প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় ‘তৌহিদি জনতা’র চাপে অমর একুশে বইমেলার প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে এ দিন সন্ধ্যায় বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ১২৮ নম্বর স্টল সব্যসাচীতে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘তৌহিদি জনতা’ উপস্থিত হয়ে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি নিয়ে আপত্তি জানায়। এ সময় প্রকাশক-লেখক শতাব্দী ভবর সঙ্গে তাদের তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শতাব্দীকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হয়। পরে পুলিশ তাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে মেলা থেকে করে নেয়।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার ও দেশের আইন— উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শনের সামিল।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একুশে বইমেলা এ দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এ দেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণিপেশা ও বয়সের মানুষের মিলনস্থল। বইমেলায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।
ঘটনা জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং এ তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘মব সহিংসতা’ প্রতিরোধে কঠোর হওয়া প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে সব্যসাচীর আরেক কর্ণধার অভিনয়শিল্পী সানজানা মেহেরান সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা নিয়ে আগে থেকেই হুমকি পেয়ে আসছিলেন তিনি। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘হুমকির মুখে সব্যসাচী। সব্যসাচী আমার সন্তান। জানি না এবার এই সন্তানকে মেলার মাঠে রাখতে পারব কি না! যাই হোক, প্রশাসনের কেউ আমার লিস্টে থাকলে ইনবক্স করেন।’
সানজানা পরে জানান, মেলা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ উভয় তরফই তাকে স্টল থেকে তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে ফেলতে বলেছে। স্ট্যটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির মেলার মাঠের দায়িত্বে যিনি আছেন, আমাকে কল দিয়ে বললেন তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে ফেলতে। শাহবাগ থানার ওসিও একই কথা বললেন। বাধ্য হয়ে সরাতে হচ্ছে তসলিমা নাসরিনের চুম্বন বইটি।’
তসলিমা নাসরিনের বই নিষিদ্ধ ও সব্যসাচী স্টল বন্ধ করা নিয়ে অনলাইনে ‘তৌহিদি জনতা’ গতকাল সোমবার থেকেই সক্রিয় ছিল। মুসান্না আল ফাইয়াজ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে সোমবার এক পোস্টে বলা হয়, ‘বইমেলায় সব্যসাচী স্টল নং ১২৮ পুরাটাই গো**স্তা*খে রাসুলের স্টল। সেখানে তাসলিমা নাসরিনসহ আরও বিভিন্ন শা*তি*মের বই বিক্রি হচ্ছে। আয় আল্লাহ, ওদের এত সা-হস হলো কীভাবে? আমরা লোহার ব্যাবহার ছেড়ে দেওয়াতে ওদের সাহস কী পরিমাণ বেড়েছে, ভাবা যায়?’
ওই স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘আমরা বলি, তাসলিমা নাসরিনকে পেলে জীবনের মায়া ভুলে যাব, ওকে জাহান্নামে পাঠাব, আরও কত কী, এই সেই। অথচ ওর বই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বইমেলায়, এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা আসলে সবাই মি*থ্যাবাদী, মি*থ্যা আশেকে রাসূল। জানি না, কিয়ামতের দিন কোন মুখ নিয়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাঁড়াব।’
সব্যসাচীর স্টল বা তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ওই স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘পোস্টটি সবাই প্রচার করুন, হাইলাইটস করুন, কপি বা শেয়ার করুন। সবাই আওয়াজ তুলুন, বড়দের নজরে আনুন। এই স্টল কোনোভাবেই রাখা যাবে না। নয়তো এসব বই পড়ে আরও নতুন নতুন শা*তি*ম গজাবে।’
তসলিমা নাসরিনের যে বইটি নিয়ে এবার এত আলোচনা, ‘চুম্বন‘ শিরোনামের বইটি মূলত গল্পগ্রন্থ। তার উপন্যাস ‘লজ্জা’, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ক’ (পশ্চিমবঙ্গে দ্বিখণ্ডিত নামে প্রকাশিত), ‘আমার মেয়েবেলা’সহ কয়েকটি বই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে দেশের বাইরে নির্বাসনে যেতে হয়।
নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় ‘তৌহিদি জনতা’র চাপে অমর একুশে বইমেলার প্রকাশনা সংস্থা সব্যসাচীর স্টল বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে এ দিন সন্ধ্যায় বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে ১২৮ নম্বর স্টল সব্যসাচীতে ওই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘তৌহিদি জনতা’ উপস্থিত হয়ে তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি নিয়ে আপত্তি জানায়। এ সময় প্রকাশক-লেখক শতাব্দী ভবর সঙ্গে তাদের তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শতাব্দীকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে হয়। পরে পুলিশ তাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে মেলা থেকে করে নেয়।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ বাংলাদেশে নাগরিকের অধিকার ও দেশের আইন— উভয়ের প্রতিই অবজ্ঞা প্রদর্শনের সামিল।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একুশে বইমেলা এ দেশের লেখক ও পাঠকদের প্রাণের মেলা। এ দেশের সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণিপেশা ও বয়সের মানুষের মিলনস্থল। বইমেলায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা বাংলাদেশের উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চাকে ক্ষুণ্ন করে, ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের মর্যাদার প্রতি অবমাননা প্রদর্শন করে।
ঘটনা জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং এ তাৎপর্যপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘মব সহিংসতা’ প্রতিরোধে কঠোর হওয়া প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে সব্যসাচীর আরেক কর্ণধার অভিনয়শিল্পী সানজানা মেহেরান সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা নিয়ে আগে থেকেই হুমকি পেয়ে আসছিলেন তিনি। এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘হুমকির মুখে সব্যসাচী। সব্যসাচী আমার সন্তান। জানি না এবার এই সন্তানকে মেলার মাঠে রাখতে পারব কি না! যাই হোক, প্রশাসনের কেউ আমার লিস্টে থাকলে ইনবক্স করেন।’
সানজানা পরে জানান, মেলা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ উভয় তরফই তাকে স্টল থেকে তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে ফেলতে বলেছে। স্ট্যটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির মেলার মাঠের দায়িত্বে যিনি আছেন, আমাকে কল দিয়ে বললেন তসলিমা নাসরিনের বই সরিয়ে ফেলতে। শাহবাগ থানার ওসিও একই কথা বললেন। বাধ্য হয়ে সরাতে হচ্ছে তসলিমা নাসরিনের চুম্বন বইটি।’
তসলিমা নাসরিনের বই নিষিদ্ধ ও সব্যসাচী স্টল বন্ধ করা নিয়ে অনলাইনে ‘তৌহিদি জনতা’ গতকাল সোমবার থেকেই সক্রিয় ছিল। মুসান্না আল ফাইয়াজ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে সোমবার এক পোস্টে বলা হয়, ‘বইমেলায় সব্যসাচী স্টল নং ১২৮ পুরাটাই গো**স্তা*খে রাসুলের স্টল। সেখানে তাসলিমা নাসরিনসহ আরও বিভিন্ন শা*তি*মের বই বিক্রি হচ্ছে। আয় আল্লাহ, ওদের এত সা-হস হলো কীভাবে? আমরা লোহার ব্যাবহার ছেড়ে দেওয়াতে ওদের সাহস কী পরিমাণ বেড়েছে, ভাবা যায়?’
ওই স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘আমরা বলি, তাসলিমা নাসরিনকে পেলে জীবনের মায়া ভুলে যাব, ওকে জাহান্নামে পাঠাব, আরও কত কী, এই সেই। অথচ ওর বই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বইমেলায়, এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা আসলে সবাই মি*থ্যাবাদী, মি*থ্যা আশেকে রাসূল। জানি না, কিয়ামতের দিন কোন মুখ নিয়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাঁড়াব।’
সব্যসাচীর স্টল বা তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ওই স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘পোস্টটি সবাই প্রচার করুন, হাইলাইটস করুন, কপি বা শেয়ার করুন। সবাই আওয়াজ তুলুন, বড়দের নজরে আনুন। এই স্টল কোনোভাবেই রাখা যাবে না। নয়তো এসব বই পড়ে আরও নতুন নতুন শা*তি*ম গজাবে।’
তসলিমা নাসরিনের যে বইটি নিয়ে এবার এত আলোচনা, ‘চুম্বন‘ শিরোনামের বইটি মূলত গল্পগ্রন্থ। তার উপন্যাস ‘লজ্জা’, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ক’ (পশ্চিমবঙ্গে দ্বিখণ্ডিত নামে প্রকাশিত), ‘আমার মেয়েবেলা’সহ কয়েকটি বই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। একপর্যায়ে তাকে দেশের বাইরে নির্বাসনে যেতে হয়।
তিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
১ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগেউত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
২ দিন আগেআমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২ দিন আগে