প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
অন্তবর্তীকালীন সরকার ‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে কৃষক দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
আগামী সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ পাওয়ার খবর দিয়ে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ভাবটা আমরা বুঝছি এ রকম, আনুষ্ঠানিকতা আর আলোচনার কোনো কমতি নেই, কিন্তু কাজের কাজ নিয়ে কোনো খবর নেই। ২ তারিখে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার আবার শুভ উদ্বোধন হবে। প্রথম পর্যায়ে আলোচনার একবার উদ্বোধন করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার উদ্বোধন করবেন, তৃতীয় পর্যায়ে গিয়ে আপনারা এবার আবার এটা একত্র করবেন। এভাবে আপনারা আমাদের সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন!’
এ মাসের মাসের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনার’ বিষয়টি সামনে আসার পর গত ২৪ মে রাতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ইউনূস। পরদিন আরো কয়েকটি দলের নেতাদের বৈঠক করেন ইউনূস। এসব আলোচনায় নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে দলগুলো নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রূপরেখা চেয়ে এলেও প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, “সংস্কার হবে, সংস্কার আমাদের প্রধানত এজেন্ডা, তার চাইতেও বেশি বিচার। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল, সবাইকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা।
“কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে এই ডিসেম্বরের মধ্যে দেবেন বলে আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সামনে। পরবর্তিতে আপনি সরে গেলেন, সেই কাজটি ঠিক করেননি।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নাই, আপনার সামনে যুক্তি নাই। কেন আপনি ডিসেম্বরের বাইরে যেয়ে নির্বাচন দেবেন, সেটার পক্ষে একটিও যুক্তি নাই।
“কিন্তু শুধু বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন, ডিসেম্বর থেকে জুন’, যেন আছর করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে দেশের মানুষের দাবি। সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা জাতির সামনে উন্মুক্ত করবেন, যদি ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি যুক্তিও তাদের কাছে থাকে, সেটা যেন তারা প্রকাশ করে।”
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট ‘বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লবে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, “যারা আমরা নির্বাচন চাই, যারা আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে চাই এবং গণতন্ত্রের কথা বলি, নির্বাচনের কথা বলি, গণমানুষের কথা বলি তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছি কুচক্রি মহলের দৃষ্টিতে।
“কারণ তারা চায় না বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক, তারা চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির ভিত্তি, তারা চায় এদেশ সবসময় বিদেশ নির্ভর হোক। তারা আমাদেরকে দেশদ্রোহী এবং অন্যান্য দেশের এজেন্ট বানাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, আমাদের ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধেও কুৎসা রটনা করছে।”
কৃষকদলের নেতা-কর্মীদের ‘অনলাইনে অ্যাক্টিভিটি’ বাড়িয়ে কুচক্রিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বলেন সালাহ উদ্দিন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা যে বৈষ্যমহীন সমাজ নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করেছি, আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে ত্যাগ স্বীকার করেছি, আজীবন সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আমরা সেই ঐক্যকে কেন যেন নষ্ট করতে চাচ্ছি। কিছু কিছু শক্তি গণতান্ত্রিক শক্তিসূহের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, কৃষকদলের আবুল বাশার আখন্দ, নাছির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সাল, আসলাম মিয়াসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকার ‘সংস্কারের কলা দেখাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে কৃষক দলের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
আগামী সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ পাওয়ার খবর দিয়ে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ভাবটা আমরা বুঝছি এ রকম, আনুষ্ঠানিকতা আর আলোচনার কোনো কমতি নেই, কিন্তু কাজের কাজ নিয়ে কোনো খবর নেই। ২ তারিখে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার আবার শুভ উদ্বোধন হবে। প্রথম পর্যায়ে আলোচনার একবার উদ্বোধন করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে আবার উদ্বোধন করবেন, তৃতীয় পর্যায়ে গিয়ে আপনারা এবার আবার এটা একত্র করবেন। এভাবে আপনারা আমাদের সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন!’
এ মাসের মাসের মাঝামাঝি প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগ ভাবনার’ বিষয়টি সামনে আসার পর গত ২৪ মে রাতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ইউনূস। পরদিন আরো কয়েকটি দলের নেতাদের বৈঠক করেন ইউনূস। এসব আলোচনায় নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে দলগুলো নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের রূপরেখা চেয়ে এলেও প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, “সংস্কার হবে, সংস্কার আমাদের প্রধানত এজেন্ডা, তার চাইতেও বেশি বিচার। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল, সবাইকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা।
“কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে এই ডিসেম্বরের মধ্যে দেবেন বলে আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সামনে। পরবর্তিতে আপনি সরে গেলেন, সেই কাজটি ঠিক করেননি।”
সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নাই, আপনার সামনে যুক্তি নাই। কেন আপনি ডিসেম্বরের বাইরে যেয়ে নির্বাচন দেবেন, সেটার পক্ষে একটিও যুক্তি নাই।
“কিন্তু শুধু বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন, ডিসেম্বর থেকে জুন’, যেন আছর করেছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে দেশের মানুষের দাবি। সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা জাতির সামনে উন্মুক্ত করবেন, যদি ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি যুক্তিও তাদের কাছে থাকে, সেটা যেন তারা প্রকাশ করে।”
জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট ‘বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লবে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
সালাহউদ্দিন বলেন, “যারা আমরা নির্বাচন চাই, যারা আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে চাই এবং গণতন্ত্রের কথা বলি, নির্বাচনের কথা বলি, গণমানুষের কথা বলি তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হয়ে গেছি কুচক্রি মহলের দৃষ্টিতে।
“কারণ তারা চায় না বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক, তারা চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তির ভিত্তি, তারা চায় এদেশ সবসময় বিদেশ নির্ভর হোক। তারা আমাদেরকে দেশদ্রোহী এবং অন্যান্য দেশের এজেন্ট বানাতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, আমাদের ছেলে-সন্তানদের বিরুদ্ধেও কুৎসা রটনা করছে।”
কৃষকদলের নেতা-কর্মীদের ‘অনলাইনে অ্যাক্টিভিটি’ বাড়িয়ে কুচক্রিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বলেন সালাহ উদ্দিন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা যে বৈষ্যমহীন সমাজ নির্মাণের জন্য সংগ্রাম করেছি, আজীবন গণতন্ত্রের পক্ষে ত্যাগ স্বীকার করেছি, আজীবন সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আমরা সেই ঐক্যকে কেন যেন নষ্ট করতে চাচ্ছি। কিছু কিছু শক্তি গণতান্ত্রিক শক্তিসূহের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, কৃষকদলের আবুল বাশার আখন্দ, নাছির হায়দার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, মামুনুর রশীদ খান, এসএম ফয়সাল, আসলাম মিয়াসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মানববন্ধন হবে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে। পরদিন বুধবার (১৫ অক্টোবর) একই কর্মসূচি পালন করা হবে দেশের সব জেলা সদরে।
১৯ ঘণ্টা আগেএছাড়া, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান তিনি। নির্বাচনের আগে পুরো তিন মাস প্রচারণাকাজে অংশ নিতে চান। দেশে ফেরার পথে ওমরাহ করে ফিরবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এখন দেশে ফেরার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তারেক র
২ দিন আগেতিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
২ দিন আগে