। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো আনফেয়ার ইলেকশন দেখতে চায় না। এ রকম কিছু হলে এ দেশের মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে। কোনো দখলীয় নির্বাচন এ দেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না।
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ— উভয় কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সৈয়দ তাহের বলেন, সংসদে উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি, পিআর হতে হবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ— উভয় কক্ষেই। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব।
পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এই পদ্ধতিতে নির্বাচনে সংসদীয় আসনভিত্তিক দলীয় প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয় না। বরং কোনো একটি দল নির্বাচনে সারা দেশে যে পরিমাণ ভোট পায়, সেই ভোটের অনুপাতে সংসদের আসনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়।
পিআর পদ্ধতিতে আসনভিত্তিক প্রার্থীও দেওয়া হয় না। বরং নির্বাচন হয় কেবল দলীয় প্রতীকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে কোনো দল যদি সারা দেশে ১০ শতাংশ ভোট পায়, সেই দলের প্রতীক এককভাবে কোনো আসনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সংসদে ৩০টি আসন পাবে।
জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই কেবল সুষ্ঠু নির্বাচন ও সংসদে জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করা যাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা পিআর পদ্ধতিতে ভোট চাই। কারণ ৫৪ বছরের নির্বাচনের পদ্ধতিতে আমরা দেখেছি, এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন (ফেয়ার ইলেকশন) কখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেই এসেছে। একেক দল একেক পদ্ধতিতে পিআর প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে। কোনো দল কেবল সংসদের উচ্চকক্ষের জন্য পিআর চেয়েছে, কোনো কোনো দল দুই কক্ষের জন্যই পিআর চেয়েছে।
এখন পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নিম্নকক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের পাশাপাশি উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি দল একমত হয়েছে। জামায়াতের নায়েবে আমিরের ভাষ্য, তারা দুই কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে ভোটের জন্য আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে।
এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলেও মনে করছে জামায়াতে ইসলামী। সৈয়দ তাহের বলেন, জামায়াত ইসলামী সবসময় নির্বাচনের পক্ষে। ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে, সেই তারিখের ব্যাপারে জামায়াতে মৌলিক কোনো আপত্তি নেই। কারণ আমরা আগে থেকেই বলেছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে।
সবশেষ তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জামায়াত।
দলটির নায়েবে আমির বলেন, অতীতে তিনটি নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তাতে নির্বাচন নিয়ে মানুষের শঙ্কাটা কাটেনি। সে জন্য সরকারকে অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। আমরা সিইসিকে বলেছি, নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। উনি আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন, তার দিক থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন। আমরা সিইসির ওপর আস্থা রাখতে চাই।
এই নির্বাচনের আগে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও জানান তাহের। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো আনফেয়ার ইলেকশন দেখতে চায় না। এ রকম কিছু হলে এ দেশের মানুষ আবারও রাস্তায় নামবে। কোনো দখলীয় নির্বাচন এ দেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশি নির্যাতনসহ নানা প্রতিহিংসামূলক হামলায় ৭,১৮৮ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০৯ জন গুমের শিকার, তার মধ্যে অনেকে এখনো ফিরে আসেননি, তারা আমার মতো সৌভাগ্যবান নয়। ২,৬৯৩ জন বিচারবহির্ভূত
১ দিন আগেএরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, ‘সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। যখন ছাত্রসংগঠনগুলো সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠন করেছিল, তখন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এখন যদি আসল কথা বলি, অনেকের সাংগঠনিক শক্তি, জনশক্তি আমার বি
১ দিন আগেআজ রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় আধাঘণ্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
১ দিন আগেস্বৈরাচার সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার এ দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তা আবার পুনর্গঠন করবে বিএনপি। সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।’
১ দিন আগে