দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে : মির্জা ফখরুল

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৯

বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যতই সময় যাচ্ছে ততই বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার করে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলছে।

রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে রেখেছিল। সেই অবস্থা থেকে দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। এরপরই ইতিহাসে শুরু হয় বাংলাদেশের সাফল্যের নতুন অধ্যায়।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এবং দ্রুতই দেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যান, যেখানে পূর্বে যেভাবে বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলা হতো, সেখান থেকে তিনি দেশকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্তে তুলে ধরেন। তার আমলেই শুরু হয় বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ- একটি ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক ক্ষণজন্মা পুরুষ। আমরা সবাই জানি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অকুতোভয় সেই সামরিক কর্মকর্তা ঘোষণা দেন- ‘I hereby declare the independence of Bangladesh.’ এর পরের পাঁচ বছর ছিল আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তখন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল। সেই সময় বাংলাদেশে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে ১৯৭৪ সালে ঘটে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যেখানে লাখ লাখ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। তৎকালীন অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তীব্র গতিতে রসাতলে যাচ্ছে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, আজ তারই উত্তরসূরি তারেক রহমানও সুদূর প্রবাস থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই আজ অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান- জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের রাজনৈতিক ও জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমরা এ দিনটিকে স্মরণ করি। কারণ এর মধ্য দিয়েই জেগে ওঠে জাতির চেতনা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই দর্শনকে সামনে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব- গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের পথে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিএনপিকে দেওয়া ‘ব্যক্তিগত আশ্বাসে’ নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণের উদ্বেগ, এনসিপির চিঠি

রোববার (২ নভেম্বর) দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তরে। চিঠিতে উপদেষ্টার অবস্থানকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

৫ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সংকটের দায় অন্তর্বর্তী সরকারের: মঞ্জু

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। সংস্কারটা কত কঠিন বুঝতে পারছেন? অনেকে বলেন লৌকিক সংস্কারের লাভ কী? সংস্কার তো এভাবে একটা দুইটা করেই করতে হবে। দল যদি সংস্কার না হয়, রাজনীতি কীভাবে সংস্কার হবে?

৫ ঘণ্টা আগে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির কার্যক্রম ফের চালু

এতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনও প্রত্যক্ষ করিনি।

৬ ঘণ্টা আগে

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জামায়াতের

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করতেছেন এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। বিএনপিকে আহ্বান করবো একসঙ্গে বসার। আমরা আলোচনা করবো কীভাবে সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তৈরি হবে।’

৬ ঘণ্টা আগে