বুয়েটের ছাত্ররা যেন ছাত্র থাকে : জিএম কাদের

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জিএম কাদের। ফাইল ছবি

বিরোধীদল নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, শিক্ষার মান ঠিক রাখতে না পারলে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি বাদে আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান ভালো থাকুক এটা আমরা চাই। বুয়েটের শিক্ষার মান নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না।

তিনি বলেন, বুয়েটের ছাত্ররা যেন ছাত্র থাকে। বুয়েটে ছাত্র অবস্থায় আমি রাজনীতিবিদ হয়নি, পাস করে রাজনীতিবিদ হয়েছি। সবার কাছে আহ্বান রাখছি, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে যেন শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকে।

আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির পরিচিতি সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেড় লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ইতোমধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। ১০ বছর মেয়াদি ক্রয়কৃত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ৫ বছরেই শেষ। বাকি ৪০ হাজার ভোটিং মেশিনও অকেজো হওয়ার পথে। বেশির ভাগ ইভিএম-ই এখন অকেজো। শেষ পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অধিন কেনা ইভিএম সম্পদের বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জার্মানির তৈরি দুটি পাইপ কাটারের দাম দেখানো হয়েছে ৯২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। একইভাবে জার্মান কোম্পানির দুটি হাতুড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এসব পণ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম দেখে চালানটি আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তারপর এসব পণ্য আমদানিকারক সিপিজিসিবিএল ও পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুধু এই দুটি পণ্য নয়, এই চালানের ১৯টি পণ্যই অযৌক্তিক উচ্চমূল্যে আমদানি করা হয়েছে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আনা এ চালানটির আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা বা ২ লাখ ৫০ হাজার ৮৬৩ মার্কিন ডলার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের দ্বিতীয় নিবাস গড়ায় নতুন করে উৎসাহ জোগাচ্ছে মালয়েশিয়া। মাঝে কড়াকড়ি করলেও এখন বিনিয়োগ টানতে 'মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ)' কর্মসূচির শর্ত শিথিল করছে দেশটির সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়েছেন ৫৬ হাজার ৬৬ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি।

বিশেষ বিবেচনায় বৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এমন বিনিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ১৭ প্রতিষ্ঠান। তবে এরপর থেকে ডলার-সংকটের কারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে অনুমোদন পেয়েছে পাঁচটি কোম্পানি। তবে বিদেশে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার জন্য কাউকে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তাহলে বাংলাদেশিরা কীভাবে মালয়েশিয়া দ্বিতীয় নিবাস গড়ল। কীভাবে টাকা নিয়ে গেল?

কক্সবাজার উখিয়ায় রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় রক্ষার অভিযান চালাতে গিয়ে মাটি পাচারকারীদের ডাম্পারে মিনি ট্রাক চাপায় খুন হয়েছে বনবীট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান (৩০)। গত শনিবার রাত সাড়ে তিনটার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় ফরিদ আলমের দোকানের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে ডেমরা বাসষ্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন লেগেছে। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। রাত পৌনে ১০টার দিকে সেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে অগ্নিনির্বাপন কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসষ্ট্যান্ড এলকায় দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১২টিসহ মোট ১৪টি বাস আগুনে পুড়েছে।

আজ সাভারে জেলপুর এলাকায় তেলবাহী লরিতে লাগা আগুড়ে পুড়েছে আরো ৫টি গাড়ি। এঘটনায় একজন মারা গেছেন, আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে অন্তত ৩ কিলোমিটার যানজন সৃষ্টি হয়েছে।

উপরের ঘটনাগুলি দেশে দূর্ণীতি ও অব্যবস্থাপনার বাস্তবচিত্র বলা যায়। দূর্নীতি হচ্ছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণের অর্থ আত্মসাত। উল্লেখিত ঘটনাগুলোতে যা খরচ দেখানো হয়েছে তা হচ্ছে দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয়। সরকার যে অর্থ ব্যয় করে তা হচ্ছে সাধারণ মানুষের অর্থ। অর্থ ব্যবহারে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি ও অপচয় করা হচ্ছে।

দেশে মানুষের জীবন ও ব্যক্তিগত সম্পদের নিরাপত্তা নেই। দেশের শাসনকার্যে দৃশ্যমান ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শাসনকার্য ভালোভাবে চলছে না, অর্থাৎ সুশাসনের অভাব। সুশাসন হচ্ছে আইনের শাসন ও ন্যয় বিচারভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। আইনের শাসনের মধ্যে দুটি প্রধান বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে আইনের চোখে সবাই সমান ও শিষ্টের পালন এবং দুষ্টের দমন। ন্যয়বিচারভিত্তিক সমাজ বলতে বৈষম্য, নিপিড়ন ও নির্যাতনহীন সমাজকে বুঝি।

সরকারের সাথে কিছু লোক আইনের উর্দ্ধে অবস্থান করছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, বর্তমান সময়ে দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন হচ্ছে। প্রতিদিনই দেশে বৈষম্য বাড়ছে, সরকারিভাবেই বৈষম্য তৈরী করা হচ্ছে। সুবিধাবাদী একটি গোষ্ঠীকে নিয়ে সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরী করা হচ্ছে। তারা সরকারের সমর্থন করছে এবং ক্ষমতার প্রভাবে জনগণের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন করছে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান তারেক রহমানের

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’

১ দিন আগে

'কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে কিছু যায়-আসে না'

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু যায়-আসে না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।

১ দিন আগে

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১ দিন আগে

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। এরপর কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে নিজ বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেও হাসপাতাল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারেননি।

২ দিন আগে