
নাজমুল ইসলাম হৃদয়

দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাকি দাবি-দাওয়াগুলো পূরণ হয়নি। বিশেষ করে ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধি কার্যকর না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে বিভাজনও দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সংগঠন ও কর্মচারী নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব।
কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারী নেতাদের তীব্র সমালোচনা করছেন।
গত মে মাসে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ করা হয়, যা আগে ছিল মূল বেতনের ২৫ শতাংশ।
তবে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের আগের হারে অর্থাৎ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা বহাল রাখা হয়।
গত ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠায়। কিন্তু ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেবল শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠালেও আগে থেকেই মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাওয়া এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায়নি। এবার কর্মচারীদের দাবি ছিল উৎসব ভাতা বাড়ানোর। আন্দোলনের মধ্যে এই ভাতা না বাড়ায় তা আর সহসা বাড়বে না বলেই তাদের আশঙ্কা।
বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রথম দফায় ৫০০ টাকা বাড়িয়েছিল সরকার। গত ৫ অক্টোবর এ ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
এরপর গত ৬ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে প্রস্তাব অনুমোদনের ঘোষণা না পেলে ১২ অক্টোবর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। সে আন্দোলনের দশম দিনে গিয়ে সরকার বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্ধিত ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবেন দুই ধাপে। ১৫ শতাংশের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে সাড়ে ৭ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। বাকি সাড়ে ৭ শতাংশ কার্যকর হবে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে আন্দোলনের বাকি দুটি দাবি ছিল— শিক্ষক-কর্মচারী সবার চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা। বাড়ি ভাড়া বাড়লেও শিক্ষক-কর্মচারীদের এ দুই দাবি পূরণ করেনি সরকার।
কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক ও কর্মচারী নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে প্রশ্ন তুলেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজীর ভূমিকা নিয়ে।
অধ্যক্ষ আজিজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী রাজীব দেবনাথ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘উনি ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। উৎসব ভাতা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। উনি কর্মচারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কর্মচারীরা তার এই বিশ্বাসঘাতকতা সারা জীবন মনে রাখবে।’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলীও। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলছেন, আলাপচারিতায় আমাদের একজন কর্মচারী প্রতিনিধি ছিলেন। এটা প্রতারণার শামিল।’
এবার এ দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন জানিয়ে জাফর আলী বলেন, ‘আমরা কর্মচারীরা এবার ঐক্যবদ্ধ হব। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ঈদের আগেই বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। প্রয়োজনে সারা দেশের কর্মচারী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামব।’
কর্মচারীদের এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলছেন, মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ধাপে আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, কর্মচারীরা এখন আমাদের গালি দিচ্ছেন। এরপর যদি প্রোপাগান্ডা চালান, তাহলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আমরা শুধু শিক্ষকরা আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করব, কর্মচারীদের আন্দোলন থেকে বাদ দেবো।
অধ্যক্ষ আজিজীর এ মন্তব্যে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বেড়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরছেন কর্মচারীরাও। তাদের আশাবাদ, সরকার হয়তো পরের ধাপে তাদের দাবি শুনবে।
খুলনার শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অফিস সহকারী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা হতাশ হলেও কর্মস্থলে ফিরছি। তবে উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের দাবি বিবেচনা করে— এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। দীর্ঘ আন্দোলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নভেম্বর মাসে শনিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক জোট। তাদের সে আহ্বানে সাড়া দিতে কর্মচারীরা নারাজ। কর্মচারী নেতাদের অনেকেই বলছেন, শিক্ষকরা শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেও তারা যাবেন না।
এ পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের অনেকেই আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে এনে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দুপক্ষকেই। বিভাজিত হয়ে পড়লে তা দুপক্ষের কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য তাদের।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল বলেই সরকার বাড়ি ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এখন বিভক্ত হয়ে পড়লে বাকি দাবি পূরণে যদি আন্দোলন হয়, তার শক্তি কমে যাবে। তাই শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠনগুলোকে দ্রুত সংলাপে বসে বাকি দাবিগুলো সমাধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’ ওই শিক্ষক নেতা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাকি দাবি-দাওয়াগুলো পূরণ হয়নি। বিশেষ করে ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বৃদ্ধি কার্যকর না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে বিভাজনও দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সংগঠন ও কর্মচারী নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দূরত্ব।
কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারী নেতাদের তীব্র সমালোচনা করছেন।
গত মে মাসে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি) এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ করা হয়, যা আগে ছিল মূল বেতনের ২৫ শতাংশ।
তবে এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের আগের হারে অর্থাৎ মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা বহাল রাখা হয়।
গত ২১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উৎসব ভাতা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশে ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠায়। কিন্তু ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেবল শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠালেও আগে থেকেই মূল বেতনের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা পাওয়া এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠায়নি। এবার কর্মচারীদের দাবি ছিল উৎসব ভাতা বাড়ানোর। আন্দোলনের মধ্যে এই ভাতা না বাড়ায় তা আর সহসা বাড়বে না বলেই তাদের আশঙ্কা।
বাড়ি ভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা বাড়ানোর দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রথম দফায় ৫০০ টাকা বাড়িয়েছিল সরকার। গত ৫ অক্টোবর এ ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
এরপর গত ৬ অক্টোবর এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে প্রস্তাব অনুমোদনের ঘোষণা না পেলে ১২ অক্টোবর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন। সে আন্দোলনের দশম দিনে গিয়ে সরকার বাড়ি ভাড়া বাড়িয়ে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্ধিত ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবেন দুই ধাপে। ১৫ শতাংশের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে সাড়ে ৭ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা। বাকি সাড়ে ৭ শতাংশ কার্যকর হবে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে আন্দোলনের বাকি দুটি দাবি ছিল— শিক্ষক-কর্মচারী সবার চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা। বাড়ি ভাড়া বাড়লেও শিক্ষক-কর্মচারীদের এ দুই দাবি পূরণ করেনি সরকার।
কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধি না হওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক ও কর্মচারী নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে প্রশ্ন তুলেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজীর ভূমিকা নিয়ে।
অধ্যক্ষ আজিজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী রাজীব দেবনাথ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘উনি ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন। উৎসব ভাতা নিয়ে কোনো কথা বলেননি। উনি কর্মচারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। কর্মচারীরা তার এই বিশ্বাসঘাতকতা সারা জীবন মনে রাখবে।’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলীও। তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলছেন, আলাপচারিতায় আমাদের একজন কর্মচারী প্রতিনিধি ছিলেন। এটা প্রতারণার শামিল।’
এবার এ দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন জানিয়ে জাফর আলী বলেন, ‘আমরা কর্মচারীরা এবার ঐক্যবদ্ধ হব। এরই মধ্যে ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ঈদের আগেই বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। প্রয়োজনে সারা দেশের কর্মচারী সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামব।’
কর্মচারীদের এসব অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। তিনি বলছেন, মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ধাপে আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, কর্মচারীরা এখন আমাদের গালি দিচ্ছেন। এরপর যদি প্রোপাগান্ডা চালান, তাহলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আমরা শুধু শিক্ষকরা আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করব, কর্মচারীদের আন্দোলন থেকে বাদ দেবো।
অধ্যক্ষ আজিজীর এ মন্তব্যে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা আরও বেড়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য শিক্ষকদের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরছেন কর্মচারীরাও। তাদের আশাবাদ, সরকার হয়তো পরের ধাপে তাদের দাবি শুনবে।
খুলনার শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অফিস সহকারী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা হতাশ হলেও কর্মস্থলে ফিরছি। তবে উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের দাবি বিবেচনা করে— এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরলেও শিক্ষক-কর্মচারীদের পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়ে গেছে। দীর্ঘ আন্দোলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নভেম্বর মাসে শনিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক জোট। তাদের সে আহ্বানে সাড়া দিতে কর্মচারীরা নারাজ। কর্মচারী নেতাদের অনেকেই বলছেন, শিক্ষকরা শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেও তারা যাবেন না।
এ পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের অনেকেই আলোচনার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে এনে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দুপক্ষকেই। বিভাজিত হয়ে পড়লে তা দুপক্ষের কারও জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য তাদের।
তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সংগঠনের এক নেতা বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারী সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল বলেই সরকার বাড়ি ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এখন বিভক্ত হয়ে পড়লে বাকি দাবি পূরণে যদি আন্দোলন হয়, তার শক্তি কমে যাবে। তাই শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠনগুলোকে দ্রুত সংলাপে বসে বাকি দাবিগুলো সমাধানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’ ওই শিক্ষক নেতা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

তবে ড. ইউনূসের পরিবর্তে সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শ্রম আইনকে আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানসম্মত এবং শ্রমিক ও উদ্যোক্তা দুপক্ষের জন্য আরও বেশি ভারসাম্যপূর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
১৮ ঘণ্টা আগে
এম সরোয়ার হোসেন বলেন, এর আগে আমি ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম, তাদের একজন রয়েছেন গ্রেপ্তার ১৫ কর্মকর্তার মধ্যে। তাই আর আইনি লড়াইয়ে থাকছি না।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মূল্য ও করহার বৃদ্ধির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আগে গণমাধ্যমে হঠাৎ করে চোরাচালানের খবর বেড়ে যায়, যা আসলে সাজানো ও বিভ্রান্তিকর।
২০ ঘণ্টা আগে