প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় দেখতে চায় বিএনপি। দলটির প্রত্যাশা, এখন থেকেই সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনে নিয়োগ-পদোন্নতি-বদলিতেও নিরপেক্ষতার নীতি সরকার অনুসরণ করবে। বিএনপি নিরপেক্ষতার চর্চার দাবি জানিয়েছে বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কীভাবে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সব মহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়, সেটি ছিল আমাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে সে বিষয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি— এখন থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে পরিচালিত হয়। আমরা চাই যেন জনগণের আস্থা ফিরে আসে এবং প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
প্রশাসনে নিরপেক্ষতার চর্চার কথাও উল্লেখ করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ-প্রশাসনে এর আগে সরকারের ঘনিষ্ঠ ও দলীয় বিবেচনায় বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। জেলা প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছি।
পুলিশ বাহিনী প্রসঙ্গেও একই দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসনের মতো পুলিশ বাহিনীতেও নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা জরুরি। কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগে, বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনো অনেকে আছেন যাদের বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগে আছে। তাদের অপসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আমরা তুলে ধরেছি। বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও প্রধান উপদেষ্টার সামগ্রিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
বিএনপির বক্তব্য ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেছেন কি না— জানতে চাই মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ অবস্থায় পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। এ কারণেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এখন থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় দেখতে চায় বিএনপি। দলটির প্রত্যাশা, এখন থেকেই সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনে নিয়োগ-পদোন্নতি-বদলিতেও নিরপেক্ষতার নীতি সরকার অনুসরণ করবে। বিএনপি নিরপেক্ষতার চর্চার দাবি জানিয়েছে বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিশেষ করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কীভাবে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সব মহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়, সেটি ছিল আমাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু।
নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে সে বিষয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি— এখন থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে পরিচালিত হয়। আমরা চাই যেন জনগণের আস্থা ফিরে আসে এবং প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
প্রশাসনে নিরপেক্ষতার চর্চার কথাও উল্লেখ করেছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ-প্রশাসনে এর আগে সরকারের ঘনিষ্ঠ ও দলীয় বিবেচনায় বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে জায়গা করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সরিয়ে নিরপেক্ষ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে। জেলা প্রশাসন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষতার নীতি কঠোরভাবে অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছি।
পুলিশ বাহিনী প্রসঙ্গেও একই দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশাসনের মতো পুলিশ বাহিনীতেও নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা জরুরি। কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগে, বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনো অনেকে আছেন যাদের বিরুদ্ধে দলীয় পক্ষপাতের অভিযোগে আছে। তাদের অপসারণ করে নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা আমরা তুলে ধরেছি। বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও প্রধান উপদেষ্টার সামগ্রিক দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।
বিএনপির বক্তব্য ও দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেছেন কি না— জানতে চাই মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ অবস্থায় পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে বলে আমরা মনে করি। এ কারণেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেন, আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন, সে রকম যোদ্ধাকেই আমরা বেছে নেব। এটা আমার হাতে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা করব।
৮ ঘণ্টা আগেতিনি ঘোষণা দেন, আমি আজ থেকে আলুব্দীকে আর গ্রাম বলতে চাই না। আজ থেকে এটি ‘আলুব্দী আবাসিক এলাকা’। ভবিষ্যতে আল্লাহ আমাদের যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠনের সুযোগ দেন, তাহলে একটি আধুনিক আবাসিক এলাকায় যে সব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, ইনশাআল্লাহ তা আলুব্দীতেও দেওয়া হবে।
৯ ঘণ্টা আগেক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের উদ্দশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী উদ্যোক্তাদের সহজ ও স্বল্প শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে। আসুন, আমরা একসঙ্গে দেশটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে কাজ করি।’
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আমরা কখনো পলিটিক্যাল লোক নিয়োগ করিনি। আমরা ব্যাংকিং ডিভিশন (আর্থিক বিভাগ) বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ এটার কোনো ভূমিকা ছিল না। তারাই আবার পরে এটা ফেরত এনেছে। তাতে আরও নানা রকমের সমস্যা তৈরি হয়েছে।’
১০ ঘণ্টা আগে