‘ছোটবেলা থেকে বাবা-কাকার কাছে ঢাকা আর বাংলাদেশের কত গল্প শুনেছি, বহু বার সেদেশে যাওয়ার কথা ভেবেছি। কিন্তু, নাহ, আর বাংলাদেশে যাব না!’ কথাগুলো বলছিলেন কলকাতার বাসিন্দা এক নারী। তিনি সরকারি কর্মচারী, তাই নাম প্রকাশ করতে চান না।
রাজধানী ঢাকায় কওমী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে একজন নারী সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহের কাজে প্রবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় আগারগাঁয়ে অবস্থিত চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কওমী উদ্যোক্তা সম্মেলন ২
জয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করা হয়েছে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের চাপে। বিশ্ব সুফী সংস্থা অভিযোগ করেছে, গত ছয় মাসে ৮০টিরও বেশি মাজার ও দরবারে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পেছনে ‘তৌহিদী জনতা’ বা বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের নাম উঠে আসছে, কিন্তু তারা কোনো সংগঠনের সদস্য কিনা, সে বি
বিদেশে মার্কিন সহায়তা স্থগিত করতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের প্রভাব অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই দেশটির অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ বা স্থগিত করা হয়েছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মীদের হোম অফিস করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
‘তৌহিদী জনতা’ তথা ‘বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের’ দাবির মুখে সম্প্রতি দেশের দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টা শুধু খেলা বন্ধতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। খেলাকে কেন্দ্র করে এক জেলায় তৌহিদী জনতা ও আয়োজকদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। অপর জেলায় নারীদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করতে মাঠে হামলা করা হয় এবং
দেশের সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামপন্থী দলগুলোকে নিজেদের পক্ষেই রাখার কৌশলে নেমেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। একসময়ের জোটসঙ্গী এই দুটি দলের মধ্যে রাজনৈতিক কৌশল ও সমর্থন আদায়ের প্রতিযোগিতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
দেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে ফেব্রুয়ারি মাসেই। নেতৃত্বে নাহিদ ইসলামের নাম আলোচনায় আছে। এদিকে, বিএনপির ভোটও কাটতে চায় নতুন এই দল।
বরিশালের চরমোনাইয়ে গিয়ে চরমোনাই পির হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের ‘সৌজন্য সাক্ষাতে’র পর ইসলাম ধর্মভিত্তিক দলগুলোর নির্বাচনি জোটের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে।
ভারতের সংবাদপত্রের পাতায় বা টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখলেই সম্প্রতি নজরে আসছে নানা রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ার খবর। ত্রিপুরা হোক বা আসাম, দিল্লি হোক বা পশ্চিমবঙ্গ– অনেক রাজ্যেরই নানা এলাকা থেকে এ ধরনের খবর আসাটা অনেকটা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে ভারতের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উদ্যোগের বিশেষ অর্থ রয়েছে। ওই প্রচেষ্টা ইঙ্গিত দেয় ওই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতাকে ভারত যেভাবে দেখছে, সেখানে একটা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। তালেবানদের কাছে কাবুলের পতনের তিন বছরেরও বেশি সময় পর ভারতের এই সাম্প্রতিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষে গত শনিবার তিন বাংলাদেশি নাগরিক আহত হওয়ার পর রোববার সীমান্ত এলাকা শান্ত রয়েছে। তবে সীমান্তের বাংলাদেশিরা কিছুটা আতঙ্কে আছেন। এদিকে রোববার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘রক্ত ঝরলেও সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে।’ বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে চাপ
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল, ভারতের আসামে বিভিন্ন দলের বেশ কিছু রাজনীতিবিদ দাবি তুলেছিলেন সে দেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে দেওয়াল বা বেড়া জাতীয় কিছু বসানো হোক। তখন সেই দাবি দিনের আলো দেখেনি
বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ডালপালা মেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে এর পক্ষে বিপক্ষে কথা বলছেন অনেকে। বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে বলা হয়েছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস। স্থানীয় ঘোড়দৌড় বাজারের পাশে অফিসটির একরকম বিধ্বস্ত অবস্থা। দ্বিতল ভবনের পুরোটাতেই ভাঙচুরের চিহ্ন স্পষ্ট। মূল ফটকে ঝুলছে তালা। ভেতরে পড়ে আছে আসবাবপত্রের ধ্বংসাবশেষ। অফিস জনমানবশূন্য।
সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছে আজ। এতে ক্ষমতা কাঠামো, সংসদের ধরনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাবনা থাকছে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে ওঠে দেশটিতে।
এ বছরের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ জুলাই–আগস্টের মধ্যেই বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দলটির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি করেছেন।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে তাদেরই সমমনা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু বিরোধের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।