‘সফল’ ডাকসু নির্বাচনের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞ ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ছবি: ভিডিও থেকে

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থী, প্রার্থী, গণমাধ্যম কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অংশীজনদের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ নির্বাচন আয়োজন করে। একে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতি ও এর মূল্যবোধের প্রতি সম্মান জানানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখি।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের সব পর্যায়ে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতির জন্য বিশেষভাবে সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চ্যানেল এসের সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম শিবলীর মৃত্যুতে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন ও মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

উপাচার্য নির্বাচনের প্রতিটি পর্বে ব্যাপক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটি তারা পুরোপুরি কাজে লাগাবেন বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অধ্যাপক নিয়াজ বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রকৃত অর্থেই দিন ও রাত জেগে কাজ করেছেন। গত ১১ মাসব্যাপী এ আয়োজনে আমার সহকর্মীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তারা প্রতিটি পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছেন, বাস্তবায়ন করেছেন। তাদের ভূমিকা যেকোনো বিবেচনায় অনবদ্য।

ডাকসু নির্বাচনে অভিভাবক, বিভিন্ন শিক্ষক ফোরাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষকদলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন যারা ছিলেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক নিয়াজ। ধন্যবাদ জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোকে। নির্বাচনে বিজয়ী ও বিজিত প্রার্থীদের প্রতিও শুভকামনা জানান।

উপাচার্য বলেন, দুটি কারণে প্রার্থীদের প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান উল্লেখ করা জরুরি। প্রথমত, তারা ডাকসুর মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছেন। দ্বিতীয়ত, প্রস্তুতি পর্ব থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বড় মাপের সংঘাত ছাড়া তারা এক সঙ্গে ছিলেন। বিভিন্ন দল ও মত, অনেক রকম মতপার্থক্য সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের প্রতি মমত্ববোধের কারণে আমরা যে এক হতে পারি, তার একটি চমৎকার উদাহরণ তারা তৈরি করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে থাকার জন্য পুরো দেশবাসীকেও অভিবাদন জানান ঢাবি উপাচার্য। বলেন, আমাদের এখনো অনেক পথ বাকি। ডাকসু সক্রিয় করার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার প্রক্রিয়ায় এবং বাংলাদেশ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আমরা দেশ ও জাতির সঙ্গে থাকতে চাই।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন