
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘জুলাই শহিদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা নগদ অর্থ সহায়তা ছাড়াও পাবেন মাসিক ভাতা ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। শহিদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধারা পাবেন সরকারি, আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি শহিদ পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদরা ‘জুলাই শহিদ’ ও আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন। ‘জুলাই যোদ্ধা’দের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তারা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিটি শহিদ পরিবার দুই ধাপে ৩০ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে তাদের দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বাকি ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে তাদের।
পাশাপাশি প্রতিটি ‘জুলাই শহিদ’ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে সরকার। শহিদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
‘জুলাই যোদ্ধা’রা দুটি মেডিকেল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধা পাবেন। গুরুতর আহতরা থাকছেন ‘ক্যাটাগরি এ’-তে। তারা এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা।
পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক ‘জুলাই যোদ্ধা’ মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধাও পাবেন।
‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ টাকা দেবে সরকার। একইভাবে বাকি দুই লাখ টাকা দেবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে।
এই ক্যাটাগারির ‘জুলাই যোদ্ধা’দের মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে সরকার। তারাও কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পাবেন। অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থানে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি, আপনাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল আরও আগেই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কাজগুলো করতে পারব। আমাদের আন্তরিকতার কমতি ছিল না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রত্যেকে আপনাদের ন্যায্য সম্মাননা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। সংকটকালে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সে কারণে আপনাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা করতে পারিনি। এ কারণে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহিদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘জুলাই শহিদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা নগদ অর্থ সহায়তা ছাড়াও পাবেন মাসিক ভাতা ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। শহিদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধারা পাবেন সরকারি, আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ২১টি শহিদ পরিবার ও সাতজন আহতের মধ্যে চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদরা ‘জুলাই শহিদ’ ও আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন। ‘জুলাই যোদ্ধা’দের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তারা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিটি শহিদ পরিবার দুই ধাপে ৩০ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা পাবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে তাদের দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বাকি ২০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে তাদের।
পাশাপাশি প্রতিটি ‘জুলাই শহিদ’ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে সরকার। শহিদ পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
‘জুলাই যোদ্ধা’রা দুটি মেডিকেল ক্যাটাগরি অনুযায়ী সুবিধা পাবেন। গুরুতর আহতরা থাকছেন ‘ক্যাটাগরি এ’-তে। তারা এককালীন নগদ অর্থ সহায়তা পাবেন পাঁচ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা।
পাশাপাশি গুরুতর আহত প্রত্যেক ‘জুলাই যোদ্ধা’ মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। তারা কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধাও পাবেন।
‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন তিন লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) এক লাখ টাকা দেবে সরকার। একইভাবে বাকি দুই লাখ টাকা দেবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে।
এই ক্যাটাগারির ‘জুলাই যোদ্ধা’দের মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে সরকার। তারাও কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পাবেন। অগ্রাধিকার পাবেন সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থানে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি, আপনাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল আরও আগেই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কাজগুলো করতে পারব। আমাদের আন্তরিকতার কমতি ছিল না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রত্যেকে আপনাদের ন্যায্য সম্মাননা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। সংকটকালে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সে কারণে আপনাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা করতে পারিনি। এ কারণে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এখন পর্যন্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহিদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। এ ছাড়া আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তালিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

এতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
ভিডিও বার্তায় আখতার হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডই শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। এই রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় সরকারকে কার্যকর করতে হবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আমাদের সংগ্রাম কারও বিরুদ্ধে নয়, আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ
৭ ঘণ্টা আগে
দলীয় সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতা, বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ–অসন্তোষের পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা, এসব ইস্যু আজকের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
৮ ঘণ্টা আগে