কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী রবিবার

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রয়াত কমরেড হায়দার আকবর খান রনো।

বিশিষ্ট মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, দেশের শীর্ষ বামপন্থী রাজনীতিক, লেখক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র অন্যতম সাবেক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল রবিবার। গত বছরের ১১ মে রাত ২টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে বলেন, প্রয়াত কমরেড রনো এ দেশের গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তার মতো প্রজ্ঞাবান আদর্শনিষ্ঠ নেতার অভাব প্রতি মুহূর্তে অনুভূত হয়।

শনিবার এ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হায়দার আকবার খান রনো ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, আজীবন সংগ্রামী এবং শোষণ মুক্তির সংগ্রামে নিবেদিত প্রাণ।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কমরেড রনো ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, এ দেশে অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল ছিলেন। জেল-জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করে ছিল তার এক বর্ণাঢ্য লড়াকু জীবন।

একজন মার্কসবাদী তাত্ত্বিক হিসাবে তিনি অসংখ্য গ্রন্থ, রচনা ও পুস্তিকা রেখে গেছেন। তার লেখনি নতুন প্রজন্মের জন্য শিক্ষা ও সংগ্রামী প্রেরণার অফুরন্ত উৎস। কমরেড রনো জীবনের শুরুতে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। তিনি ৬০’র দশকে অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছাত্র আন্দোলন শেষে শ্রমিকের লড়াইয়ে শামিল হন। ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে টঙ্গী শিল্পাঞ্চলে কিংবদন্তি ঘেরাও আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে সংগ্রামী ধারার শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলেন কমরেড রনো। এই শ্রমিক আন্দোলন ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে শিবপুরসহ ১৪টি সশস্ত্র ঘাটি এলাকা ও অসংখ্য মুক্তাঞ্চলকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে সংগঠিত করার মাধ্যমে শোষণমুক্তি ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আজীবন তিনি নিয়োজিত ছিলেন। মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে দীর্ঘ অসুস্থতা সত্ত্বেও পার্টির দায়িত্ব ও রাজনৈতিক কর্তব্য পালনে তিনি কখনো পিছু হটেননি।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে কিছু যায়-আসে না'

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু যায়-আসে না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।

১০ ঘণ্টা আগে

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১৪ ঘণ্টা আগে

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। এরপর কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে নিজ বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেও হাসপাতাল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারেননি।

১ দিন আগে

চট্টগ্রামে গুলিতে নিহত হাকিম বিএনপির কেউ নয়: রিজভী

চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারানো আব্দুল হাকিম বিএনপির কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার ( ৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।

১ দিন আগে