ফের নগর ভবনের সামনে সমর্থকরা, মতবিনিময় সভায় ইশরাক

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ডিএসসিসির নগর ভবন মিলনায়তনে বর্জ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করছেন ইশরাক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান নিয়েছেন তার সমর্থকরা। এদিকে ইশরাক নিজে নগর ভবনে উপস্থিত হয়ে ডিএসসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন।

সোমবার (১৫ জুন) সকালে নগর ভবনের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাকের সমর্থকরা। পরে সেখানে ঢাকাবাসীর ব্যানারেও দলে দলে জড়ো হতে থাকেন ইশরাকের অনুসারীরা।

এর আগে রোববার (১৪ জুন) ইশরাক হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, শপথ হোক বা না হোক, তিনি নিজ দায়িত্বে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মীদের নিয়ে জরুরি সেবাগুলো চালু রাখবেন।

ওই ঘোষণা বাস্তবায়ন করতেই সকাল ১১টার দিকে নগর ভবনে উপস্থিত হন ইশরাক। জরুরি সেবার চালু রাখতে এ দিন ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি।

ইশরাকের সমর্থকরা জানিয়েছেন, এই মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত দুপুর ১টায় ঘোষণা করবেন ইশরাক নিজেই। এ সময় গণমাধ্যমের সামনে তার নতুন কর্মসূচির কথাও তুলে ধরবেন তিনি।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসসিসি নির্বাচনে ইশরাককে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

একমাস পর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ পরিস্থিতিতে ইশরাকের সমর্থকরা আন্দোলনে নামেন।

গত ১৪ মে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়। ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে তারা নগর ভবনে তালা দেন, অবস্থান নেন নগর ভবনের সামনে। এতে কার্যত নগর ভবন অচল হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলছিল, ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও শপথ না পড়াতে রিট হওয়ায় সেটি বিচারাধীন বলেই তারা শপথ পড়াতে পারছে না।

গত ২২ মে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সেই রিট খারিজ করে দেন। আইনজীবীরা সে সময় বলেন, এর ফলে ইশরাককে শপথ পড়াতে আর কোনো বাধা নেই। তবে এখনো ইশরাককে শপথ পড়ায়নি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম কার্যদিবস রোববারেই (১৫ জুন) ফের ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এতে তাদের আন্দোলন দ্বিতীয় মাসে গড়ায়। এ সময় ইশরাক বলেন, আন্দোলন থেকে পিছু হটার আর কোনো সুযোগ তাদের সামনে নেই। না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।

রোববার ডিএসসিসির বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম চালু রাখারও ঘোষণা দেন ইশরাক। বলেন, সেবা কার্যক্রম শুরু করলেও আন্দোলন ছাড়বেন না। নগর ভবনের ফটকেও তালা ঝুলবেই। এই তালাকে আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

সরকারের দেওয়া ৭ দিন শেষ, মাঠে ৮ দল— জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ কী

জুলাই সনদের গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই আয়োজনসহ পাঁচ দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল। এ দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি। অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনারাও জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের বিষয়ে অনড়। এ অবস্থায় জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ কী, জুলাই সনদ ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে কি জাতীয় নির্

১২ ঘণ্টা আগে

একসঙ্গে বিএনপির ৪০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

এসব নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে মর্মে গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর প্রচার হচ্ছিল। বিশেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত বিএনপি দলীয় সাবেক কয়েকজন কাউন্সিলর সম্প্রতি সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখন থেকেই নেতাকর্মীরা বিষয়টি আঁচ কর

২১ ঘণ্টা আগে

সালাহউদ্দিনের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন তারেক, নেওয়া হলো হাসপাতালে

এর আগে দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তারেককে অনশন ভেঙে আপিল করার আহ্বান জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আপিল, সংশোধনী, পরিমার্জন বা সময় বর্ধন—এসব তো প্রচলিত প্রক্রিয়া। নিশ্চয়ই তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি, যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আইনগত প্

১ দিন আগে

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব ভুলে গিয়ে শুধু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : আখতার

আখতার হোসেন বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের ফলে মানুষের প্রত্যাশা শুধু এতটুকুই ছিল না যে হাসিনার রেজিমকে উৎখাত করবে বা আগেকার মতো দেশটা চলতে থাকবে। কারণ মানুষ দেখে এসেছেন যে বাংলাদেশের সংকট যেমন, নেতৃত্ব বা ব্যবস্থারও সংকট তেমন। শুধু নেতৃত্বকে পরিবর্তন করে ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্

১ দিন আগে