ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারক ও প্রসিকিউটর মিলিয়ে চারজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসি এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে। কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্রান্সও। তবে ইসরায়েল এ নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এর জের ধরেই ওয়াশিংটন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডার বিচারক কিম্বারলি প্রস্ট, ফ্রান্সের বিচারক নিকোলা জিউ, ফিজির ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান ও সেনেগালের মামে মানদিয়ায় নিয়াংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (২০ আগস্ট) এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এসব নাগরিকের কোনো সম্পদ বা আর্থিক লেনদেন থাকলে সেগুলো জব্দ করতে পারবে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য, কিম্বারলির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর অভিযোগে। ফরাসি বিচারক জিউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অনুমোদন করেছিলেন।
বাকি দুই ডেপুটি প্রসিকিউটরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে। তারা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আইসিসির কার্যক্রমে সহায়তা করেছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আইসিসিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চর্চার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আদালতের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ। এ পদক্ষেপকে ‘নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার অবমাননা এবং সারা বিশ্বের লাখো নিরপরাধ ভুক্তভোগীর প্রতি অবজ্ঞা’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে আইসিসি।
কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞা একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মৌলিক নীতির পরিপন্থি। ফরাসি বিচারক নিকোলা জিউ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় প্যারিস বিশেষভাবে ক্ষোভ জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি একে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করে প্রশংসা করেছেন।
এর আগে এ বছরের শুরুতে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এবং আরও চার বিচারকের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান তখন এ পদক্ষেপ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ ছাড়া গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানেজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তিনি ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রকাশ্য সমালোচক এবং আইসিসিকে সমর্থন জানানোয় মার্কিন প্রশাসন এ ব্যবস্থা নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারক ও প্রসিকিউটর মিলিয়ে চারজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আইসিসি এ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে। কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ফ্রান্সও। তবে ইসরায়েল এ নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি। এর জের ধরেই ওয়াশিংটন এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কানাডার বিচারক কিম্বারলি প্রস্ট, ফ্রান্সের বিচারক নিকোলা জিউ, ফিজির ডেপুটি প্রসিকিউটর নাজহাত শামীম খান ও সেনেগালের মামে মানদিয়ায় নিয়াংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (২০ আগস্ট) এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এসব নাগরিকের কোনো সম্পদ বা আর্থিক লেনদেন থাকলে সেগুলো জব্দ করতে পারবে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য, কিম্বারলির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর অভিযোগে। ফরাসি বিচারক জিউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অনুমোদন করেছিলেন।
বাকি দুই ডেপুটি প্রসিকিউটরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে। তারা নেতানিয়াহু ও গ্যালান্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আইসিসির কার্যক্রমে সহায়তা করেছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আইসিসিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনের অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চর্চার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আদালতের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার ওপর প্রকাশ্য আক্রমণ। এ পদক্ষেপকে ‘নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার অবমাননা এবং সারা বিশ্বের লাখো নিরপরাধ ভুক্তভোগীর প্রতি অবজ্ঞা’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে আইসিসি।
কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞা একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মৌলিক নীতির পরিপন্থি। ফরাসি বিচারক নিকোলা জিউ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় প্যারিস বিশেষভাবে ক্ষোভ জানিয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি একে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’ হিসেবে অভিহিত করে প্রশংসা করেছেন।
এর আগে এ বছরের শুরুতে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এবং আরও চার বিচারকের ওপর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান তখন এ পদক্ষেপ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এ ছাড়া গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানেজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তিনি ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রকাশ্য সমালোচক এবং আইসিসিকে সমর্থন জানানোয় মার্কিন প্রশাসন এ ব্যবস্থা নেয়।
৩ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে মোট ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। সংস্থার ধারণা, এই অতিরিক্ত মৃত্যু মূলত অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ঘটেছে।
১ দিন আগেবাসটির সঙ্গে প্রথমে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয় এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি জ্বালানিবাহী ট্রাককে আঘাত করে বাসটি। এতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহতদের অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
১ দিন আগেগাজায় উদ্ধার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে থাকলেও, টানা ইসরায়েলি হামলা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
১ দিন আগেদেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি, বাগান ও খনি খাতসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল এন্ড রিটেল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ডস, মেটাল এন্ড স্ক্রাপ ম্যাটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁস, লন্ড্রি, কার্গো, এন্ড বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে শ্রমিক নিয়
২ দিন আগে