রাবিতে পোষ্য কোটার প্রতিবাদে টানা ২২ ঘণ্টা অনশনে শিক্ষার্থীরা, অসুস্থ ২

রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক–কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুমবৃষ্টি শুরু হলেও শিক্ষার্থীরা অনশনে অনড় থাকেন। দুপুরে টানা ২০ ঘণ্টার অনশন ও বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শিক্ষার্থী—আরবি বিভাগের রমজানুল মোবারক ও সমাজকর্ম বিভাগের সাঈদ ইস্পাহানী। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অনশনকারীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ সময় অনশন চললেও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কেউ সেখানে আসেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে টায়ারে আগুন জ্বালান শিক্ষার্থীরা। এর আগে শুক্রবার বিকেলেই এক শিক্ষার্থী মাথায় ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বসে পড়েন। রাতে তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানান আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।

অনশনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা আমাদের রক্তের শেষবিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। জীবিত থাকতে পোষ্য কোটা মেনে নেব না।”

আরেক শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান খান বলেন, “পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু। আবারও অনশনে বসতে বাধ্য হওয়ায় আমরা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক জানান, অসুস্থ দুই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একজনকে হলে ও আরেকজনকে মেসে পাঠানো হয়েছে।

পোষ্য কোটার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং হাইকোর্টে রিটও চলমান রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।”

গত বৃহস্পতিবার ভর্তি উপকমিটির সভায় শিক্ষক–কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং শুক্রবারও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা অন্যায্য ও অযৌক্তিক। এটি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত আসলে শিক্ষক–শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব তৈরি করে আসন্ন রাকসু নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র। তাঁরা ঘোষণা দেন—প্রয়োজনে রক্ত দেবেন, তবু ক্যাম্পাসে পোষ্য কোটা ফিরতে দেবেন না।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

রাকসুতে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেন এজিএস প্রার্থী

‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের নেতৃত্বে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সাবেক সমন্বয়ক— ভিপি প্রার্থী মেহেদী সজীব ও জিএস প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখায় তারা আলোচনায় আসেন।

৩ ঘণ্টা আগে

৪৫ দিনের মধ্যে এনআইডি সংশোধনের নির্দেশ ইসির

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (পরিচালন) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এনআইডি সংশোধনের আবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন ফরমে উল্লেখিত তথ্যকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়েছে।

৪ ঘণ্টা আগে

'প্রশাসন জবাবদিহিতায় ব্যর্থ হলে ডাকসু নির্বাচন পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে'

আবিদ বলেন, খুব দ্রুত ছাত্রদলের পক্ষ থেকে নির্বাচনের অবস্থান সম্পর্কে জানানো হবে। ২০১৯ সালের ডাকসু নিয়ে এখনও কথা উঠছে। সবেমাত্র এ নির্বাচনও শেষ হয়েছে। সেখানে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসবের যথার্থ জবাবদিহিতা যদি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন করতে না পারে। তাহলে এই নির্বাচনও পুনরায় হওয়ার সুযোগ অবশ্যই আছে। আম

৪ ঘণ্টা আগে

যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৪

৭ ঘণ্টা আগে