‘যে যাই বলুক, নির্বাচন জুনের পরে যাবে না’

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৪৮
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। তারা তাদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের সম্ভাব্য সব বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে দুপুর ২টার দিকে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন দেননি। তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চান। তবে এ নিয়ে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।

নির্বাচন নিয়ে আইন উপদেষ্টা ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা। তার অর্থ এই নয় যে নির্বাচন পিছিয়ে মে-জুন মাসে নিয়ে যাওয়া হবে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

এই সময় সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলো জুলাই চার্টার নিয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু জুলাই চার্টারেও যেসব সংস্কার থাকবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে কত সময় লাগবে, সেটি তো আমরা জানি না। বৈঠকেও বিএনপি নেতাদের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, এর মধ্যে একটি অধ্যাদেশ জারির আগে ২৩ বার খসড়া করতে হয়েছে।

‘এ রকম কোনো সংস্কার প্রয়োজন হলে তার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য কিংবা অন্য কোনো কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মতো চিন্তাভাবনা সরকারের কারও মধ্যে নেই,’— বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিএনপি নেতাদের নামে হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টিও বৈঠকে বিএনপি নেতারা তুলে ধরেছেন বলে জানান উপদেষ্টা। বলেন, এসব বিষয়েও প্রক্রিয়াগুলো বিএনপি নেতাদের জানানো হয়েছে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

'শাপলা ছাড়া আমাদের বিকল্প অপশন নেই'

নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচনের আগে ইসি পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের শাপলা প্রতীক পেতে আইনে কোনো বাধা নেই। শাপলা ছাড়া আমাদের বিকল্প অপশন নেই আর যদি শাপলা পেতে আমাদের বাধা দেওয়া হয় তাহলে তা আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করব।

৮ ঘণ্টা আগে

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে হাসনাত-সারজিসরা

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রতীকের তালিকায় শাপলা না রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যেই হাসনাত-সারজিসরা সিইসির সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন।

১১ ঘণ্টা আগে

হার্ডলাইনে থেকেও বেকায়দায় বিএনপি!

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি কোণঠাসা ছিল বিএনপি। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তারের ঘানি টানতে হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। গত জুলাই-আগস্টের অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর স্বস্তিতে থাকা বিএনপি আবারও চাপের মধ্যে পড়েছে। অন্যায়-অপরাধে জড়ানো নেতাকর্মীদের ক

১২ ঘণ্টা আগে

কলমাকান্দা বিএনপির সভাপতি খায়ের, সম্পাদক সাইদুর

দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৩ ঘণ্টা আগে