সরাসরি

বুধবার সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন স্বামীর কবরের পাশে

০৬: ৩৬

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুসহ অন্যান্য বিষয়ে জানাতে বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল বুধবার একদিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় শুরুতেই তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোক বই খোলা হবে।

সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।

মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা হবে। পরে তাকে শহিদ রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।

মঙ্গলবারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যেন তিনি আমাদের সঙ্গে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তার দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’

স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার ও আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তার উদ্বেগ ছিল।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তার উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

০৬: ২৫

জিয়াউর রহমানের পাশে শায়িত হবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর জিয়া উদ্যানে তার স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হতে পারে।

০৬: ২১

বুধবার দুপুরে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জানাজা খালেদা জিয়ার

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা হবে আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর)। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ জানাজা হবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে দলের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ দিন উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি সবাইকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

০৬: ১৬

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি মহান অভিভাবককে হারিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি মহান অভিভাবককে হারিয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মঙ্গলবার দুপুুর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি একজন মহান অভিভাবককে হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, আজ আমাদের পুরো জাতি গভীর শোক ও বেদনায় নিস্তব্ধ। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। তার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। তার মৃত্যুতে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারিয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এই গভীর শোকের মুহুর্তে তিনি খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, তার দলের রাজনৈতিক সহকর্মী এবং অগণিত কর্মী-সমর্থকের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানান। আল্লাহর কাছে তিনি প্রার্থনা করেন— তিনি যেন আমাদের সবাইকে এই গভীর শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দান করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক পরম মহিমান্বিত ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অসামান্য ভূমিকা ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার আপসহীন নেতৃত্ব বারবার জাতিকে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়েছে এবং মুক্তির প্রেরণা জুগিয়েছে।

দেশ ও জাতির প্রতি খালেদা জিয়ার সমুজ্জ্বল অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে তার অবিচল ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন একজন মহান, দূরদর্শী ও নিখাদ দেশপ্রেমিক নেত্রীর শূন্যতা পূরণ হবার নয়।

এই শোকাবহ মুহূর্তে আপনাদের সবার প্রতি প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে মহান আল্লাহর দরবারে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। একই সঙ্গে জাতির এই কঠিন সময়ে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি। শোকের এই সময়ে কেউ যেন অস্থিতিশীলতা বা নাশকতার অপচেষ্টা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে আমি সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সময়ে আমাদের সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা অত্যন্ত জরুরি।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক ও সাধারণ ছুটির ঘোষণা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক এবং আগামীকাল (বুধবার) তার জানাজার দিনে একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছি। জানাজাসহ সব ধরনের শোক পালনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি সবার প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমি জানি, আপনারা সবাই এই সময়ে অনেক আবেগাপ্লুত। আমি আশা করছি, শোকের এই সময়ে আপনারা ধৈর্যের পরিচয় দেবেন এবং তার জানাজাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা পালনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ধৈর্য, শক্তি ও ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা দিন।

০৬: ০৭

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, বুধবার জানাজার দিনে সাধারণ ছুটি

দেশের প্রথম প্রধান নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

একই সঙ্গে আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) তার জানাজার দিনে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

০৫: ৪৯

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মোদি-শেহবাজের সমবেদনা, বিভিন্ন দেশের শোকবার্তা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ ছাড়া ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনও শোক প্রকাশ করেছে।

শোকবার্তায় খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্মরণ করেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের উন্নয়ন ও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান চিরকাল স্মরণীয় থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে মোদি আশা প্রকাশ করেন, খালেদা জিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ভবিষ্যতেও দুই দেশের অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

শেহবাজ শরিফ শোকবার্তায় বলেছেন, খালেদা জিয়া আজীবন অবদান রেখেছেন এবং দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি পাকিস্তানের একজন নিবেদিত বন্ধু ছিলেন।

শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানের জনগণ এই দুঃখের মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমাদের চিন্তাভাবনা ও প্রার্থনা তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তার আত্মার শান্তি দান করুন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ইসহাক দার বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ছিলেন, যিনি চীনের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন ছিলেন এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিকাশে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্ব, সমতা ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে সর্বাঙ্গীন সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় উল্লেক করে ওয়াং ই চীন সরকার চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে উচ্চভাবে মূল্যায়ন করে বলে উল্লেখ করেছেন।

এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে জার্মান দূতাবাস বলছে, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রনায়ক, সাবেক ফার্স্ট লেডি ও দীর্ঘকালীন বিএনপি চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়ার অবদান স্মরণীয়। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন।

জার্মান দূতাবাস তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের বৈঠকের স্মৃতিও তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৪ সালে ঢাকায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জশকা ফিশারের সঙ্গে বৈঠক ও ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি ক্রিশ্চিয়ান উলফের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় অনুষ্ঠিত আলোচনার কথা। জার্মানি খালেদা জিয়ার জাতীয় জীবনে অবদানকে সম্মান জানিয়েছে এবং তার পরিবার, রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।

ঢাকায় ফরাসি দূতাবাস এক শোকবার্তায় জানিয়েছে, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই শোকের সময় তার পরিবার, রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তার স্থায়ী প্রভাব স্মরণীয় থাকবে।

যুক্তরাজ্য হাইকমিশনও খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত দুঃখিত।’

অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক বার্তায় লিখেছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী, নেত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমাদের চিন্তা ও সমবেদনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে।’

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিশনও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে। ইইউ বলেছে, ‘খালেদা জিয়ার জীবন ও নেতৃত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বিশেষ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

০৫: ২৫

দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যু এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে দিকনির্দেশনা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

০৫: ২৩

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জকসু নির্বাচন স্থগিত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনের নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম।

আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা ছিল। ভোরে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর জানার পর জরুরিভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সভা ডেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

০৫: ২১

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: মির্জা ফখরুল
মঙ্গলবার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশ ও বিশ্ব রাজনীতির গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর চলে যাওয়া শুধু দলের জন্যই নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য এক অস্বাভাবিক ও অপূরণীয় ক্ষতি, যা কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সংবাদটি নিয়ে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে— এটা আমরা কখনো ভাবিনি। আমরা এবারও আশা করছিলাম, ঠিক আগের মতোই আবারও তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমরা মহা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। এরই মধ্যে আপনারা শুনেছেন ড. শাহাবুদ্দিনের ঘোষণা। আজ ভোর ৬টায় আমাদের গণতন্ত্রের মা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের জাতির অভিভাবক আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে… ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইল্লা ইলাইহি রাজিউন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই শোক, এই ক্ষতি এটা অস্বাভাবিক-অপূরণীয়। এই জাতি কোনোদিন এটা পূরণ করতে পারবে না। যে নেত্রী তার সারাজীবন জনগণের অধিকারের জন্য, কল্যাণের জন্য, তার সমগ্র জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন, সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে নেই। এটা আমরা তার সহকর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মী, আমরা ভাবতে পারি না।

‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো। শুধু তাই নয়, গণতান্ত্রিক পৃথিবীর গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটা বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের ফোন করেছিলেন। এরই মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১০টায় তারা একটি স্পেশাল কেবিনেট মিটিং (উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক) করবেন। সেখানে তারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যে শেষ কাজগুলো, তার জানাজা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া— এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। এরপর আমরা পুরো জিনিসটাকে কো-অর্ডিনেট করে আবার সেটা আপনাদের সামনে জানাব।

০৫: ১৫

খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, তার মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা গভীর শোক জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারাল। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, খালেদা জিয়া কেবল একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার রাজনৈতিক অবদান, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের প্রতি তার যে গভীর মমতা, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার আপসহীন নেতৃত্বের ফলে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে জাতি বারবার মুক্ত হয়েছে, মুক্তির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। দেশ ও জাতির প্রতি তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও জাতির কল্যাণে খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব ও দৃঢ় মনোবল সবসময় পথ দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত রাজনীতিককে হারাল।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন, যিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে আসা খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে প্রধান ভূমিকা রাখে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খালেদা জিয়ার বহু কর্ম ও সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। তিনি মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক জীবনে বেগম খালেদা জিয়া ভীষণভাবে সফল ছিলেন। তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে তিনি পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেখানেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।

অ্যধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে তিনি দেশের অর্থনীতির একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেন। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তার আপোষহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।

রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দীর্ঘদিন কারাবাস করতে হয়েছিল।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। জাতির এই অপূরণীয় ক্ষতির দিনে তিনি দেশবাসীকে শান্ত থাকার ও ধৈর্য ধারণের আহ্বানও জানান। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

০৫: ১০

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক ও দোয়া

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক ও দোয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির লিখেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপরে রহম করুন, ক্ষমা করুন এবং তার প্রিয় জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।

শফিকুর রহমান আরও লেখেন, তার আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদেরকে মহান আল্লাহ সবরে জামিল দান করুন। আমিন।

০৫: ০১

বিএনপির ৭ দিনের শোক, সব কার্যালয়ে শোক বই

বিএনপির ৭ দিনের শোক, সব কার্যালয়ে শোক বই
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে দলের পক্ষ থেকে ৭ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ছবি: বিএনপির মিডিয়া সেল

দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে শোক বই খোলা রাখবে দলটি।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর জানানোর পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

প্রাথমিকভাবে নেওয়া কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে— মঙ্গলবার থেকে আগামী একসপ্তাহ দলটির সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ সময়ে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন দলের নেতাকর্মীরা।

কর্মসূচি ঘোষণার প্রাক্কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এগুলো আমাদের প্রাথমিক কর্মসূচি। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

০৫: ০১

খালেদা জিয়ার জীবনাবসান

খালেদা জিয়ার জীবনাবসান

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর নেই। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে খালেদা জিয়া তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজপথের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘আপসনহীন নেত্রী’। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।