
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা। একইসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা রাজনীতি ডটকমকে তার পদত্যাগের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তাসনিম জারা নিজেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, এদিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তাসনিম জারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন।
পোস্টে তাসনিম জারা লিখেন, ‘প্রিয় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসী,আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। খিলগাঁওয়েই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করবো।’
পোস্টে তাসনিম জারা আরো বলেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোন দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সে সব কিছুই থাকবে না। আমার একমাত্র ভরসা আপনারা। আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা, নিষ্ঠা, এবং নতুন রাজনীতি করার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রেক্ষিতে আপনারা যদি স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাবো ‘
এনসিপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাসনিম জারা অত্যন্ত প্রভাবশালী অবস্থানে ছিলেন। তিনি কেবল দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিবই ছিলেন না, বরং দলটির ১০ সদস্যের 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র সেক্রেটারি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নে তার সরাসরি ভূমিকা ছিল। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রীর হঠাৎ পদত্যাগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দলটির অভ্যন্তরে বড় ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সাথে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়ার খবর আসার পর থেকেই দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর ভেতরে আদর্শিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের একটি অংশ এই জোটের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করছে, যা তৃণমূল পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। তাসনিম জারার পদত্যাগ এই ফাটলকেই আরও প্রকাশ্যে নিয়ে এলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালানো এই নেত্রী এখন কোনো দলীয় পরিচয় ছাড়াই ঢাকা-৯ আসন থেকে লড়বেন।
নিজের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনকে দায়ী করে তাসনিম জারা তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, "আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" দলীয় অবকাঠামো বা সুরক্ষা না থাকলেও জনগণের সমর্থনের ওপর ভর করেই তিনি নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তাসনিম জারার এই প্রস্থান এনসিপির নির্বাচনী পরিকল্পনায় বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন তিনি নিজেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান একজন ব্যক্তি ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা। একইসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির শীর্ষস্থানীয় এক নেতা রাজনীতি ডটকমকে তার পদত্যাগের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তাসনিম জারা নিজেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, এদিন সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তাসনিম জারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন।
পোস্টে তাসনিম জারা লিখেন, ‘প্রিয় খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদাবাসী,আমি আপনাদের ঘরের মেয়ে। খিলগাঁওয়েই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করবো।’
পোস্টে তাসনিম জারা আরো বলেন, ‘একটা দলের প্রার্থী হলে সেই দলের স্থানীয় অফিস থাকে, সুসংগঠিত কর্মী বাহিনী থাকে। সরকার ও প্রশাসনের সাথে নিরাপত্তা বা অন্যান্য বিষয়ে আপত্তি ও শঙ্কা নিয়ে কথা বলার সুযোগ থাকে। তবে আমি যেহেতু কোন দলের সাথে থাকছি না, তাই আমার সে সব কিছুই থাকবে না। আমার একমাত্র ভরসা আপনারা। আপনাদের মেয়ে হিসেবে আমার সততা, নিষ্ঠা, এবং নতুন রাজনীতি করার অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রেক্ষিতে আপনারা যদি স্নেহ ও সমর্থন দেন, তবেই আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পাবো ‘
এনসিপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাসনিম জারা অত্যন্ত প্রভাবশালী অবস্থানে ছিলেন। তিনি কেবল দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিবই ছিলেন না, বরং দলটির ১০ সদস্যের 'কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি'র সেক্রেটারি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নে তার সরাসরি ভূমিকা ছিল। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রীর হঠাৎ পদত্যাগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দলটির অভ্যন্তরে বড় ধরনের অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার জন্ম দিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সাথে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়ার খবর আসার পর থেকেই দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোর ভেতরে আদর্শিক বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দলের একটি অংশ এই জোটের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করছে, যা তৃণমূল পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। তাসনিম জারার পদত্যাগ এই ফাটলকেই আরও প্রকাশ্যে নিয়ে এলো বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতদিন ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালানো এই নেত্রী এখন কোনো দলীয় পরিচয় ছাড়াই ঢাকা-৯ আসন থেকে লড়বেন।
নিজের এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনকে দায়ী করে তাসনিম জারা তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, "আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।" দলীয় অবকাঠামো বা সুরক্ষা না থাকলেও জনগণের সমর্থনের ওপর ভর করেই তিনি নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তাসনিম জারার এই প্রস্থান এনসিপির নির্বাচনী পরিকল্পনায় বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন তিনি নিজেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান একজন ব্যক্তি ছিলেন।

এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপির সদস্য কাজী শাহ আলম, নাসিম উদ্দিন নাসিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার, জাসাস নাটোর জেলা শাখার আহ্বায়ক মেহেদি হাসান, সদস্যসচিব আব্দুল খালেকসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি। তালিকাটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দলের বেশ কয়েকজন পরিচিত ও হেভিওয়েট নেতার নাম এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
পিলখানা ট্র্যাজেডিতে শহিদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১২ ঘণ্টা আগে
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
১৩ ঘণ্টা আগে