
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

[১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম পশ্চিম পাকিস্তান সফর করেন। ওই সফরে তিনি লাহোরের সাপ্তাহিক জিন্দেগির প্রতিনিধিকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয় দৈনিক সংগ্রামে। রাজনীতি ডটকমের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি পুনর্প্রকাশ করা হলো। ছাপা সাক্ষাৎকারটির বানান ও বাক্যরীতি অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। পাঠের সুবিধার্থে কেবল দীর্ঘ অনুচ্ছেদগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।]
সওয়াল: পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি কিরূপ? আপনি কি সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকীকরণে সরকারের রাজনৈতিক পদক্ষেপে নিশ্চিন্ত?
আপনি কি ৮৮ জন পরিষদ সদস্যের সদস্যপদ বহাল করাকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলবেন?
জওয়াব: বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। আমার মতে, সামরিক পদক্ষেপ ছিল অপরিহার্য। কিন্তু কতিপয় প্রশ্ন এমন রয়েছে, আমার কাছে যেগুলোর কোন জবাব নেই। আপনার সম্ভবত জানা আছে যে, তাদের ১৯৬১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাজতন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতার শ্লোগান দিয়েছিল। সামরিক আদালতের পক্ষ থেকে তাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ক্ষমা করে দেওয়ায় জন্য প্রেসিডেন্টের নিকট এক তারবার্তা প্রেরণ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট সাহেব ঢাকা গমন করেন এবং তাদের ক্ষমার কথা ঘোষণা করেন। পরে এসব ছাত্রই প্রকাশ্য জনসভায় আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছিল যে আমরা কবে ক্ষমা চেয়েছি?
আমি জিজ্ঞেস করছি যে, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্য কথা বলেছে তাদের ক্ষমা করার মধ্যে কি যৌক্তিকতা ছিল?
মওলানা ভাসানী নির্বাচনের পরিস্থিতি পূর্বে মশিয়র রহমানের সঙ্গে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান সফর করে বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন পরিচালনা করেন। এ দু’জন লোকের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত সরকারীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এবং তার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করা হয়নি। এরূপ নরম ব্যবহারের কারণ কি ছিল ও রয়েছে?
শেখ মুজিবুর রহমান ২৫শে মার্চের আগে কখনো বিচ্ছিন্নতার কথা বলেননি, কিন্তু মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার শ্লোগান দেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানকে ওয়ালাইকুমুস সালাম জানান। অপরাধ যদি একই ধরনের ছিল তবে উভয়ের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করা হলো কেন? আমাকে জানানো হোক, এবং আমাকেই শুধু নয়— এ দেশের জনগণকে জানানো হোক কেন সামরিক পদক্ষেপ পর্যন্ত পৌঁছুতে হয়েছিল?

শুরু থেকেই কি এ বিদ্রোহকে দমন করা যেত না? ২৫শে মার্চ-এর পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা ছিল এদেশের মাটি রক্ষা করার জন্য, এদেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। এর আগেই অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল না কি?
এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ণ বিজয় লাভ করেন এবং তথাকথিত বাংলাদেশের সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ২৪শে মে করাচীতে প্রেসিডেন্টের সাংবাদিক সম্মেলনের পর তাদের মনে পুনরায় আশার সঞ্চার হয়।
পূর্ব পাকিস্তানী জনগণের অধিকাংশই যাদের শেখ মুজিবের আসল উদ্দেশ্য জানা ছিল না তাঁরা শীগগিরই সেনাবাহিনীর সহযোগিতার জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু যখন তারা জানতে পারেন যে, আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতাসীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে তখন তারা সহযোগিতা করতে ইতস্ততঃ শুরু করেন।
সওয়াল: আপনার মতে বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের কতিপয় পরিষদ সদস্যের সদস্যপদ বহাল করা ছাড়া কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল?
জওয়াব: আমি পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসী, আর পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী প্রত্যেক দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ এ সাক্ষ্য দেবেন যে, এরূপ পরিষদ সদস্যের সংখ্যা কিছুতেই ২০/২২ জনের অধিক হবে না যারা বিদ্রোহাত্মক তৎপরতায় জড়িত ছিলেন না এবং নীরবতা অবলম্বন, ভালো-মন্দ না বলাই শ্রেয় মনে করেছেন। আমি মনে করি না যে সরকার এ সত্য সম্পর্কে অনবহিত রয়েছেন। পরিষদ ভেঙ্গে দেয়াই ছিল নীতি এবং পরিস্থিতি ও সাহসিকতার তাগিদ। কিন্তু তা না করে যা কিছু করা হয়েছে শীগগিরই তার ফলাফল প্রকাশ হয়ে পড়বে।
সওয়াল: কতিপয় আওয়ামী লীগ সদস্যের সদস্য পদ বহাল রাখার ব্যাপারে আপনার কি নীতিগত পার্থক্য রয়েছে নাকি এমন কোন প্রমাণ রয়েছে যাতে বুঝা যায় যে মূলতঃই তারা দলের বিদ্রোহাত্মক তৎপরতার অংশীদার ছিলেন।
জওয়াব: নীতিগত পার্থক্যও রয়েছে। কিন্তু এর প্রমাণও রয়েছে যে তাদের অধিকাংশই বিদ্রোহাত্মক তৎপরতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এখন তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতে রয়েছেন এবং সেখানে দুষ্কৃতিকারীদের ট্রেনিং দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠাচ্ছেন।

নাম তো অনেকই রয়েছে, যদি সরকার নিজের সূত্রের মাধ্যমে জানতে না পারেন তবে তালিকাও দেয়া যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ আবদুল মালেক উকিল এবং কুমিল্লার ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর উল্লেখ করছি। এরা ভারতে থেকে দুষ্কৃতিকারীদের ট্রেনিং দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাঠানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এদের কি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে উপবিষ্ট হওয়ার অধিকার রয়েছে?
যাদের কাজ জনগণকে নিশ্চিন্ত করা তারাই যদি এরূপ পদক্ষেপের দ্বারা জনগণকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেয় তাহলে যে কি হবে তা আমি বলতে পারি না।
সওয়াল: পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমানে বা নিকট ভবিষ্যতে কি উপনির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠবে?
জওয়াব: সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নির্বাচনী অভিযান চলতে পারে না। শেখ মুজিবের মোকদ্দমার বিলম্ব এবং অধুনালুপ্ত দলের পরিষদ সদস্যদের আসনে বহাল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস বৃদ্ধি করে দিয়েছে। আমি আশঙ্কা করছি যে, যেখানে সেনাবাহিনী ও রেজাকার বাহিনী নেই সেখানে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করবে, তার বাড়ীঘর লুট করবে ও জালিয়ে পুড়িয়ে দেবে।
এ পরিস্থিতি থেকে উপকৃত হয়ে তারা আবার বলতে শুরু করেছে যে, তথাকথিত বাংলাদেশ শীগগিরই একটি বাস্তব সত্যে পরিণত হবে। কোন কোন এলাকায় অবস্থা এরূপ রয়েছে যে, পাকিস্তান রেডিও শুনতেই দেয়া হয় না। কোলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ রেডিও অনবরত প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব কারণে নিকট ভবিষ্যতে উপনির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। জামায়াতের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই করা হবে।

[১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম পশ্চিম পাকিস্তান সফর করেন। ওই সফরে তিনি লাহোরের সাপ্তাহিক জিন্দেগির প্রতিনিধিকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষাৎকারটি ছাপা হয় দৈনিক সংগ্রামে। রাজনীতি ডটকমের পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি পুনর্প্রকাশ করা হলো। ছাপা সাক্ষাৎকারটির বানান ও বাক্যরীতি অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে। পাঠের সুবিধার্থে কেবল দীর্ঘ অনুচ্ছেদগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।]
সওয়াল: পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি কিরূপ? আপনি কি সেখানে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকীকরণে সরকারের রাজনৈতিক পদক্ষেপে নিশ্চিন্ত?
আপনি কি ৮৮ জন পরিষদ সদস্যের সদস্যপদ বহাল করাকে রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলবেন?
জওয়াব: বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন। আমার মতে, সামরিক পদক্ষেপ ছিল অপরিহার্য। কিন্তু কতিপয় প্রশ্ন এমন রয়েছে, আমার কাছে যেগুলোর কোন জবাব নেই। আপনার সম্ভবত জানা আছে যে, তাদের ১৯৬১ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাজতন্ত্রীরা আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে বিচ্ছিন্নতার শ্লোগান দিয়েছিল। সামরিক আদালতের পক্ষ থেকে তাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু এক বিবৃতির মাধ্যমে তারা উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ক্ষমা করে দেওয়ায় জন্য প্রেসিডেন্টের নিকট এক তারবার্তা প্রেরণ করেন। পরে প্রেসিডেন্ট সাহেব ঢাকা গমন করেন এবং তাদের ক্ষমার কথা ঘোষণা করেন। পরে এসব ছাত্রই প্রকাশ্য জনসভায় আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছিল যে আমরা কবে ক্ষমা চেয়েছি?
আমি জিজ্ঞেস করছি যে, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে যারা প্রকাশ্য কথা বলেছে তাদের ক্ষমা করার মধ্যে কি যৌক্তিকতা ছিল?
মওলানা ভাসানী নির্বাচনের পরিস্থিতি পূর্বে মশিয়র রহমানের সঙ্গে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান সফর করে বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন পরিচালনা করেন। এ দু’জন লোকের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত সরকারীভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এবং তার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করা হয়নি। এরূপ নরম ব্যবহারের কারণ কি ছিল ও রয়েছে?
শেখ মুজিবুর রহমান ২৫শে মার্চের আগে কখনো বিচ্ছিন্নতার কথা বলেননি, কিন্তু মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার শ্লোগান দেন এবং পশ্চিম পাকিস্তানকে ওয়ালাইকুমুস সালাম জানান। অপরাধ যদি একই ধরনের ছিল তবে উভয়ের সঙ্গে ভিন্ন আচরণ করা হলো কেন? আমাকে জানানো হোক, এবং আমাকেই শুধু নয়— এ দেশের জনগণকে জানানো হোক কেন সামরিক পদক্ষেপ পর্যন্ত পৌঁছুতে হয়েছিল?

শুরু থেকেই কি এ বিদ্রোহকে দমন করা যেত না? ২৫শে মার্চ-এর পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা ছিল এদেশের মাটি রক্ষা করার জন্য, এদেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। এর আগেই অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল না কি?
এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ণ বিজয় লাভ করেন এবং তথাকথিত বাংলাদেশের সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু ২৪শে মে করাচীতে প্রেসিডেন্টের সাংবাদিক সম্মেলনের পর তাদের মনে পুনরায় আশার সঞ্চার হয়।
পূর্ব পাকিস্তানী জনগণের অধিকাংশই যাদের শেখ মুজিবের আসল উদ্দেশ্য জানা ছিল না তাঁরা শীগগিরই সেনাবাহিনীর সহযোগিতার জন্য অগ্রসর হন। কিন্তু যখন তারা জানতে পারেন যে, আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতাসীন হবার সম্ভাবনা রয়েছে তখন তারা সহযোগিতা করতে ইতস্ততঃ শুরু করেন।
সওয়াল: আপনার মতে বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের কতিপয় পরিষদ সদস্যের সদস্যপদ বহাল করা ছাড়া কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল?
জওয়াব: আমি পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসী, আর পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী প্রত্যেক দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ এ সাক্ষ্য দেবেন যে, এরূপ পরিষদ সদস্যের সংখ্যা কিছুতেই ২০/২২ জনের অধিক হবে না যারা বিদ্রোহাত্মক তৎপরতায় জড়িত ছিলেন না এবং নীরবতা অবলম্বন, ভালো-মন্দ না বলাই শ্রেয় মনে করেছেন। আমি মনে করি না যে সরকার এ সত্য সম্পর্কে অনবহিত রয়েছেন। পরিষদ ভেঙ্গে দেয়াই ছিল নীতি এবং পরিস্থিতি ও সাহসিকতার তাগিদ। কিন্তু তা না করে যা কিছু করা হয়েছে শীগগিরই তার ফলাফল প্রকাশ হয়ে পড়বে।
সওয়াল: কতিপয় আওয়ামী লীগ সদস্যের সদস্য পদ বহাল রাখার ব্যাপারে আপনার কি নীতিগত পার্থক্য রয়েছে নাকি এমন কোন প্রমাণ রয়েছে যাতে বুঝা যায় যে মূলতঃই তারা দলের বিদ্রোহাত্মক তৎপরতার অংশীদার ছিলেন।
জওয়াব: নীতিগত পার্থক্যও রয়েছে। কিন্তু এর প্রমাণও রয়েছে যে তাদের অধিকাংশই বিদ্রোহাত্মক তৎপরতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। এখন তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতে রয়েছেন এবং সেখানে দুষ্কৃতিকারীদের ট্রেনিং দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠাচ্ছেন।

নাম তো অনেকই রয়েছে, যদি সরকার নিজের সূত্রের মাধ্যমে জানতে না পারেন তবে তালিকাও দেয়া যেতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ আবদুল মালেক উকিল এবং কুমিল্লার ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর উল্লেখ করছি। এরা ভারতে থেকে দুষ্কৃতিকারীদের ট্রেনিং দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান পাঠানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এদের কি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে উপবিষ্ট হওয়ার অধিকার রয়েছে?
যাদের কাজ জনগণকে নিশ্চিন্ত করা তারাই যদি এরূপ পদক্ষেপের দ্বারা জনগণকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেয় তাহলে যে কি হবে তা আমি বলতে পারি না।
সওয়াল: পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমানে বা নিকট ভবিষ্যতে কি উপনির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠবে?
জওয়াব: সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যার কারণে নির্বাচনী অভিযান চলতে পারে না। শেখ মুজিবের মোকদ্দমার বিলম্ব এবং অধুনালুপ্ত দলের পরিষদ সদস্যদের আসনে বহাল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহস বৃদ্ধি করে দিয়েছে। আমি আশঙ্কা করছি যে, যেখানে সেনাবাহিনী ও রেজাকার বাহিনী নেই সেখানে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করবে, তার বাড়ীঘর লুট করবে ও জালিয়ে পুড়িয়ে দেবে।
এ পরিস্থিতি থেকে উপকৃত হয়ে তারা আবার বলতে শুরু করেছে যে, তথাকথিত বাংলাদেশ শীগগিরই একটি বাস্তব সত্যে পরিণত হবে। কোন কোন এলাকায় অবস্থা এরূপ রয়েছে যে, পাকিস্তান রেডিও শুনতেই দেয়া হয় না। কোলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ রেডিও অনবরত প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব কারণে নিকট ভবিষ্যতে উপনির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে না। পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। জামায়াতের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই করা হবে।

দলের পক্ষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘তফসিল ঘোষণায় সব সন্দেহ দূর হয়েছে। এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াত। এর মাধ্যমে সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।’
১৮ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল বলেন, তফসিলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ একটি কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করেছে, যে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে এ দেশের জনগণ জীবন বাজি রেখে লড়াই-সংগ্রাম করেছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২১ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমান খুব শিগগিরই আমাদের মাঝে আসবেন। আমাদের নেতা যেদিন আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন, বাংলাদেশে পা দেবেন, সেদিন সমগ্র বাংলাদেশ যেন কেঁপে ওঠে। সেদিন গোটা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দেবে বিএনপি। ‘বাংলাদেশকে একটি মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের নেতার যে চিন্তাভাবনা, তাকে বাস্ত
২১ ঘণ্টা আগে