
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

স্থান-কাল-পাত্র ভুলে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করা ট্রাম্পের জন্য নতুন কিছু নয়। মিশরে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েও একই ধরনের কাণ্ড করে বসলেন তিনি। সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়েই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে বলে বসলেন, তিনি একজন সুন্দরী তরুণী।
ট্রাম্প এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সোমবার (১৩ অক্টোবর) গাজা নিয়ে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সইয়ের পর। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এমন মন্তব্য যে সমালোচনার কারণ হতে পারে— সেটিও ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে লোহিত সাগরের রিসোর্টে ‘শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনের সহসভাপতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রাম্প এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ওই সময় পোডিয়ামে দাঁড়ানো ট্রাম্পের পাশেই ছিলেন মেলোনি। সম্মেলন মঞ্চে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী নেতা। এমন সময়ই মেলোনির উদ্দেশে ট্রাম্প বলে বসেন, ‘তিনি একজন সুন্দরী তরুণী।’
এমন মন্তব্য যে সমালোচনার কারণ হতে পারে, সেটি স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি জানি, আমার এভাবে কথা বলা উচিত না। কারণ ‘তিনি একজন সুন্দরী তরুণী’— এ রকম কিছু বললে সাধারণত রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অপমৃত্যু ঘটে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নারীকে নিয়ে ‘সুন্দরী’ শব্দটি ব্যবহার করেন, সেখানেই আপনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। কিন্তু আমি সুযোগটা নিচ্ছি।’
এ সময় মেলোনির দিকে ঘুরে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনাকে কেউ সুন্দরী বললে নিশ্চয় কিছু মনে করবেন না, তাই না? কারণ আপনি সত্যিই সুন্দরী।’
ট্রাম্পের এ বক্তব্যে মেলোনি সত্যিই কিছু মনে করেছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। ট্রাম্পের এমন অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করার সময়ের যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেখানেও ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে সামান্য সময়ের জন্য দেখা গেছে মেলোনিকে। তবে তাকে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য দেখা যায় এ সময়ে।
মেলোনি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) এ ঘটনার ভিডিওর নিচে অনেকেই ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘বিব্রতকর’ অভিহিত করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক মানের বিব্রতকর’। একজন ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে বলেছেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্রকে অপমানিত করেই চলেছেন।’
কেউ কেউ আবার ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘নিচু মানসিকতার’ ব্যক্তি। একজন মন্তব্য করেছেন ‘দীনতার চূড়ান্ত’। একজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাব্য ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাওয়া মুহূর্তে একজন নারী বিশ্বনেতার রূপ নিয়ে মন্তব্য করা কি নোবেল পুরস্কার এনে দেবে, নাকি দেবে না?’
মিশরের আলোচিত ওই সম্মেলনে এর আগে ট্রাম্পই প্রথম ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করেন। এরপর একে একে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, তুরস্ক ও কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এতে সই করেন যথাক্রমে আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এর আগেই অবশ্য শুক্রবার ইসরায়েল ও হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়। শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগার থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুই ধাপে হামাসও মুক্তি দিয়েছে তাদের কাছে জিম্মি থাকা ২০ ইসরায়েলিকে।

স্থান-কাল-পাত্র ভুলে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করা ট্রাম্পের জন্য নতুন কিছু নয়। মিশরে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েও একই ধরনের কাণ্ড করে বসলেন তিনি। সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়েই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে বলে বসলেন, তিনি একজন সুন্দরী তরুণী।
ট্রাম্প এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সোমবার (১৩ অক্টোবর) গাজা নিয়ে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যেকার যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সইয়ের পর। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এমন মন্তব্য যে সমালোচনার কারণ হতে পারে— সেটিও ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে লোহিত সাগরের রিসোর্টে ‘শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন করা হয়েছে। এ সম্মেলনের সহসভাপতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রাম্প এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ওই সময় পোডিয়ামে দাঁড়ানো ট্রাম্পের পাশেই ছিলেন মেলোনি। সম্মেলন মঞ্চে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী নেতা। এমন সময়ই মেলোনির উদ্দেশে ট্রাম্প বলে বসেন, ‘তিনি একজন সুন্দরী তরুণী।’
এমন মন্তব্য যে সমালোচনার কারণ হতে পারে, সেটি স্বীকার করে নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি জানি, আমার এভাবে কথা বলা উচিত না। কারণ ‘তিনি একজন সুন্দরী তরুণী’— এ রকম কিছু বললে সাধারণত রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অপমৃত্যু ঘটে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নারীকে নিয়ে ‘সুন্দরী’ শব্দটি ব্যবহার করেন, সেখানেই আপনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটবে। কিন্তু আমি সুযোগটা নিচ্ছি।’
এ সময় মেলোনির দিকে ঘুরে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনাকে কেউ সুন্দরী বললে নিশ্চয় কিছু মনে করবেন না, তাই না? কারণ আপনি সত্যিই সুন্দরী।’
ট্রাম্পের এ বক্তব্যে মেলোনি সত্যিই কিছু মনে করেছেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। ট্রাম্পের এমন অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করার সময়ের যে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেখানেও ট্রাম্পের মন্তব্যের পরে সামান্য সময়ের জন্য দেখা গেছে মেলোনিকে। তবে তাকে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য দেখা যায় এ সময়ে।
মেলোনি কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) এ ঘটনার ভিডিওর নিচে অনেকেই ট্রাম্পের মন্তব্যকে ‘বিব্রতকর’ অভিহিত করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ঘটনাটি ‘আন্তর্জাতিক মানের বিব্রতকর’। একজন ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে বলেছেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্রকে অপমানিত করেই চলেছেন।’
কেউ কেউ আবার ট্রাম্পকে বলেছেন, ‘নিচু মানসিকতার’ ব্যক্তি। একজন মন্তব্য করেছেন ‘দীনতার চূড়ান্ত’। একজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাব্য ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাওয়া মুহূর্তে একজন নারী বিশ্বনেতার রূপ নিয়ে মন্তব্য করা কি নোবেল পুরস্কার এনে দেবে, নাকি দেবে না?’
মিশরের আলোচিত ওই সম্মেলনে এর আগে ট্রাম্পই প্রথম ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করেন। এরপর একে একে মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর, তুরস্ক ও কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে এতে সই করেন যথাক্রমে আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এর আগেই অবশ্য শুক্রবার ইসরায়েল ও হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এ যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নেয়। শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগার থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দুই ধাপে হামাসও মুক্তি দিয়েছে তাদের কাছে জিম্মি থাকা ২০ ইসরায়েলিকে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, চলচ্চিত্র পর্যালোচনাবিষয়ক সাইট লেটারবক্সডসহ অসংখ্য ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করলে ব্যবহারকারীরা একটি ত্রুটি বার্তা দেখতে পান, যেখানে বলা হয়, ‘ক্লাউডফ্লেয়ারের সমস্যার কারণে পেজটি লোড করা সম্ভব হয়নি’।
১৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনাকে অনুমোদন দিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। কিন্তু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের গোষ্ঠী হামাস। গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রস্তাবে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
১ দিন আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে অর্থায়নের চেষ্টা করবে ফ্রান্স। এ ছাড়া জব্দ করা রাশিয়ান সম্পদও ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটি এমন একটি বিতর্কিত পদক্ষেপ যা ২৭ সদস্যের ব্লককে বিভক্ত করছে।
১ দিন আগে