
টিম রাজনীতি ডটকম


চৌকস সেনাদের ‘গার্ড অব অনারে’র মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষ বিদায় জানানো হলো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে তাকে এই গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এর আগে বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ খালেদা জিয়ার মরদেহ সমাহিত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়।
সেনা দল গার্ড অব অনার দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় খালেদা জিয়ার সমাধিতে। এরপর একে একে অন্যদের পক্ষ থেকেও জানানো হয় সম্মাননা।





রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হয়েছে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াকে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় খালেদা জিয়ার মরদেহ জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খুঁড়ে রাখা নির্ধারিত কবরে নামানো হয়। এরপর সেখানে বাঁশ দিয়ে কবরটি প্রস্তুত করা হয়।
বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে মায়ের কবরে মাটি দেন ছেলে তারেক রহমান। এ সময় তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানও খালেদা জিয়ার কবরে মাটি দেন।
একে একে সেখানে উপস্থিত সরকারের উপদেষ্টা, বিএনপির শীর্ষ নেতারাও খালেদা জিয়ার কবরে মাটি দেন। বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ খালেদা জিয়াকে সমাহিত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়েছে জিয়া উদ্যানে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে সমাধিস্থলে নেওয়া হয় খালেদা জিয়ার মরদেহ।










সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন দাফনের জন্য তার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে জিয়া উদ্যানে। সেখানে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পরপরই তার মরদেহ জানাজার মঞ্চ থেকে নামিয়ে লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো গাড়িতে করে নিয়ে রওয়ানা দেওয়া হয় জিয়া উদ্যানের দিকে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে এ জানাজা পড়ান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

জানাজার মঞ্চে দাঁড়িয়ে মা খালেদা জিয়ার যেকোনো ঋণ কারও কাছে থাকলে তা জানাতে বলেছেন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে মায়ের যেকোনো আচরণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্যও ক্ষমা চান তিনি।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৫৯ মিনিটে খালেদা জিয়ার জানাজার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘কারও কাছে খালেদা জিয়ার ঋণ থাকলে আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই পরিশোধের ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ। একই সাথে উনার কোনো ব্যবহারে বা কথায় আঘাত পেয়ে থাকলে তার পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত দান করেন।’
সংক্ষেপে এই দুটি লাইন বলেই মঞ্চ থেকে বিদায় নেন তারেক রহমান।


জানাজার মঞ্চে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ। সেখানে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৯ মিনিটে খালেদা জিয়ার জীবনী পাঠ শুরু করেন নজরুল ইসলাম খান।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কফিন নেওয়া হয়েছে জানাজা মঞ্চে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে কফিনটি জানাজা মঞ্চে নেওয়া হয়।
মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে জানাজাস্থলে পৌঁছেছেন তারেক রহমান। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে তারা জানাজাস্থলে পৌঁছান।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হচ্ছে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায়। সেখানেই খালেদা জিয়ার জানাজা পড়ানো হবে।
৬ নম্বর গেট দিয়ে ঢুকে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম প্রান্তে তার মরদেহ বহনকারী লাল-সবুজে মোড়ানো গাড়িটি রাখা ছিল। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সেটি সেখান থেকে নেওয়া হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায়।
খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি জানাজাস্থলে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সড়কের দুপাশে ছিল মানুষের ভিড়। তারা হাত নেড়ে খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানান।
দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভবন চত্বরে পৌঁছান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দাঁড়িয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজার কাতারে। তার পাশে রয়েছেন সাবেক নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
এ ছাড়া তিন বাহিনীর প্রধানরাও জানাজার কাতারে দাঁড়িয়েছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই খালেদা জিয়ার জানাজা হবে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে শোকবার্তা হস্তান্তর করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক।
এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বুধবার সকালে পাকিস্তানের স্পিকার ঢাকায় অবতর করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে শোকবার্তা তুলে দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এর আগে এস জয়শঙ্কর বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান।
ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা কিছু সময়ের মধ্যেই শুরু হবে। সেখানে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
খালেদা জিয়ার জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। এরই মধ্যে তিনি উপস্থিত জনতাকে কাতার সোজা করে দাঁড়াতে বলেছেন।
জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধান।
গোটা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সংসদ ভবন চত্বরে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ তিনি সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছান।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক।
বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ জানান, পাকিস্তানের স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কোটি মানুষ দোয়া করেছে তার জন্য। শেষ পর্যন্ত দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন যখন মৃত্যুর ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে, তাকে শেষ বিদায় দিতেও নেমেছে জনস্রোত। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো বিদায় দিতে যেমন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা, তেমনি এসেছেন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষও।
কেউ এসেছেন বগুড়া থেকে, কেউ এসেছেন ফেনী থেকে। দিনাজপুর, পাবনা, নোয়াখালী, ভোলা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তারা। তাদের কারও হাতে শোকের ব্যানার, কারও বুকে কালো ব্যাজ।
রাতের তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোরের দিকে অনেকে এসে পৌঁছেছেন সংসদ ভবন এলাকায়। মানুষের ভিড়ের কারণে সকাল ৮টা/৯টা নাগাদই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু জনস্রোত বন্ধ হয়নি। অনেকেই জানালেন, মাইলের পর মাইল হেঁটে তারা পৌঁছেছেন জানাজাস্থলে।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে—

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় পৌঁছেছেন।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে।
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমাধির জায়গা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে জিয়া উদ্যানে খালেদা জিয়ার সমাধির জায়গা পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় কবর খনন কার্যক্রম ছাড়াও সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন তিনি।

জানাজার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে। লাল-সবুজে মোড়ানো গাড়িতে রাখা হয়েছে মরদেহটি।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। মরদেহ রাখা হয়েছে সংসদ ভবনের পশ্চিম এলাকায়।
সেখানেই রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানানো হবে খালেদা জিয়াকে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সরকার, রাজনৈতিক নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানাবেন।

খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি গুলশান থেকে রওয়ানা হয়ে জানাজাস্থলের দিকে যাচ্ছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গাড়িটি গুলশান থেকে রওয়ানা দেয়। ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ গাড়িটি মহাখালী ফ্লাইওভার পার হয়ে জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় অবস্থান করছিল।
লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো রয়েছে খালেদা জিয়ার কফিন বহনকারী গাড়ি। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় কঠোর নিরাপত্তায় গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তারেক রহমান ও পরিবারের সদস্যরাও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের দিকে যাচ্ছেন একই বহরের সঙ্গে। গত ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার দিন যে গাড়িতে করে বিমানবন্দর থেকে বের হয়েছিলেন, একই গাড়িতে করেই আজও যাচ্ছেন তারেক রহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দা শর্মা মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধায় যোগ দিতে তিনি এই সফরে এলেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বালা নন্দা শর্মাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম ফরহাদুল ইসলাম।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে এরই মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। প্রিয় নেতার জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন মানুষ, ভোর থেকেই তারা জড়ো হতে শুরু করেছেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকায়।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করার ঘোষণার পর এরই মধ্যে সেখানে গার্ড অব অনারের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে জানাজা ও দাফন ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নিরাপত্তার স্বার্থে শেরেবাংলা নগরের মাজার ও আশপাশের এলাকায় সাধারণের প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বামী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এই কিংবদন্তি নেত্রী।

লাল-সবুজের পতাকায় মুড়িয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় মায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে বাসভবনে। সেখানে স্বজন ও দলের নেতাকর্মীদের ভিড়। এর মধ্যেই সন্তান মায়ের জন্য পাঠ করছেন পবিত্র কোরআন শরিফ।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে এমনই চিত্র দেখা গেছে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে, যেখানে বসে মা খালেদা জিয়ার জন্য কোরআন পাঠ করছিলেন তারেক রহমান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়া হয়েছে তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গুলশানের বাসভবনে।
প্রথমে মরদেহ খালেদা জিয়ার নিজের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্বজন ও নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে ভিড় করলে সেখানেই নেওয়া হয় খালেদা জিয়ার মরদেহ। সেখানেই সবাই শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তাকে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শেষ বিদায় ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা। খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন সামনে রেখে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এভারকেয়ার হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ ভবন ও জিয়া উদ্যান এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা ও জিয়া উদ্যানে দাফন সম্পন্ন হবে। জানাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, অন্য উপদেষ্টা, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এবং বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মরদেহ স্থানান্তর থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে ২৭ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনী।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মরদেহ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নেওয়া হচ্ছে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার কিছু সময় আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মরদেহবাহী গাড়ি রওনা হয় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে। গাড়িটি লাল-সবুজের পতাকায় মোড়ানো।
অগণিত নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।