প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপি এখন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যখন টেলিভিশনে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছে, বিএনপি নেতারা আবার চাঙা হয়ে গেছেন। আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে।
শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে ‘বেকুবের দল’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না। কেউ আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কত নাটক, জর্জ মিয়া নাটক, মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে নয়া পল্টনে কী নাটকই না তারা বানিয়েছিল। মনে আছে? মিয়া আরেফি ইংরেজিতে কথা বলে, হঠাৎ পুলিশ দিল পিটুনি, পিটুনি খেয়ে বরিশালের স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। আবারও নাটক শুরু করছেন, খেলা কিন্তু আবারও হবে, জনগণের জানমালের সুরক্ষায়, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা প্রস্তুত আছেন? প্রস্তুত থাকেন। এমন এক শিক্ষা দেব এবার, পালাতে পালাতে অলিগলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে ডুবে ডুবে। বিএনপি এখন সেদিনের অপেক্ষায় আছে। জনগণ না থাকলে আন্দোলন হবে নাকি? বিএনপি হল ভুয়া দল, ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। ধৈর্য ধরুণ, অপেক্ষা করুন।
তিনি বলেন, আইএমএফের কর্মকর্তারা সেদিন বলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত খুব মজবুত। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবে। এমনকি চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের কম প্রবৃদ্ধি হবে। আইএমএফ এটা ঘোষণা করে গেছে। তাই শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। অনেকেই অপবাদ দেবে, মিথ্যাচার করবে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কান দেবেন না। এই সংকট কেটে যাবে। আবারও সুদিনের অপেক্ষায় আমরা থাকতে পারব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬) শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে (দুই দেশের মাঝে) সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা (ক্ষমতায় এসে) সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, কারও দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস দেশের মানুষ, জনগণ। ভারতের কাছে আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। কারণ, এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার (সমাধানে) চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ (সমুদ্রসীমা) পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।
শুক্রবার (১০ মে) বিএনপির সমাবেশে দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ‘এক পশরা মিথ্যাচার’ করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর পল্টনে দাড়িয়ে আমাদের ভারতের দালাদ বলেছে। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান দিয়েছিল।
বিএনপিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ভারতে যখন নির্বাচন হয়, বন্ধের দিন ভারতীয় হাইকমিশনারের সামনে দাঁড়িয়েছিল… দালাল কারা? ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলো— আপনি ভারত সফর করলেন গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন— আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচন আজকে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখান করেছে! তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল; তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিএনপি এখন আবার চাঙা হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, যখন টেলিভিশনে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছে, বিএনপি নেতারা আবার চাঙা হয়ে গেছেন। আবার ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে।
শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে ‘বেকুবের দল’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডোনাল্ড লু আসছেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে। বিএনপির স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকাও আর আসবে না। কেউ আসবে না। লন্ডন থেকে ডাক দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কত নাটক, জর্জ মিয়া নাটক, মিয়া আরেফি নাটক। বাইডেনের উপদেষ্টা বানিয়ে নয়া পল্টনে কী নাটকই না তারা বানিয়েছিল। মনে আছে? মিয়া আরেফি ইংরেজিতে কথা বলে, হঠাৎ পুলিশ দিল পিটুনি, পিটুনি খেয়ে বরিশালের স্থানীয় ভাষায় কথা বলে। আবারও নাটক শুরু করছেন, খেলা কিন্তু আবারও হবে, জনগণের জানমালের সুরক্ষায়, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা আবারও হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা প্রস্তুত আছেন? প্রস্তুত থাকেন। এমন এক শিক্ষা দেব এবার, পালাতে পালাতে অলিগলি পার হয়ে বুড়িগঙ্গার পচা পানি খাবে ডুবে ডুবে। বিএনপি এখন সেদিনের অপেক্ষায় আছে। জনগণ না থাকলে আন্দোলন হবে নাকি? বিএনপি হল ভুয়া দল, ভুয়া দলের ভুয়া আন্দোলন জনগণ বিশ্বাস করে না। ধৈর্য ধরুণ, অপেক্ষা করুন।
তিনি বলেন, আইএমএফের কর্মকর্তারা সেদিন বলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত খুব মজবুত। এই অবস্থা চলতে থাকলে প্রবৃদ্ধিতে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবে। এমনকি চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের কম প্রবৃদ্ধি হবে। আইএমএফ এটা ঘোষণা করে গেছে। তাই শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। অনেকেই অপবাদ দেবে, মিথ্যাচার করবে, তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, কান দেবেন না। এই সংকট কেটে যাবে। আবারও সুদিনের অপেক্ষায় আমরা থাকতে পারব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের সঙ্গে ২১ বছর (১৯৭৫-১৯৯৬) শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিল। সে কারণে (দুই দেশের মাঝে) সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা (ক্ষমতায় এসে) সে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, কারও দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস দেশের মানুষ, জনগণ। ভারতের কাছে আমরা ক্ষমতা চাই না, বন্ধুত্ব চাই। কারণ, এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় আর ফিরে যেতে চাই না।
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার (সমাধানে) চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ (সমুদ্রসীমা) পেয়েছি আদালতের মাধ্যমে।
শুক্রবার (১০ মে) বিএনপির সমাবেশে দলটির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ‘এক পশরা মিথ্যাচার’ করেছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন? ভারতে? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর পল্টনে দাড়িয়ে আমাদের ভারতের দালাদ বলেছে। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান দিয়েছিল।
বিএনপিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ভারতে যখন নির্বাচন হয়, বন্ধের দিন ভারতীয় হাইকমিশনারের সামনে দাঁড়িয়েছিল… দালাল কারা? ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলো— আপনি ভারত সফর করলেন গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন— আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। এই নির্বাচন আজকে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখান করেছে! তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিল; তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তারা উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সারজিস আলম বলেন, এক দিন হইত, দুই দিন হইত কিচ্ছু বলতাম না। তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।
২০ ঘণ্টা আগেনতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মানববন্ধন হবে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে। পরদিন বুধবার (১৫ অক্টোবর) একই কর্মসূচি পালন করা হবে দেশের সব জেলা সদরে।
২১ ঘণ্টা আগেএছাড়া, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফিরতে চান তিনি। নির্বাচনের আগে পুরো তিন মাস প্রচারণাকাজে অংশ নিতে চান। দেশে ফেরার পথে ওমরাহ করে ফিরবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এখন দেশে ফেরার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে তারেক র
২ দিন আগে