বিবিসি বাংলা
২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে হিসাবে নির্বাচনের বাকি আছে আর ঠিক ১০ মাস। এপ্রিল মাসের তাপমাত্রাসহ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ওই সময় নির্বাচনের কতটা উপযোগী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরও প্রশ্ন উঠেছে, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কতটা প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)?
নির্বাচনের আগে দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, আইন-বিধি-নীতিমালা সংস্কার এবং তফসিল ঘোষণাসহ নির্বাচন কমিশনের সামনে রয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও বলছেন, সাধারণত আগের সব জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি।
তারপরও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি নেই বলেই জানালেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কাজেই তাকে তো প্রস্তুতি নিতেই হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সময় কিছুটা কম হলেও এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম যেমন বলেন, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে অসম্ভব নয়।
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ আগেভাগেই শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে, একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে তফসিল ঘোষণার আগেই যা সম্পন্ন করা হয়। সে পরিকল্পনাই থাকে নির্বাচনি রোডম্যাপে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নতুন দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা, ব্যালট পেপার প্রস্তুত, নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগের মতো কাজ সম্পাদনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখাও যুক্ত থাকে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশনও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বেশ কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজও শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনেরও যেমন কাজ চলছে, আমরা আমাদের প্রস্তুতি রাখব। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, সেটি হলো ভোট হবে। আগাম প্রস্তুতি নিতেই হবে আমাদের।
‘চলমান পদ্ধতির ধারাবাহিকতায় অনেক সরঞ্জাম দরকার ছিল, সেটা আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা ব্যালট বাক্স, কালি, স্টাম্প প্যাড— এই জিনিসগুলোর জন্য টেন্ডারিং প্রসেসে গিয়েছি। এটার জন্য টাকা লাগবে, সেই বাজেট বরাদ্দ আমরা চেয়েছি। এখন রোডম্যাপ প্রকাশের মতো সময় এসেছি কি না, আমরা জানি না। তবে প্রাথমিকভাবে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটি আমরা নিচ্ছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এরই মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকও করছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচনপূর্ব বেশ কিছু কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনও।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে— প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণার পর থেকেই কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইলেকশন কমিশন ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুত।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নিতে থাকবে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আমরা বাস্তবায়নকারী সংস্থা। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাজ মেহমান আপ্যায়নের মতো। যদি আপনি আমার বাসায় আসেন, দুপুরে খাবেন, দুপুর বলতে কিন্তু ৩টা, সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হতে পারে। বাড়িওয়ালাকে কিন্তু ১২টা থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজটি সময়সাপেক্ষ হলেও এরই মধ্যে নোটিফিকেশন দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার আগের ঘোষিত সময় অনুযায়ীই আমরা অলরেডি প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন আয়োজন, কমিশনের প্রথম কাজই এইটা। যে টাইম এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দিয়েছেন এই সময়ের মধ্যে আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুত হয়ে যাব।
এর আগে বেশির ভাগ সময় জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা আসলেও এখনো রোডম্যাপ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ এই সময়ের মধ্যে গুছিয়ে নেয়া সম্ভব হবে কি না।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ইসির সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলী বলেন, ইলেকশন কমিশনের সামনে অনেকগুলো কাজ রয়েছে, যার মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কাজগুলো সময়সাপেক্ষ।
এই বিশ্লেষকের অভিমত, ভোটার তালিকার ওপর নির্বাচনের বড় একটি প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কেননা ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, সীমানা চূড়ান্তসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় প্রস্তুতি নিতে হয়।
এই কাজগুলো শেষ করে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলেই মনে করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম। বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব নয় বলেই অভিমত তার।
আব্দুল আলীম বলেন, সংলাপের বিষয়টি নির্বাচনি রোডম্যাপের মধ্যে থাকে। বিভিন্ন সংস্কার কমিশন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার এরই মধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে এ কাজটি সেরেছে। আমি মনে করি, আলাদা করে সংলাপ আর না করলেও চলবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিছুটা সময় হাতে পাবে।
তবে নির্বাচন কমিশনকে খুব ‘অ্যাকশন ওরিয়েন্টেড’ হতে হবে বলেও মনে করেন আব্দুল আলীম। আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাকে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ মনে হয়েছে তার কাছে।
আব্দুল আলীম বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকতে পারছে না, কাজেই তারা যে একদম চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে প্রশাসনে এখনো অনেক দলীয় লোকজন আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করে, এগুলো সম্ভব সবই। তবে সেভাবে উদ্যোগ নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। সরকারকে সহায়তা করে সবাইকে কাজ করতে হবে।
পরিস্থিতি সামলাতে সরকারকে একটি সমন্বিত নির্বাচনি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে কেবল ইলেকশন কমিশন নয়, সরকার ও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেই মনে করেন তারা।
২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে হিসাবে নির্বাচনের বাকি আছে আর ঠিক ১০ মাস। এপ্রিল মাসের তাপমাত্রাসহ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ওই সময় নির্বাচনের কতটা উপযোগী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আরও প্রশ্ন উঠেছে, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কতটা প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)?
নির্বাচনের আগে দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, আইন-বিধি-নীতিমালা সংস্কার এবং তফসিল ঘোষণাসহ নির্বাচন কমিশনের সামনে রয়েছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও বলছেন, সাধারণত আগের সব জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি।
তারপরও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা করা সময়ে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতির ঘাটতি নেই বলেই জানালেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কাজেই তাকে তো প্রস্তুতি নিতেই হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সময় কিছুটা কম হলেও এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে মনে করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরাও। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম যেমন বলেন, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে অসম্ভব নয়।
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ আগেভাগেই শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে, একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে তফসিল ঘোষণার আগেই যা সম্পন্ন করা হয়। সে পরিকল্পনাই থাকে নির্বাচনি রোডম্যাপে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস, নতুন দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটা, ব্যালট পেপার প্রস্তুত, নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগের মতো কাজ সম্পাদনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখাও যুক্ত থাকে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশনও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বেশ কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজও শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনেরও যেমন কাজ চলছে, আমরা আমাদের প্রস্তুতি রাখব। আমাদের একটা লক্ষ্য আছে, সেটি হলো ভোট হবে। আগাম প্রস্তুতি নিতেই হবে আমাদের।
‘চলমান পদ্ধতির ধারাবাহিকতায় অনেক সরঞ্জাম দরকার ছিল, সেটা আমরা সংগ্রহ করেছি। আমরা ব্যালট বাক্স, কালি, স্টাম্প প্যাড— এই জিনিসগুলোর জন্য টেন্ডারিং প্রসেসে গিয়েছি। এটার জন্য টাকা লাগবে, সেই বাজেট বরাদ্দ আমরা চেয়েছি। এখন রোডম্যাপ প্রকাশের মতো সময় এসেছি কি না, আমরা জানি না। তবে প্রাথমিকভাবে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সেটি আমরা নিচ্ছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এরই মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকও করছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচনপূর্ব বেশ কিছু কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনও।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে— প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণার পর থেকেই কমিশন প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ইলেকশন কমিশন ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুত।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নিতে থাকবে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আমরা বাস্তবায়নকারী সংস্থা। আর বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাজ মেহমান আপ্যায়নের মতো। যদি আপনি আমার বাসায় আসেন, দুপুরে খাবেন, দুপুর বলতে কিন্তু ৩টা, সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হতে পারে। বাড়িওয়ালাকে কিন্তু ১২টা থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কাজটি সময়সাপেক্ষ হলেও এরই মধ্যে নোটিফিকেশন দিয়েছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার আগের ঘোষিত সময় অনুযায়ীই আমরা অলরেডি প্রস্তুতি নিচ্ছি। নির্বাচন আয়োজন, কমিশনের প্রথম কাজই এইটা। যে টাইম এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় দিয়েছেন এই সময়ের মধ্যে আমরা প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুত হয়ে যাব।
এর আগে বেশির ভাগ সময় জাতীয় নির্বাচনের অন্তত দেড় বছর আগে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে ইসি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা আসলেও এখনো রোডম্যাপ দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ এই সময়ের মধ্যে গুছিয়ে নেয়া সম্ভব হবে কি না।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ইসির সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন টুলী বলেন, ইলেকশন কমিশনের সামনে অনেকগুলো কাজ রয়েছে, যার মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কাজগুলো সময়সাপেক্ষ।
এই বিশ্লেষকের অভিমত, ভোটার তালিকার ওপর নির্বাচনের বড় একটি প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কেননা ভোটার তালিকার ওপর নির্ভর করেই ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, সীমানা চূড়ান্তসহ নির্বাচন কেন্দ্রিক বড় প্রস্তুতি নিতে হয়।
এই কাজগুলো শেষ করে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলেই মনে করেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের আরেক সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম। বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হলেও অসম্ভব নয় বলেই অভিমত তার।
আব্দুল আলীম বলেন, সংলাপের বিষয়টি নির্বাচনি রোডম্যাপের মধ্যে থাকে। বিভিন্ন সংস্কার কমিশন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকার এরই মধ্যে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে এ কাজটি সেরেছে। আমি মনে করি, আলাদা করে সংলাপ আর না করলেও চলবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কিছুটা সময় হাতে পাবে।
তবে নির্বাচন কমিশনকে খুব ‘অ্যাকশন ওরিয়েন্টেড’ হতে হবে বলেও মনে করেন আব্দুল আলীম। আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাকে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ মনে হয়েছে তার কাছে।
আব্দুল আলীম বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে থাকতে পারছে না, কাজেই তারা যে একদম চুপ করে বসে থাকবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে প্রশাসনে এখনো অনেক দলীয় লোকজন আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করে, এগুলো সম্ভব সবই। তবে সেভাবে উদ্যোগ নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। সরকারকে সহায়তা করে সবাইকে কাজ করতে হবে।
পরিস্থিতি সামলাতে সরকারকে একটি সমন্বিত নির্বাচনি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে কেবল ইলেকশন কমিশন নয়, সরকার ও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেই মনে করেন তারা।
নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী এখনো অফিশিয়ালি কোনো নির্দেশনা পায়নি। তবে নির্দেশনা পেলে দায়িত্ব পালনে বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সেনাসদর
৬ ঘণ্টা আগেধর্ষণ মামলায় আটক আলোচিত-সমালোচিত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মামলার বাদীর (ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী) রেজিস্ট্রি কাবিননামার মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
৬ ঘণ্টা আগেউপদেষ্টা বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যদের দেখলাম। আল্লাহর রহমতে তারা ভালো আছে। এক কনস্টেবলের পায়ে ও এএসআইয়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কনস্টেবলের পায়ের গুলি রাতেই রিমুভ করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। তাঁকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। আরেক জনের পেটের গুলি ৪৮ ঘণ্টার পর অস্ত্রোপচার করা হবে।’
৭ ঘণ্টা আগেবিগত সরকারের সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। হয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথবা তাকে বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে সাধারণত জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো। আবার কাউকে কাউকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে ভারতের আই
৮ ঘণ্টা আগে