‘২ সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প জানাবেন, যুদ্ধে জড়াবেন কি না’

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, ০১: ১২
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে), ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি (মাঝে) ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে কি না, এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট।

তিনি বলেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাতে আমেরিকা সরাসরি জড়িত থাকবে কি না— এমন গুঞ্জনের মধ্যে ট্রাম্প বলেছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে নেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব এ কথা বলেন।

ক্যারোলিন লেভিট জানান, যুদ্ধে জড়ানো বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে। আলোচনার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব যে আমি যাব কি না।’

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শুরু থেকেই এতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

এর আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে সিএনএনের সাংবাদিক কেইটলান কলিন্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, কী করতে হবে তা নিয়ে আমার ধারণা আছে। তবে কিছু চূড়ান্ত করিনি এখনো।

White-House-Press-Secretary-Karoline-Leavitt-In-Daily-Briefing-19-06-2025

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: এএফপি

ট্রাম্প আরও বলেন, ঠিক যখন প্রয়োজন, সেই শেষ মুহূর্তেই আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। কারণ পরিস্থিতি বদলাতেই থাকে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় তো বটেই। কোনো একটি চরমাবস্থা থেকে অন্য একটি চরমাবস্থায় পৌঁছাতে সময়ই লাগে না।

এ সংঘাত ইস্যুতে অবশ্য শুরু থেকে আপাত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে দুপক্ষকেই শান্তির আহ্বান জানিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার প্রথম সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অবস্থান জানলেও তাকে এখনই হত্যা করবেন না বলে উল্লেখ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে।

কয়েকটি পোস্টের এক সিরিজে ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ‘ইরানের আকাশসীমা পুরোপুরি আমাদের দখলে।’ ট্রাম্পের এই পোস্টের ‘আমাদের’ শব্দটির ব্যবহারই নতুন করে প্রশ্ন তুলে দেয়, প্রত্যক্ষভাবে তিনি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন কি না।

ট্রাম্পের একেক সময় দেওয়া এক ধরনের বক্তব্য নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বিবিসিকে বলেন, পুরো প্রক্রিয়াটি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েল হামলা করেছে। এর আগেই আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল ইরান।

ট্রাম্পের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে খাতিবজাদেহ বলেন, আমেরিকার কাছ থেকে তারা ‘ব্যাকডোর মেসেজ’ পাচ্ছেন যে ওয়াশিংটন এ সংঘাতে জড়িত নয় এবং জড়িত হবেও না। কিন্তু ট্রাম্পের প্রকাশ্য বার্তাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়। এটি বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী।

এ অবস্থায় পরিকল্পনা যাই থাকুক না কেন, ইরান সংঘাতে সরাসরি জড়িত না হতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি বলেন, এখানে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে। ফলে সব পক্ষকে কূটনৈতিকভাবে সমাধান খুঁজতে হবে।

স্টারমার আরও বলেন, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে এবং আমার মতে, এটিই সমস্যা সমাধানের উপায়।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’য় হামাসের আংশিক সম্মতি

ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জানিয়েছে, ট্রাম্পের পরিকল্পনাগুলো তারা আংশিকভাবে মেনে নিতে রাজি। কয়েকটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ প্রস্তাব নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন।

৩ ঘণ্টা আগে

আমরণ অনশনে ইসরায়েলে আটক সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীরা

আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি জাহাজের প্রায় সবগুলোই আটকে দিয়েছে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। তারা জাহাজে থাকা ৫০টিরও বেশি দেশের ৪৫০ জনের বেশি অধিকারকর্মী আটক করেছে। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল

১৫ ঘণ্টা আগে

পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি ভারতীয় সেনাপ্রধানের

তিনি দাবি করেন, গত মে মাসে পাকিস্তানের ভেতরে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে হামলা চালানো হয়েছে। এসব অবকাঠামোতে হামলার মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে পাকিস্তান নিজ দেশে সন্ত্রাসবাদকে লালনপালন করে। ভারত যদি ওই সময় ব্যবস্থা না নিত তাহলে পাকিস্তান এ সত্যকে আড়াল করত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

১৫ ঘণ্টা আগে

৭ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা তলানিতে

১৮ ঘণ্টা আগে