
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

দীর্ঘ ১২ বছরের স্বপ্ন, রাত পোহালেই সেই স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু। তবে সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক অনিশ্চয়তা। কারণ- চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রই পায়নি রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্রী মোসা. শারমিন খাতুন। তবে মহানুভব এক শিক্ষকের প্রচেষ্টায় সে বাধা দূর হয়ে যায়। পরীক্ষার আগের রাতেই প্রবেশপত্র হাতে পান শারমিন। সেই মহানুভব শিক্ষক হচ্ছেন- কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহা. বায়েজীদ বোস্তামী।
শারমিন খাতুনের পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে নিজ কলেজের ছাত্রীর প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ার কথা জানতে পেরে পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে রাজশাহী শিক্ষারোর্ডে যান অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামী। সেখানে তিনি রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র প্রস্তুত করে ওই পরীক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত প্রবেশপত্র পাননি ছাত্রী শারমিন খাতুন। ফরম পূরণের সময় কিছু সমস্যা হওয়ায় তার কলেজে প্রবেশপত্র আসেনি। এ নিয়ে কলেজে যোগাযোগ করেন তিনি।
শারমিন খাতুন বলেন, কলেজে যেদিন প্রবেশপত্র দেয় সেদিন আমি যেতে পারিনি। পরে আমি পরীক্ষা শুরুর আগের দিন দুপুরের দিকে শিক্ষকদের কাছে প্রবেশপত্র নিতে যাই। তারা সমস্ত প্রবেশপত্র খুঁজে দেখেন আমার প্রবেশপত্র আসেনি। তখন বুঝতে পারি ফরম পূরণের সময় আমার কিছু ত্রুটি ছিল। আমি সঠিকভাবে ফর্ম পূরণের পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারেনি, যার ফলে এই সমস্যাটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি শোনার পর থেকে আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন কী করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না কারণ রাত পোহালেই আমার পরীক্ষা। তখন সবকিছু শুনে বায়েজীদ বোস্তামী স্যার আমাকে সাহস দেন। আমার বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করেন। তিনি সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে অনেক রাতে শিক্ষাবোর্ডে নিজে উপস্থিত থেকে প্রবেশপত্র প্রস্তুত হলে নিজেই নিয়ে এসে আমার বাড়িতে আমার হাতে পৌঁছে দেন।
শারমিন বলেন, পরীক্ষার পর বিকেলে স্যার আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমার পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না আমি পরীক্ষা দিতে পেরেছি কি না। স্যারের নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। আমি স্যারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা আবেদীন বলেন, প্রফেসর বায়েজিদ বোস্তামীকে আমি যতদিন ধরে চিনি উনি খুবই সৎ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান। তার গুণাবলি বলে শেষ করা যাবে না। উনি খুবই শিক্ষার্থীবান্ধব। শিক্ষার্থীদের প্রতি উনার মহব্বত দেখে আমি আনন্দিত ও গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি ছাত্রদের যে কোনো বিপদে আর্থিক বা মানসিক যে কোনো সমস্যায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার মতো নিষ্ঠাবান কর্মঠ এবং দক্ষ কর্মকর্তা বর্তমান সময়ে দুর্লভ। অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামীর মতো দক্ষ ও সৎ মানুষদের রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সঠিক মূল্যায়ন হবে আমি আশা রাখি।
অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামী বলেন, দেখুন এই বিষয়গুলো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতোই দেখি এবং তাদের যে কোনো বিপদ বা সমস্যা হলে আমরা সেটা সমাধান করার চেষ্টা করি যথাসম্ভব। ওই ছাত্রীর বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। হয়তো আল্লাহ চেয়েছে তাই আমরা পেরেছি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তবে মেয়েটি একদম শেষ সময়ে আসাতে আমরাও শঙ্কিত ছিলাম শেষ পর্যন্ত পাররো কি না? তবে আল্লাহর রহমতে পেরেছি। আমার সকল শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

দীর্ঘ ১২ বছরের স্বপ্ন, রাত পোহালেই সেই স্বপ্নপূরণের যাত্রা শুরু। তবে সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক অনিশ্চয়তা। কারণ- চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রই পায়নি রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্রী মোসা. শারমিন খাতুন। তবে মহানুভব এক শিক্ষকের প্রচেষ্টায় সে বাধা দূর হয়ে যায়। পরীক্ষার আগের রাতেই প্রবেশপত্র হাতে পান শারমিন। সেই মহানুভব শিক্ষক হচ্ছেন- কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহা. বায়েজীদ বোস্তামী।
শারমিন খাতুনের পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না তা নিয়ে ছিল সংশয়। তবে নিজ কলেজের ছাত্রীর প্রবেশপত্র হাতে না পাওয়ার কথা জানতে পেরে পরীক্ষা শুরুর আগের রাতে রাজশাহী শিক্ষারোর্ডে যান অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামী। সেখানে তিনি রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র প্রস্তুত করে ওই পরীক্ষার্থীর হাতে পৌঁছে দিয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত প্রবেশপত্র পাননি ছাত্রী শারমিন খাতুন। ফরম পূরণের সময় কিছু সমস্যা হওয়ায় তার কলেজে প্রবেশপত্র আসেনি। এ নিয়ে কলেজে যোগাযোগ করেন তিনি।
শারমিন খাতুন বলেন, কলেজে যেদিন প্রবেশপত্র দেয় সেদিন আমি যেতে পারিনি। পরে আমি পরীক্ষা শুরুর আগের দিন দুপুরের দিকে শিক্ষকদের কাছে প্রবেশপত্র নিতে যাই। তারা সমস্ত প্রবেশপত্র খুঁজে দেখেন আমার প্রবেশপত্র আসেনি। তখন বুঝতে পারি ফরম পূরণের সময় আমার কিছু ত্রুটি ছিল। আমি সঠিকভাবে ফর্ম পূরণের পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারেনি, যার ফলে এই সমস্যাটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি শোনার পর থেকে আমি আতঙ্কিত হয়ে যাই। তখন কী করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না কারণ রাত পোহালেই আমার পরীক্ষা। তখন সবকিছু শুনে বায়েজীদ বোস্তামী স্যার আমাকে সাহস দেন। আমার বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগ করেন। তিনি সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে অনেক রাতে শিক্ষাবোর্ডে নিজে উপস্থিত থেকে প্রবেশপত্র প্রস্তুত হলে নিজেই নিয়ে এসে আমার বাড়িতে আমার হাতে পৌঁছে দেন।
শারমিন বলেন, পরীক্ষার পর বিকেলে স্যার আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমার পরীক্ষা দিতে কোনো সমস্যা হয়েছে কি না আমি পরীক্ষা দিতে পেরেছি কি না। স্যারের নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ। আমি স্যারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা আবেদীন বলেন, প্রফেসর বায়েজিদ বোস্তামীকে আমি যতদিন ধরে চিনি উনি খুবই সৎ, কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান। তার গুণাবলি বলে শেষ করা যাবে না। উনি খুবই শিক্ষার্থীবান্ধব। শিক্ষার্থীদের প্রতি উনার মহব্বত দেখে আমি আনন্দিত ও গর্ববোধ করি।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি ছাত্রদের যে কোনো বিপদে আর্থিক বা মানসিক যে কোনো সমস্যায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার মতো নিষ্ঠাবান কর্মঠ এবং দক্ষ কর্মকর্তা বর্তমান সময়ে দুর্লভ। অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামীর মতো দক্ষ ও সৎ মানুষদের রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সঠিক মূল্যায়ন হবে আমি আশা রাখি।
অধ্যাপক বায়েজীদ বোস্তামী বলেন, দেখুন এই বিষয়গুলো আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতোই দেখি এবং তাদের যে কোনো বিপদ বা সমস্যা হলে আমরা সেটা সমাধান করার চেষ্টা করি যথাসম্ভব। ওই ছাত্রীর বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। হয়তো আল্লাহ চেয়েছে তাই আমরা পেরেছি, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তবে মেয়েটি একদম শেষ সময়ে আসাতে আমরাও শঙ্কিত ছিলাম শেষ পর্যন্ত পাররো কি না? তবে আল্লাহর রহমতে পেরেছি। আমার সকল শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে কমনওয়েলথ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
৫ ঘণ্টা আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সাংবিধানিক ইতিহাস দীর্ঘ। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা সংযোজিত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বিশ্ব যখন অপরিবর্তনীয় জলবায়ু ক্ষতি এবং বহুপাক্ষিকতার প্রতি আস্থাহীনতার কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি, তখন বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কোনো দূরবর্তী ধারণা নয়, বরং প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও ভাঙনে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে, জীববৈচি
১৭ ঘণ্টা আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রণীত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা
১৮ ঘণ্টা আগে