ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ভারতের প্রাচীন ইতিহাসে এমন কিছু যুদ্ধ রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র রাজ্য দখলের জন্য নয়, বরং ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্যও বিখ্যাত। কলিঙ্গের যুদ্ধ (খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সাল) ঠিক তেমনই এক ঘটনা। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা, রক্তপাত, এবং তার পরিণতি শুধু একজন সম্রাটের জীবন নয়, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছিল। আজ আমরা এই যুদ্ধের ইতিহাস, কারণ, ফলাফল এবং গবেষকদের বিশ্লেষণ মিলিয়ে সহজ ভাষায় জানবো।
কলিঙ্গ ছিল প্রাচীন ভারতের এক শক্তিশালী ও স্বাধীন রাজ্য। বর্তমানে এটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বড় একটি অংশ, এবং কিছুটা অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। কলিঙ্গের অধিবাসীরা নিজেদের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করতো এবং তারা সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ড. রোমিলা থাপার (ঐতিহাসিক ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক) লিখেছেন, "কলিঙ্গ ছিল একটি স্বাধীনচেতা রাজ্য, যাদের উপর মগধের আধিপত্য কখনোই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কলিঙ্গবাসী নিজেদের জন্য স্বাধীন নীতিনির্ধারণের অধিকার বজায় রাখতে মরিয়া ছিল।"
মগধের রাজা অশোক তখন তার সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য একের পর এক রাজ্য জয় করছিলেন। উত্তর ভারত প্রায় সম্পূর্ণভাবে তার অধীনে চলে এসেছিল। কিন্তু কলিঙ্গ ছিল একমাত্র রাজ্য, যা এখনও স্বাধীন ছিল। কলিঙ্গের ভূ-গোলগত অবস্থান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় কলিঙ্গ ছিল বাণিজ্য ও সামরিক যোগাযোগের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
অশোকের লক্ষ্য ছিল পুরো ভারতবর্ষে তার আধিপত্য কায়েম করা। কলিঙ্গের স্বাধীনতা তার সেই উদ্দেশ্য সাধনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই কলিঙ্গকে জয় করাই তার পরবর্তী লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
ঐতিহাসিক রাধাকুমুদ মুখার্জি লিখেছেন, "কলিঙ্গ ছিল এক আত্মমর্যাদাশীল জাতি। তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করার মনোভাব অশোকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।"
খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সালে কলিঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে এর পরিণাম গোটা ভারতীয় ইতিহাসে গভীর ছাপ ফেলে। ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ মানুষ এই যুদ্ধে নিহত হয়। আরো কয়েক লাখ মানুষ আহত ও বন্দি হয়। কলিঙ্গের সাধারণ জনগণ—নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। যুদ্ধের পর অশোক নিজের নির্দেশে প্রচুর সংখ্যক কলিঙ্গবাসীকে নির্বাসিত ও দাসে পরিণত করেন।
নিজের হাতেই নির্মিত এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ দেখে সম্রাট অশোকের মনে গভীর অনুশোচনা জন্ম নেয়। তিনি অনুভব করেন, যে যুদ্ধের ফলে এত রক্তপাত, সে যুদ্ধ কি কখনও ন্যায়সঙ্গত হতে পারে? পরবর্তীকালে তিনি তার বিখ্যাত "শিলালিপি" বা "শিলা অভিলেখ"গুলিতে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুতাপ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে অশোকের ১৩ নম্বর শিলা অভিলেখে তিনি কলিঙ্গ যুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. উপিন্দর সিং বলেন, "কলিঙ্গের যুদ্ধ ছিল অশোকের জীবনের মোড় পরিবর্তনের প্রধান কারণ। যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে হিংসার পথ থেকে শান্তি ও ধর্মের পথে পরিচালিত করে।"
কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর কখনো হিংসার মাধ্যমে রাজ্য বিস্তার করবেন না। তিনি বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং নিজেকে 'ধর্মাশোক' বা 'ধর্মের অশোক' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি অহিংসা, সহানুভূতি এবং ন্যায়নীতির পথে চলার শপথ নেন।
অশোক রাজ্য শাসনে ধর্মের নীতি প্রয়োগ শুরু করেন। তিনি জনসাধারণের কল্যাণের জন্য হাসপাতাল, রাস্তা, বিশ্রামাগার তৈরি করেন। পশুদের জন্যও হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। অশোকের শাসনকালে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতবর্ষ থেকে ছড়িয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।
ঐতিহাসিক ড. বিনয়চন্দ্র সেন তার বই "A History of Indian People" এ লিখেছেন, "কলিঙ্গের যুদ্ধ যদি না হতো, অশোক হয়তো ইতিহাসে আরেকজন সাধারণ সম্রাট হিসেবেই থেকে যেতেন। এই যুদ্ধই তাকে মহান করে তুলেছে।"
কলিঙ্গের যুদ্ধ ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। কারণ, যুদ্ধের পর অশোক সামরিক জয়ের চেয়ে নৈতিক জয়ের উপর গুরুত্ব দেন। তার শাসননীতি এক আদর্শ হয়ে ওঠে। বৌদ্ধধর্মের বিস্তারেও কলিঙ্গ যুদ্ধ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরে অশোক প্রমাণ করেছিলেন, সম্রাটের আসল কর্তব্য হলো প্রজাদের মঙ্গল সাধন করা, কেবল যুদ্ধ করে রাজ্যজয় নয়। কলিঙ্গ যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভারত বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করে।
বিখ্যাত ভারতীয় ইতিহাসবিদ ড. এ. এল. বাশাম বলেছেন, "কলিঙ্গ যুদ্ধ ভারতীয় ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণ। এটি ভারতীয় সমাজ ও রাজনীতিতে মানবতাবাদী চিন্তার সূচনা ঘটায়।"
বর্তমান সময়ে কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠলে আমরা দেখি, কীভাবে একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ইতিহাসের ধারা পরিবর্তন করতে পারে। অশোকের অনুশোচনা এবং পরে তার ধর্মনির্ভর শাসনব্যবস্থা আমাদের শেখায়, ক্ষমতা অর্জনের চেয়ে মানবতার জয় অনেক বড়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলিঙ্গ যুদ্ধ একটি সময়োচিত শিক্ষা, যেখানে রাজনীতি ও মানবিকতা একসঙ্গে পথ চলার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ইতিহাসবিদ ড. শিরীন রাত্নাগর বলেন, "কলিঙ্গ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—ক্ষমতা বা বিজয় শেষ কথা নয়; মানুষের জীবন এবং মানবিক মূল্যবোধই চূড়ান্ত।"
কলিঙ্গের যুদ্ধ একটি দুঃখজনক অধ্যায়, কিন্তু সেই দুঃখ থেকেই উঠে এসেছে নতুন আলো। অশোকের অনুতাপ, তার বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ, এবং মানবতাবাদী রাজনীতি ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
সুত্র: হিস্ট্রি ডট কম
ভারতের প্রাচীন ইতিহাসে এমন কিছু যুদ্ধ রয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র রাজ্য দখলের জন্য নয়, বরং ইতিহাসের গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্যও বিখ্যাত। কলিঙ্গের যুদ্ধ (খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সাল) ঠিক তেমনই এক ঘটনা। এই যুদ্ধের ভয়াবহতা, রক্তপাত, এবং তার পরিণতি শুধু একজন সম্রাটের জীবন নয়, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছিল। আজ আমরা এই যুদ্ধের ইতিহাস, কারণ, ফলাফল এবং গবেষকদের বিশ্লেষণ মিলিয়ে সহজ ভাষায় জানবো।
কলিঙ্গ ছিল প্রাচীন ভারতের এক শক্তিশালী ও স্বাধীন রাজ্য। বর্তমানে এটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বড় একটি অংশ, এবং কিছুটা অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। কলিঙ্গের অধিবাসীরা নিজেদের স্বাধীনতাকে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করতো এবং তারা সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ ছিল। ঐতিহাসিক ড. রোমিলা থাপার (ঐতিহাসিক ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক) লিখেছেন, "কলিঙ্গ ছিল একটি স্বাধীনচেতা রাজ্য, যাদের উপর মগধের আধিপত্য কখনোই প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কলিঙ্গবাসী নিজেদের জন্য স্বাধীন নীতিনির্ধারণের অধিকার বজায় রাখতে মরিয়া ছিল।"
মগধের রাজা অশোক তখন তার সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য একের পর এক রাজ্য জয় করছিলেন। উত্তর ভারত প্রায় সম্পূর্ণভাবে তার অধীনে চলে এসেছিল। কিন্তু কলিঙ্গ ছিল একমাত্র রাজ্য, যা এখনও স্বাধীন ছিল। কলিঙ্গের ভূ-গোলগত অবস্থান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় কলিঙ্গ ছিল বাণিজ্য ও সামরিক যোগাযোগের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
অশোকের লক্ষ্য ছিল পুরো ভারতবর্ষে তার আধিপত্য কায়েম করা। কলিঙ্গের স্বাধীনতা তার সেই উদ্দেশ্য সাধনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই কলিঙ্গকে জয় করাই তার পরবর্তী লক্ষ্য হয়ে ওঠে।
ঐতিহাসিক রাধাকুমুদ মুখার্জি লিখেছেন, "কলিঙ্গ ছিল এক আত্মমর্যাদাশীল জাতি। তাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করার মনোভাব অশোকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।"
খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ সালে কলিঙ্গ যুদ্ধ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে এর পরিণাম গোটা ভারতীয় ইতিহাসে গভীর ছাপ ফেলে। ঐতিহাসিক সূত্র অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ মানুষ এই যুদ্ধে নিহত হয়। আরো কয়েক লাখ মানুষ আহত ও বন্দি হয়। কলিঙ্গের সাধারণ জনগণ—নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। যুদ্ধের পর অশোক নিজের নির্দেশে প্রচুর সংখ্যক কলিঙ্গবাসীকে নির্বাসিত ও দাসে পরিণত করেন।
নিজের হাতেই নির্মিত এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ দেখে সম্রাট অশোকের মনে গভীর অনুশোচনা জন্ম নেয়। তিনি অনুভব করেন, যে যুদ্ধের ফলে এত রক্তপাত, সে যুদ্ধ কি কখনও ন্যায়সঙ্গত হতে পারে? পরবর্তীকালে তিনি তার বিখ্যাত "শিলালিপি" বা "শিলা অভিলেখ"গুলিতে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে অনুতাপ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে অশোকের ১৩ নম্বর শিলা অভিলেখে তিনি কলিঙ্গ যুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. উপিন্দর সিং বলেন, "কলিঙ্গের যুদ্ধ ছিল অশোকের জীবনের মোড় পরিবর্তনের প্রধান কারণ। যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে হিংসার পথ থেকে শান্তি ও ধর্মের পথে পরিচালিত করে।"
কলিঙ্গ যুদ্ধের পর অশোক সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর কখনো হিংসার মাধ্যমে রাজ্য বিস্তার করবেন না। তিনি বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং নিজেকে 'ধর্মাশোক' বা 'ধর্মের অশোক' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি অহিংসা, সহানুভূতি এবং ন্যায়নীতির পথে চলার শপথ নেন।
অশোক রাজ্য শাসনে ধর্মের নীতি প্রয়োগ শুরু করেন। তিনি জনসাধারণের কল্যাণের জন্য হাসপাতাল, রাস্তা, বিশ্রামাগার তৈরি করেন। পশুদের জন্যও হাসপাতাল তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। অশোকের শাসনকালে বৌদ্ধ ধর্ম ভারতবর্ষ থেকে ছড়িয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে।
ঐতিহাসিক ড. বিনয়চন্দ্র সেন তার বই "A History of Indian People" এ লিখেছেন, "কলিঙ্গের যুদ্ধ যদি না হতো, অশোক হয়তো ইতিহাসে আরেকজন সাধারণ সম্রাট হিসেবেই থেকে যেতেন। এই যুদ্ধই তাকে মহান করে তুলেছে।"
কলিঙ্গের যুদ্ধ ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। কারণ, যুদ্ধের পর অশোক সামরিক জয়ের চেয়ে নৈতিক জয়ের উপর গুরুত্ব দেন। তার শাসননীতি এক আদর্শ হয়ে ওঠে। বৌদ্ধধর্মের বিস্তারেও কলিঙ্গ যুদ্ধ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরে অশোক প্রমাণ করেছিলেন, সম্রাটের আসল কর্তব্য হলো প্রজাদের মঙ্গল সাধন করা, কেবল যুদ্ধ করে রাজ্যজয় নয়। কলিঙ্গ যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ভারত বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করে।
বিখ্যাত ভারতীয় ইতিহাসবিদ ড. এ. এল. বাশাম বলেছেন, "কলিঙ্গ যুদ্ধ ভারতীয় ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণ। এটি ভারতীয় সমাজ ও রাজনীতিতে মানবতাবাদী চিন্তার সূচনা ঘটায়।"
বর্তমান সময়ে কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠলে আমরা দেখি, কীভাবে একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি ইতিহাসের ধারা পরিবর্তন করতে পারে। অশোকের অনুশোচনা এবং পরে তার ধর্মনির্ভর শাসনব্যবস্থা আমাদের শেখায়, ক্ষমতা অর্জনের চেয়ে মানবতার জয় অনেক বড়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলিঙ্গ যুদ্ধ একটি সময়োচিত শিক্ষা, যেখানে রাজনীতি ও মানবিকতা একসঙ্গে পথ চলার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ইতিহাসবিদ ড. শিরীন রাত্নাগর বলেন, "কলিঙ্গ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো—ক্ষমতা বা বিজয় শেষ কথা নয়; মানুষের জীবন এবং মানবিক মূল্যবোধই চূড়ান্ত।"
কলিঙ্গের যুদ্ধ একটি দুঃখজনক অধ্যায়, কিন্তু সেই দুঃখ থেকেই উঠে এসেছে নতুন আলো। অশোকের অনুতাপ, তার বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ, এবং মানবতাবাদী রাজনীতি ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
সুত্র: হিস্ট্রি ডট কম
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, পোস্টে স্টিভেন লিখেছেন, নোবেল কমিটি প্রমাণ করলো তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে অগ্রাধিকার দেয়। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিচুক্তি করে যাবেন। যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন এবং জীবন রক্ষা করবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেবিস্ফোরণস্থল বিস্ফোরকে বোঝাই থাকায় সেখানে উদ্ধারকারীরা প্রথমে যাননি। তাদের আশঙ্কা ছিল আবারও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি ফেরানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ ইসরায়েল সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী ধাপগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
১৯ ঘণ্টা আগে