‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি নাগরিক সমাজের

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০০
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির’ আওতায় আনতে ব্যর্থতা দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিতে না পারার দায়ও স্বরাষ্ট্র উপেদষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। বলেছেন, রাজনৈতিক দল ও সংবাদমাধ্যমকে এসব ‘অনাচারে’র বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) অগ্নিদগ্ধ ও ভাঙচুরের শিকার ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তাৎক্ষণিক পথসমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। পরে তারা ভাঙচুরের শিকার ছায়ানট ভবনও পরিদর্শন করেন।

এ সময় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, লেখক ও সাবেক সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমনসহ অন্যরা।

অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘এতদিনেও অপরাধীদের ধরা হয়নি, বরং উলটাপালটা নানা মানুষকে ধরা হচ্ছে এবং নানা ধরনের খামখেয়ালি কাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি— যা রাষ্ট্রের কাছে আমরা আশা করি না। এ দায় নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা হতে দেখেছি। এসব হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার একটি খুবই জঘন্য প্রচেষ্টা মাত্র। এই জঘন্য প্রচেষ্টায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরও খুঁজে বের করে, তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলকভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় আনতে হবে।’

‘বাংলাদেশের সব নাগরিকের পক্ষে আমরা সব সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি জানাই, আপনারা গণমাধ্যমের ওপর হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, এর প্রতিবাদ করুন। যদি আপনাদের মনে হয়, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কিংবা ছায়ানট আক্রান্ত হলে আপনাদের সুবিধা, আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই— এই প্রতিশোধপরায়ণতা কোনোভাবেই কোনো মানুষকে এই প্রতিশোধের আগুন থেকে বেঁচে থাকতে দেবে না। সুতরাং, আপনারা এখনই প্রতিবাদ করুন, এর বিরুদ্ধে দাঁড়ান,’— বলেন অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।

এ ছাড়া তিনি প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কাছে দেশের নাগরিকদেরকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিতে আহ্বান জানান। বলেন, ‘আজ দেশের খুবই জটিল সময়। এই সময়ে নাগরিকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিন, তাদের শান্ত রাখতে সচেষ্ট হোন। কারণ নাগরিকদের অধিকার সেখানেই, শান্তিপূর্ণ একটি দেশে নিরাপদভাবে বসবাস করার অধিকার। সে অধিকার রাজনৈতিক দলগুলো, তাদের সমর্থক এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিক রাখবে, সেটাই আমরা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আশা করি।’

অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘আমরা আর কোনো উসকানি দেখতে চাই না, আর কোনো সহিংসতা দেখতে চাই না। আমরা নাগরিকদের নিরাপদে থাকার অধিকার চাই। সামনে আর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন। সে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা রকমের খেলা চলছে। আমরা সবার কাছে আহ্বান জানাই— আমরা নাগরিকদের, সহনাগরিকদের হাতজোড় করে বলছি, দয়া করে আপনারা আইন হাতে তুলে নেবেন না, দয়া করে আপনারা আইনের শাসনের ওপর শ্রদ্ধাশীল থাকুন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি আমরা দাবি জানাই— যেন অবশ্যই এই প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ড, হামলা ও ভাঙচুরের তদন্ত করে বিচার হয়।’ নাগরিক সমাজের সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার থাকার জন্য আহ্বান এবং অুনরোধ জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান বলেন, ‘আগামী তিন-চার দিন কী হবে, তার ওপর নির্ভর করবে আমরা রাষ্ট্র হিসেবে কোথায় যাব। এই সময়ে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং দেশের সব জনগণকে সামনে এগিয়ে এসে যে দঙ্গলবাজির চেষ্টা চলছে তা রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন উপায় নেই।’

‘একই সঙ্গে যারা উসকানি দিচ্ছে, সে উসকানির বিরুদ্ধে আমদের ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। কারণ এ ছাড়া রাষ্ট্র পুনর্গঠনের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা বাস্তবায়ন হবে না,’— বলেন তিনি।

অধ্যাপক শাহান আরও বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে মনে করি, একটি রাষ্ট্র, একটি দেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছাড়া চলতে পারে না। সরকার শুধুমাত্র সবকিছু দেখে যাবে, কিছু করবে না— সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সকলের চেষ্টা ছাড়া এই দেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো রাস্তা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

সাবেক সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য, লেখক ও গবেষক ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, শরিফ ওসমান হাদির ওপর যে হামলা, সেটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতার কারণে হয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকার কিছু জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রথমত আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।’

‘দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সবগুলো দঙ্গলবাজিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা রহস্যময় এবং নীরব। আমরা দেখতে পেয়েছি সবসময় প্রচুর কথা বলেন তিনি, সরকারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রেস সেক্রেটারি শফিক সাহেব, পুরো রাত তিনি চুপ ছিলেন। সরকারের কোনো উপদেষ্টা কথা বলেন নাই। এই ভূমিকা নিন্দনীয় এবং হতাশাব্যঞ্জক। তারা বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে রক্ষা করার জন্য কোনো ভূমিকা রাখেন নাই। গণমাধ্যম আতঙ্কে থাকুক, গণমাধ্যম কথা না বলুক— এই জিনিসটাই যে সরকার চায়, কালকের রাতের ঘটনায় তা পরিষ্কারভাবে বোঝা গেছে,’— যোগ করেন তিনি।

ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের সব মানুষ শরিফ ওসমান হাদির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তার ওপর আক্রমণের বিচার দাবি করেছেন এবং তার মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। কিন্তু এই সবকিছুকে ছাপিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, ক্রোধকে পুঁজি করে আরও বেশি ক্রোধ তৈরি করে বাংলাদেশের এতগুলো প্রতিষ্ঠান, ছায়ানট, ডেইলি স্টার, প্রথম আলো— সবগুলোর ওপরই ভয়াবহ আক্রমণ চালানো হয়েছে।’

সরকারকে দঙ্গলবাজি ও মব বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘নূরুল কবীরের ওপর যারা হামলা করেছে, ছায়ানট-প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক। আমরা কোনো দঙ্গলবাজি চাই না, প্রতিহিংসা চাই না। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা এই দঙ্গলবাজিতে উসকানি দিয়েছেন, যারা নীরব থেকে পরোক্ষ সমর্থন জানিয়েছেন— এই সবকিছুকে আমরা ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বলে মনে করি।’

‘আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশের সব রকমের মত থাকবে, পন্থা থাকবে। কিন্তু সেই মত-পন্থাকে রাজনৈতিকভাবে প্রকাশিত হতে হবে। প্রত্যকটা নাগরিক যেন নির্ভয়ে তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন, সে রকম একটা ব্যবস্থা রাখতে হবে। কিন্তু এ রকম সহিংসতার পরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, কারও সঙ্গে কারও কথা বলার পরিবেশ থাকে না। সামনে যে নির্বাচন, এরকম একটা অস্থিতিশীল পরিবেশে সে নির্বাচন হুমকির মুখে পড়ে। আমরা মনে করি, নির্বাচনকে হুমকি মুখে ফেলাটাই এই ধরনের দঙ্গলবাজির উদ্দেশ্য,’— বলেন ফিরোজ আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, ‘কালকের রাতটা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটা রাত। গোটা রাতটা দঙ্গলবাজরা বাংলাদেশকে দখল করে নিয়েছিল। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কাউকে আমরা দেখিনি। নূরুল কবীরের মতো মানুষ, যিনি ১৮ বছর ধরে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যার ওপরে আওয়ামী লীগের আমলে অনেকবার হামলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যাকে অনেকবার হুমকির মুখে ফেলেছে, তাকেও কাল রাতে এই দঙ্গলবাজদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তার মতো মানুষের ওপর হামলা থেকে বোঝা যায়, জড়িতরা কোনো নিরীহ ক্ষুব্ধ জনতা না, তারা একটি সংগঠিত অংশ এবং এই সংগঠিত অংশ কীভাবে বাংলাদেশকে সামনের দিনে আরও অস্থিতিশীল করে ফেলতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের সর্তক ও সাবধান হওয়া দরকার।’

এ ছাড়া নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফিরোজ আহমেদ। বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, সংস্কৃতিচর্চার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমাদের একসাথে দাঁড়াতে হবে। দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশকে যারা রক্ষা করতে চায়, আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, একত্রে থাকুন, একত্রে প্রতিরোধ করুন।’

শরিফ ওসমান হাদিকে বাংলাদেশের মানুষ স্মরণ রাখবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তার ওপর হামলাকারীর এবং তার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার দাবি করছি। একই সাথে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।’

পথসমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, যারা বিদেশ থেকে এ গন্ডগোলগুলো লাগাচ্ছে, এটা কিন্তু তাদের বাকস্বাধীনতা না। তাদের জেলে ভরার জন্য ওই দেশের আইনই আছে। এ ধরনের গন্ডগোল ও জনরোষ তৈরির চেষ্টা করলে তাদের জেলে থাকার কথা। আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আন্তর্জাতিক মহলে এই দাবিটা তোলা, যেন তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।

তারা আরও বলেন, মানুষ বোঝে যে এগুলো আসলে একটা ষড়যন্ত্র। ডেইলি স্টারে যারা আক্রমণ করেছে, তারা প্রথমে হেলমেট পরে ঢুকে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে, তারপরে ভেতরে ঢুকেছে। সুতরাং, এগুলো পরিকল্পনার অংশ। বাংলাদেশকে এভাবে জিম্মি রাখা যাবে না। আন্তর্জাতিক ও দেশের ভেতরে যতগুলো শক্তি এটা করছে, রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব এটা ঠেকানোর। আমাদের সবার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে বাধ্য করা, যেন এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশের বাইরে যারা আছে, তাদের আড়ালে থাকতে দেওয়া যাবে না। ওরা আইন লঙ্ঘনকারী।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি সীমান্ত উত্তেজনা ও পুশইন রোধসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

৫ ঘণ্টা আগে

উদীচীর কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে একদল লোক এসে কার্যালয়টি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। আগুন লাগার পর কার্যালয়ের ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক উপস্থিতি দেখা গেছে।

৫ ঘণ্টা আগে

শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি আজকের মতো সমাপ্ত ঘোষণা

রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘোষণার পর মঞ্চে থাকা নেতারা শাহবাগ ত্যাগ করলেও এখনও অনেকেই ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। কোনো স্লোগান বা বক্তব্য অবশ্য দেওয়া হচ্ছে না।

৫ ঘণ্টা আগে

প্রতিশোধ ও বিদ্বেষ কেবল বিভাজন বাড়াবে: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান

ভলকার তুর্ক বলেছেন, 'প্রতিশোধ ও বিদ্বেষ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং সকলের অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে।'

৫ ঘণ্টা আগে