প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অনেক কঠিন ও বিতর্কিত বিষয়ে দলটি ছাড় দিয়েছে। এমনকি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি।
রোববার (৬ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সংসদে বিরোধী দলকে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ এবং আসন সংখ্যার অনুপাতে অন্যান্য সভাপতির পদ দেয়ার ব্যাপারেও বিএনপি একমত হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সংবিধান ও আইন সংশোধন, এবং বিশেষায়িত সংসদীয় কমিটি গঠন—এসব বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।”
বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “১৯৮৮ সালে এমন উদ্যোগ উচ্চ আদালত বাতিল করেছিল। তাই এ বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছি।”
তিনি স্বীকার করেন, “অনেক সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন কঠিন, এমনকি উদ্দেশ্যসিদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবুও কেবল ঐকমত্যের স্বার্থে এসব বিষয়ে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।”
ফখরুল বলেন, বর্তমানে এমন অনেক নতুন প্রস্তাব আসছে যেগুলো রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংসদ পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আনবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এসব পরিবর্তনে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে তাদের পক্ষে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না, তা বিবেচনার দাবি রাখে।”
এ প্রসঙ্গে বিএনপি এখনই মন্তব্য করতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে বিএনপির অতীত সংগ্রাম এবং ভবিষ্যত অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপি শুধু টিকে থাকেনি, বরং শক্তিশালী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার কর্মীদের আত্মত্যাগে দলটির ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থান ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারি।”
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অনেক কঠিন ও বিতর্কিত বিষয়ে দলটি ছাড় দিয়েছে। এমনকি প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি।
রোববার (৬ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, সংসদে বিরোধী দলকে গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির পদ এবং আসন সংখ্যার অনুপাতে অন্যান্য সভাপতির পদ দেয়ার ব্যাপারেও বিএনপি একমত হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনেও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, ন্যায়পাল আইন যুগোপযোগী করা, নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট সংবিধান ও আইন সংশোধন, এবং বিশেষায়িত সংসদীয় কমিটি গঠন—এসব বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।”
বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “১৯৮৮ সালে এমন উদ্যোগ উচ্চ আদালত বাতিল করেছিল। তাই এ বিষয়ে বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছি।”
তিনি স্বীকার করেন, “অনেক সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন কঠিন, এমনকি উদ্দেশ্যসিদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবুও কেবল ঐকমত্যের স্বার্থে এসব বিষয়ে আমরা সম্মতি জানিয়েছি।”
ফখরুল বলেন, বর্তমানে এমন অনেক নতুন প্রস্তাব আসছে যেগুলো রাজনীতি, রাষ্ট্র ও সংসদ পরিচালনায় বড় পরিবর্তন আনবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এসব পরিবর্তনে জনগণকে সম্পৃক্ত না করে তাদের পক্ষে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না, তা বিবেচনার দাবি রাখে।”
এ প্রসঙ্গে বিএনপি এখনই মন্তব্য করতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে বিএনপির অতীত সংগ্রাম এবং ভবিষ্যত অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপি শুধু টিকে থাকেনি, বরং শক্তিশালী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার কর্মীদের আত্মত্যাগে দলটির ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০-এর ছাত্র গণঅভ্যুত্থান ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারি।”
আমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২১ ঘণ্টা আগেএকজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে আমি জানি মেয়েদের ক্ষমতায়ন কোনো নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। বাংলাদেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন হলো যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।
১ দিন আগেবিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে চলে এসেছে বিএনপিরই একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটি নির্বাচনের প্রার্থী নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরও প্রায় বছরখানেক আগে।
১ দিন আগেজামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনের আগে কোথাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হচ্ছে না। পুলিশ থেকে শুরু করে আমলা পর্যন্ত অনেককেই দেখা যাচ্ছে, বিশেষ দলের প্রতি দুর্বল হয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এগুলো পরিহার করে নির্বাচনের মাঠকে সমান ও সমতল করতে হবে।
২ দিন আগে