রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ দিনের মতো ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।
এদিকে ক্যাম্পাস শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনের লিচুতলায় চেয়ার পেতে বসেছেন কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, অ্যাকাডেমিক ভবনসহ সব শ্রেণিকক্ষ ও দপ্তরেই তালা ঝুলছে। ব্যস্ততম পরিবহন ও টুকিটাকি চত্বরে মানুষের আগাগোনা কম। ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ খাবার ও চায়ের দোকানও বন্ধ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অফিসার্স সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সভা করেছে। বুধবার সকাল ১০টায় উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব সম্প্রতি স্থায়ীকরণকৃত সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
পরে কর্মচারীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনে কর্মচারীরা নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বপরায়ণ হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদের আন্দোলন ও আলোচনা সমান্তরালভাবে চলছে। প্রশাসনের আমন্ত্রণে আলোচনায় বসেছিলাম। তারপর আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে গতকাল রাতে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ বৈঠক করেছে। আজ সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন কর্মচারীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। এরপরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
এদিকে ক্যাম্পাস শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, টানা তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে রাকসু নির্বাচন। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পোষ্যকোটা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মানে আবারও ১৬ অক্টোবরের আগে পোষ্যকোটার মতো একটি মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে। আর সেই হালে বাতাস দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ষড়যন্ত্র আর মেনে নেবে না। রাকসু নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা রাকসু পেছানোর আন্দোলনের ফাঁদে পা দিয়েছিল, তাদের কাউকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষমা করবে না।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরও তারা পোষ্যকোটা ফিরিয়ে আনতে চায়। কতিপয় শিক্ষক যারা নির্দিষ্ট একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে, যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা ছাত্রসংগঠন রাকসু নির্বাচনে হেরে যাবে—এই ভয়ে তারা পোষ্যকোটা ইস্যু সামনে আনতে চায়। তারা মূলত শিক্ষার্থীদের সার্বিক অধিকার, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, পড়াশোনার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চায়। তাদের আরেকটি এজেন্ডা হলো রাকসু নির্বাচন পেছানোর অপরাজনীতি করে রাকসুকে বানচাল করা। এই ষড়যন্ত্র গত ৩৫ বছর ধরেই হয়ে আসছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা বলে দিতে চাই, সবকিছু মনে রাখা হবে।’
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে রাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আ. নূর বলেন, গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের টাকা প্রশাসনকে লিচুতলায় বসে থাকার জন্য দেওয়া হয় না। শিক্ষাঙ্গণে আমাদের শিক্ষার অধিকার হরণ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে আমাদের ক্লাসরুম-লাইব্রেরি খুলে দিন এবং শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ দিনের মতো ‘পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।
এদিকে ক্যাম্পাস শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের সড়কে বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনের লিচুতলায় চেয়ার পেতে বসেছেন কর্মবিরতিতে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, অ্যাকাডেমিক ভবনসহ সব শ্রেণিকক্ষ ও দপ্তরেই তালা ঝুলছে। ব্যস্ততম পরিবহন ও টুকিটাকি চত্বরে মানুষের আগাগোনা কম। ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ভ্রাম্যমাণ খাবার ও চায়ের দোকানও বন্ধ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অফিসার্স সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা সভা করেছে। বুধবার সকাল ১০টায় উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব সম্প্রতি স্থায়ীকরণকৃত সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
পরে কর্মচারীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। এটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনে কর্মচারীরা নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বপরায়ণ হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদের আন্দোলন ও আলোচনা সমান্তরালভাবে চলছে। প্রশাসনের আমন্ত্রণে আলোচনায় বসেছিলাম। তারপর আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে গতকাল রাতে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ বৈঠক করেছে। আজ সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন কর্মচারীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। এরপরই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
এদিকে ক্যাম্পাস শাটডাউনের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, টানা তৃতীয়বারের মতো পেছানো হয়েছে রাকসু নির্বাচন। সিন্ডিকেট মিটিংয়ে পোষ্যকোটা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মানে আবারও ১৬ অক্টোবরের আগে পোষ্যকোটার মতো একটি মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে রাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হতে পারে। আর সেই হালে বাতাস দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ষড়যন্ত্র আর মেনে নেবে না। রাকসু নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যারা রাকসু পেছানোর আন্দোলনের ফাঁদে পা দিয়েছিল, তাদের কাউকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষমা করবে না।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘এতকিছু হয়ে যাওয়ার পরও তারা পোষ্যকোটা ফিরিয়ে আনতে চায়। কতিপয় শিক্ষক যারা নির্দিষ্ট একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করে, যাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা ছাত্রসংগঠন রাকসু নির্বাচনে হেরে যাবে—এই ভয়ে তারা পোষ্যকোটা ইস্যু সামনে আনতে চায়। তারা মূলত শিক্ষার্থীদের সার্বিক অধিকার, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, পড়াশোনার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিনষ্ট করতে চায়। তাদের আরেকটি এজেন্ডা হলো রাকসু নির্বাচন পেছানোর অপরাজনীতি করে রাকসুকে বানচাল করা। এই ষড়যন্ত্র গত ৩৫ বছর ধরেই হয়ে আসছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা বলে দিতে চাই, সবকিছু মনে রাখা হবে।’
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে রাকসু নির্বাচনের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী আ. নূর বলেন, গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের টাকা প্রশাসনকে লিচুতলায় বসে থাকার জন্য দেওয়া হয় না। শিক্ষাঙ্গণে আমাদের শিক্ষার অধিকার হরণ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে আমাদের ক্লাসরুম-লাইব্রেরি খুলে দিন এবং শিক্ষার অধিকার ফিরিয়ে দিন।
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। তিনি এ মামলার ৫২তম সাক্ষী।
৩ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৪ মাসে নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পদক্ষেপ তুলে ধরবেন।’
৪ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকালে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, ক্রীড়া ও অলিম্পিকে সামাজিক ব্যবসার সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক শরণার্থী সঙ্কট—বিশেষ করে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট সম্পর্কে ব্যাপক মত বিনিময় করেন।
৬ ঘণ্টা আগে