ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেসবুক লাইভে এসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তিনি নিজ দায়িত্বে দিয়েছেন, এর পেছনে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজ দায়িত্বে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল তলব করলে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক ও সহযোগিতার সম্পর্ক প্রত্যাশা করে ভারত। সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে।
জসওয়াল আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জন্য আমাদের দায়ী করে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এসব বক্তব্যে ভারতকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের এসব বক্তব্যই পরিস্থিতি ক্রমশ নেতিবাচক হওয়ার জন্য দায়ী।
পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো রাখতে দুই দেশেরই সচেষ্টা থাকা উচিত উল্লেখ করে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক ভালো হয়, এমন সম্পর্কের জন্য যখন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশ পরিস্থিতির অবনতি না ঘটিয়ে একই রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাসের মাথায় গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক লাইভে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ওই লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
শেখ হাসিনার ওই ভাষণ ঘিরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। পরে এক্সক্যাভেটর ও বুলডোজার ব্যবহার করে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই রাতে ধানমন্ডি ৫/এ ঠিকানায় শেখ হাসিনার পারিবারিক বাসভবন সুধাসদনেও আগুন দেওয়া হয়।
বুধবার রাতেই খুলনায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাড়ি ‘শেখ বাড়ি’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়ি, বরিশালে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাড়িও বুলডোজার দিয়ে পিষে ফেলা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবারও সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা অব্যাহত ছিল। বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের, কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান, রাজশাহীতে শাহরিয়ার আলম, ভোলায় তোফায়েল আহমেদ, নাটোরে শফিকুল ইসলাম শিমুল, পিরোজপুরে এ কে এম এ আউয়াল ও হাবিবুর রহমান মালেকসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বাড়িতেই ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক স্থানেই এসব বাড়িও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা হল বা স্থাপনার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এসব হামলা-ভাঙচুরের জন্য শেখ হাসিনার ‘উসকানি’কে দায়ী করে। বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া নিয়ে ও বক্তব্য নিয়ে যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা থেকেই এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে দিবাগত মধ্যরাতে সরকারের আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা-ভাঙচুরে কেউ জড়িত হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
পরে শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করাসহ কোনো ধরনের আক্রমণ-হামলা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান। তিনি বিবৃতিতে বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য হলে এসবে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেসবুক লাইভে এসে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তিনি নিজ দায়িত্বে দিয়েছেন, এর পেছনে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজ দায়িত্বে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই। শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানকে এক করে ফেললে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিল্লিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল তলব করলে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক, গঠনমূলক ও সহযোগিতার সম্পর্ক প্রত্যাশা করে ভারত। সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও এ বিষয়টি বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে।
জসওয়াল আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ের জন্য আমাদের দায়ী করে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এসব বক্তব্যে ভারতকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের এসব বক্তব্যই পরিস্থিতি ক্রমশ নেতিবাচক হওয়ার জন্য দায়ী।
পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো রাখতে দুই দেশেরই সচেষ্টা থাকা উচিত উল্লেখ করে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক ভালো হয়, এমন সম্পর্কের জন্য যখন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেই সময় বাংলাদেশ পরিস্থিতির অবনতি না ঘটিয়ে একই রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাসের মাথায় গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক ফেসবুক লাইভে ছাত্রসমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে ওই লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
শেখ হাসিনার ওই ভাষণ ঘিরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। পরে এক্সক্যাভেটর ও বুলডোজার ব্যবহার করে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একই রাতে ধানমন্ডি ৫/এ ঠিকানায় শেখ হাসিনার পারিবারিক বাসভবন সুধাসদনেও আগুন দেওয়া হয়।
বুধবার রাতেই খুলনায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইদের বাড়ি ‘শেখ বাড়ি’ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতা। কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফের বাড়ি, বরিশালে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাড়িও বুলডোজার দিয়ে পিষে ফেলা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবারও সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতাসহ দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা অব্যাহত ছিল। বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদের, কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান, রাজশাহীতে শাহরিয়ার আলম, ভোলায় তোফায়েল আহমেদ, নাটোরে শফিকুল ইসলাম শিমুল, পিরোজপুরে এ কে এম এ আউয়াল ও হাবিবুর রহমান মালেকসহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বাড়িতেই ভাঙচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অনেক স্থানেই এসব বাড়িও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর বাইরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা হল বা স্থাপনার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থানে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে হামলা চালানো হয়েছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এসব হামলা-ভাঙচুরের জন্য শেখ হাসিনার ‘উসকানি’কে দায়ী করে। বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া নিয়ে ও বক্তব্য নিয়ে যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা থেকেই এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে দিবাগত মধ্যরাতে সরকারের আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা-ভাঙচুরে কেউ জড়িত হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
পরে শুক্রবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করাসহ কোনো ধরনের আক্রমণ-হামলা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান। তিনি বিবৃতিতে বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য হলে এসবে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
ইসরায়েলি বাহিনীর গত ২ বছরের অভিযানে গাজার ৯০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বস হয়ে গেছে। বাকি ১০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর একটি বড় অংশই ঘরবাড়ি।
৯ ঘণ্টা আগেবিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে বহু নারী ও শিশু অবস্থান করছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগেমুতাকি বলেন, এত আন্তরিক অভ্যর্থনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আশাবাদী, ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে। আমরা নতুন কূটনীতিক পাঠাব এবং আশা করি আপনাদের কেউ কেউও কাবুল সফরে যাবেন। দিল্লিতে যেভাবে আমাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, তাতে আমি ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সম্ভাবনা দেখছি।
১৯ ঘণ্টা আগেভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের আপসহীন নেত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউজ বলেছে, শান্তির বদলে রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প নোবেল না জিতলেও তিনি শান্তির জন্য কাজ করে যাবেন।
১ দিন আগে