
বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ’সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘সামনের সময়গুলো খুব ভালো নয়। কঠিন সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকবার বলেছি, সামনে অনেক কঠিন সময় আসবে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হবে। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ কঠিন হবে। এখন নিশ্চয়ই আপনারা আমার কথার সত্যতা পাচ্ছেন।
তবে সবাই ঐক্য ধরে রাখুন। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দেবে ইনশাল্লাহ।’
আজ রোববার রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ছাত্রদলের অংশগ্রহণে বিএনপি’র ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবার অন্যতম উপায় হলো গণতন্ত্র গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। আমরা যদি এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবে অনেক ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব। তারপরও সামনে অনেক বাধা, অনেক কঠিন সময় আসবে। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজ করছে। বিএনপি সারা জীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছে। আগামীতেও সমস্ত ষড়যন্ত্র পাশ কাটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’
তারেক রহমান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমানে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বড় নেতারা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুরেই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। অথচ এই রাজনৈতিক দলের দুইজন সদস্য একসময় তাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস ছিলো বেগম খালেদা জিয়া সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। যে রাজনৈতিক দলটি বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের কথাবার্তা, কর্মকাণ্ডের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছে আগে অমুককে দেখলাম তমুককে দেখলাম, এবার তাদেরকে দেখেন। যাদেরকে দেখার কথা বলা হচ্ছে- তাদেরকে দেশের মানুষ একাত্তর সালেই দেখেছে। একাত্তর সালে তারা তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচারকে দেখেছিলো দেশের মানুষ। একাত্তরে তারা শুধু হত্যাই করেনি তাদের সহকর্মীরা মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল, এই কথাটি মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারাই আবার বিভিন্ন জিনিসের কনফরমেশন দিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যে জিনিসের মালিক আমি না সেই জিনিস দেয়ার কমিটমেন্ট আমি কীভাবে দেই? একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি এই পৃথিবীর বাইরে ও ভেতর সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ একমাত্র আল্লাহর হাতে। একজন মানুষ জান্নাতে যাবে কিনা সেটা নির্ধারণ করবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। এটা যদি আমি নির্ধারণ করতে যাই তাহলে তো সেটা ওপরওয়ালার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার সমান। এটা এক ধরনের শিরক। এসব নিয়ে যারা কথা বলে তারা শিরক করছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হবে একথা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝানো।’
দেশ গড়াই এই মুহূর্তে বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কথা অনেক হয়েছে এখন লক্ষ্য একটাই দেশকে গড়তে হবে। জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষ কবলিত দেশকে খাদ্য রফতানির দেশে পরিণত করেছিলেন। এর পরে দুর্নীতি নিমজ্জিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশকে বেগম খালেদা জিয়া উপরে উঠিয়ে এনেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছর অনেক আলাপ হয়েছে। অনেক সংস্কার আলাপ হয়েছে। যেগুলো সংস্কার নিয়ে আলাপ হয়েছে, সেখানে বিএনপির অনেক আলাপ করেছে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।’
বিএনপি বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বা কানাডা বানাতে চায় না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, তেমনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নেমে পড়তে হবে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচি নিয়ে দলের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে হবে। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা কি তা জানতে হবে, বুঝতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে দেশের কৃষক, শিক্ষক, ইমাম, নারী শিশু সহ দেশের মানুষের কল্যাণে বিএনপির কি করতে চায় সেই পরিকল্পনার কথা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ গড়ার পরিকল্পনা সফল করতে গেলে তরুণদের সামনে অনেক বাধা আসবে, তবে এদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে দেশ যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তখন বিএনপি ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি করেছে। আগামীতেও বাংলাদেশে একমাত্র বিএনপিই দুর্নীতির লাগাম টানতে পারবে। দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সব উন্নয়ন পরিস্থিতি পিছিয়ে যাবে। কথা দিচ্ছি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির লাগাম টানা হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো হবে।’
গত ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যায় আমার দলের মহাসচিব সাহেব আমাকে জানালেন জাতীয় সরকারের কথা। আমি তাকে জানাই- আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে নেব, তাদের কাছে যাব। আমি তখনই মনে করেছিলাম জাতীয় সরকারে আমরা যাব না। আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণের কাছে যাব।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছিল। তাদের সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যা ৩১ দফা নামে পরিচিত। আমাদের দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচির মধ্যে এসব বিষয়গুলো রয়েছে। আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হলে দেশ গড়তে কোন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা এখন অনেক গুরত্বপূর্ণ কাজ।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ’সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘সামনের সময়গুলো খুব ভালো নয়। কঠিন সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে অনেকবার বলেছি, সামনে অনেক কঠিন সময় আসবে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হবে। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ কঠিন হবে। এখন নিশ্চয়ই আপনারা আমার কথার সত্যতা পাচ্ছেন।
তবে সবাই ঐক্য ধরে রাখুন। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দেবে ইনশাল্লাহ।’
আজ রোববার রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ছাত্রদলের অংশগ্রহণে বিএনপি’র ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবার অন্যতম উপায় হলো গণতন্ত্র গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র। আমরা যদি এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবে অনেক ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব। তারপরও সামনে অনেক বাধা, অনেক কঠিন সময় আসবে। কারণ প্রতিটি ক্ষেত্রে অরাজকতা বিরাজ করছে। বিএনপি সারা জীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছে। আগামীতেও সমস্ত ষড়যন্ত্র পাশ কাটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’
তারেক রহমান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমানে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বড় নেতারা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুরেই বিএনপির বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। অথচ এই রাজনৈতিক দলের দুইজন সদস্য একসময় তাদের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস ছিলো বেগম খালেদা জিয়া সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। যে রাজনৈতিক দলটি বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের কথাবার্তা, কর্মকাণ্ডের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘কোনো কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছে আগে অমুককে দেখলাম তমুককে দেখলাম, এবার তাদেরকে দেখেন। যাদেরকে দেখার কথা বলা হচ্ছে- তাদেরকে দেশের মানুষ একাত্তর সালেই দেখেছে। একাত্তর সালে তারা তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে ঠিক যেভাবে পতিত স্বৈরাচারকে দেখেছিলো দেশের মানুষ। একাত্তরে তারা শুধু হত্যাই করেনি তাদের সহকর্মীরা মা বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল, এই কথাটি মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারাই আবার বিভিন্ন জিনিসের কনফরমেশন দিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু যে জিনিসের মালিক আমি না সেই জিনিস দেয়ার কমিটমেন্ট আমি কীভাবে দেই? একজন মুসলমান হিসেবে বিশ্বাস করি এই পৃথিবীর বাইরে ও ভেতর সকল কিছুর নিয়ন্ত্রণ একমাত্র আল্লাহর হাতে। একজন মানুষ জান্নাতে যাবে কিনা সেটা নির্ধারণ করবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। এটা যদি আমি নির্ধারণ করতে যাই তাহলে তো সেটা ওপরওয়ালার সঙ্গে পাল্লা দেয়ার সমান। এটা এক ধরনের শিরক। এসব নিয়ে যারা কথা বলে তারা শিরক করছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হবে একথা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বোঝানো।’
দেশ গড়াই এই মুহূর্তে বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কথা অনেক হয়েছে এখন লক্ষ্য একটাই দেশকে গড়তে হবে। জিয়াউর রহমান দুর্ভিক্ষ কবলিত দেশকে খাদ্য রফতানির দেশে পরিণত করেছিলেন। এর পরে দুর্নীতি নিমজ্জিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশকে বেগম খালেদা জিয়া উপরে উঠিয়ে এনেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘গত দেড় বছর অনেক আলাপ হয়েছে। অনেক সংস্কার আলাপ হয়েছে। যেগুলো সংস্কার নিয়ে আলাপ হয়েছে, সেখানে বিএনপির অনেক আলাপ করেছে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলে দেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।’
বিএনপি বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বা কানাডা বানাতে চায় না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশকে স্বাবলম্বী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ যেমন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে, তেমনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নেমে পড়তে হবে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচি নিয়ে দলের প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে হবে। বিএনপির কাছে মানুষের প্রত্যাশা কি তা জানতে হবে, বুঝতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে দেশের কৃষক, শিক্ষক, ইমাম, নারী শিশু সহ দেশের মানুষের কল্যাণে বিএনপির কি করতে চায় সেই পরিকল্পনার কথা তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশ গড়ার পরিকল্পনা সফল করতে গেলে তরুণদের সামনে অনেক বাধা আসবে, তবে এদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে দেশ যখন সংকটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তখন বিএনপি ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি করেছে। আগামীতেও বাংলাদেশে একমাত্র বিএনপিই দুর্নীতির লাগাম টানতে পারবে। দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে সব উন্নয়ন পরিস্থিতি পিছিয়ে যাবে। কথা দিচ্ছি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির লাগাম টানা হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো হবে।’
গত ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যায় আমার দলের মহাসচিব সাহেব আমাকে জানালেন জাতীয় সরকারের কথা। আমি তাকে জানাই- আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে নেব, তাদের কাছে যাব। আমি তখনই মনে করেছিলাম জাতীয় সরকারে আমরা যাব না। আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণের কাছে যাব।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছিল। তাদের সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যা ৩১ দফা নামে পরিচিত। আমাদের দেশ গড়ার পরিকল্পনা কর্মসূচির মধ্যে এসব বিষয়গুলো রয়েছে। আগামীতে জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হলে দেশ গড়তে কোন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা এখন অনেক গুরত্বপূর্ণ কাজ।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও আরেক যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে অগ্রযাত্রা কনভেনশন সেন্টারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা এবং দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির লক্ষ্য সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি রাজনৈতিক দল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’।
১১ ঘণ্টা আগে
আমীর খসরু বলেন, ‘স্মার্টফোনের সঠিক মূল্য এখনো দেওয়া সম্ভব হয়নি। অথচ আমরা একটা সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের গান শুনতে শুনতে বিরক্তির পর্যায়ে পৌঁছে গেছিলাম।’
১৪ ঘণ্টা আগে