ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্ত্বরে ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো’ নামে একটি সংগঠন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু । বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাইফ সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন। এই সভার সভাপতিত্ব করেন সজীব হোসেন যিনি মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো এর সংগঠক।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন,আজকে এখানে এসে ডাকসুর জন্য কথা বলার কথা ছিল না। গণ অভ্যুত্থানের পরেও এখানে এসে বলতে হচ্ছে ডাকসু আমার অধিকার। মেয়েদের সিটের জন্য ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে হচ্ছে। যখনই যেই সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পুতুল বানিয়ে রাখতে চেয়েছে। তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। পরিকল্পিতভাবে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বড় বড় বিল্ডিং হয় । তাদের প্লাটফর্ম আছে। করোনার মধ্যে কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। অথচ ডাকসু হতে গেলে কতো বাধা। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য আমাদের কেন বার বার আন্দোলন করতে হচ্ছে।
আজকে আমাদের দায়বদ্ধতা জায়গা নাই,জবাবদিহিতা নাই।একজন শিক্ষক একটা স্লাইডের বানান ভুল থাকলে বলে ঠিক করে নিয়ো। সে একই কথা তার পূর্ববর্তী অনেক ব্যাচকে বলেছে। তার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় শিক্ষকরা কতটা দায়বদ্ধ।
আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই । এজন্যই এমন সমস্যা হয়।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার এক সহপাঠী আগের দিন বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে কিন্তু পরদিন তাকে এসে মিড টার্ম পরীক্ষায় বসতে হবে অন্যথায় তাকে ২০ মার্ক ছেড়ে দিতে হবে।৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন চেয়েছিলাম। আর এটা তখনই নিশ্চিত হবে যখন ডাকসু প্রতিনিধি থাকবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সূচনা হয় এখান থেকে। এখান থেকে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হবে তা সারা দেশে প্রতিফলিত হবে। বিগত ১৫ বছর এই ক্যাম্পাসে কোন রাজনৈতিক মত ছিল না। এই অবস্থাকে দূরীকরণের জন্য ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আগের প্রশাসন বাদ দিয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসন যখন শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে কাজ করে না তখন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রশ্ন করে। প্রশাসন যেন একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সেদিকে কাজ করবে ডাকসু নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা।
ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । ২০১৯ সালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না যা আমরা ইলেকশনের মাঝামাঝি সময়ে দেখি, ২৫ সালেও তা হচ্ছে কি না। সভাপতি পদে ভিসি আছে,যা সংস্কার করতে হবে। একাডেমিক ভবনে ইলেকশন আনতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র ফেডারেশন যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে তা হলো প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিট দিতে হবে। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যান্টিন থাকবে,প্রতিটি শিক্ষার্থী চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,রাত ৯ টা পর্যন্ত বাস চালু করতে হবে, রুট বৃদ্ধি করতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা হয় তখন এটাকে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা বলা হয় ।
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের আগে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে কোন ধরণের রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আলোচনা কথা হতো না। তোফাজ্জল হয়ে যিনি মামলা করেছিলেন তার কাজিন তিনি কিছু দিন আগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । এটাই হচ্ছে প্রক্টরের আমলনামা। যখন ঘৃণা স্তম্ভ মুছে ফেলা হলো তখন বলা কোন নিরাপত্তা সংস্থার কথায় তিনি এটা করেছেন। কিন্তু যখন তার নাম জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি কথার টোন পাল্টে ফেলেন। চারুকলায় হাসিনার মোড়াল পোড়ানো হলো। যখন আমরা চারুকলায় যেতে চাই তখন হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় । আমাদের ঢুকতে দেয় না। কিন্তু এতো নিরাপত্তার মধ্যেই কিভাবে মোড়াল পোড়ালো। তবুও তাকে ধরতে পারে নি।
তিনি আরো বলেন,"রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর বিকল্প কাঠামো হলো ডাকসু। রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেখানে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়াবে ডাকসু। তবে ডাকসু বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবে অনেক ভালো বিষয় ছিলো। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি প্রস্তাবের একটিরও ছিটেফোঁটাও পরিবর্তন করেনি প্রশাসন। তবুও ডাকসু করতে চাই। যদি শিক্ষার্থীদেরকে গণতান্ত্রিক ভাবে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের অধিকার দেয়া হয়। সেটা ডাকসুর আগে বা পরেও হতে পারে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন,দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ফিলোসফিকেল প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া থাকে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপন্ন করা জ্ঞানকে কাজে লাগায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় জ্ঞান উৎপাদন করতে পারছে না।যখন একটা বিশ্ববিদ্যালয় তার রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে উঠতে পারে না সেটা কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়? অন্তবর্তীকালীন সরকার, ৩৬ পৃষ্ঠার ভিসি পেয়েছি তাদের কাছ থেকে কখনোই আন্তরিকতা দেখি নাই । যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে এভাবে চলতে পারে না। প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠনের সাথে ওপেন ডিবেট করা হোক। এই ধরণের ডিবেটের মধ্য ছাত্র রাজনীতির একটা সুরাহা হবে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনো ছাত্র সংগঠন থেকে দূরে মনে করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় নির্বাচনের চাপে পরে এখন ডাকসু নির্বাচনের তড়িঘড়ি করছে। যখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছিল না তখন ডাকসুর কথা মনে করে নাই। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে পরিক্ষা । যার ফলে অনেকেই এই ডাকসু থেকে দূরে থাকবে। ডাকসু কে সংশোধন করতে হলে শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখলে হবে না , একাডেমিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে হবে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা। সাধারণ ছাত্ররা যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভুগে। যারা ছাত্র নেতারা আছেন তারা অধিকাংশই ডিপার্টমেন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে।
তিনি আরো বলেন, ডাকসু কে একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডারে আনতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন যেকোন অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারে এই ব্যাপারে প্রশাসনের দেখতে হবে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন," বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদল সামনের সারিতে ছিল। বিগত দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের স্বীকার হয়েছিল ছাত্রদল । বিগত সময়ের যে ইতিহাস ,আমাদের লড়াইয়ের মাধ্যমে অধিকার বাস্তবায়ন করেছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য ডাকসু অধিকার। একাত্তরের পর অর্ধ শত বছর পার হয়ে গেলেও অনেক কিছু হয় নি।শিক্ষা কাঠামো সংস্কারের মধ্য দিকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ডাকসু আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনকে নানা প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেখানে শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা চিন্তা করে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি।আমরা ছাত্রদলের ৩৭৭ টি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম ।যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩১ টি প্রস্তাবনা ছিল। নারীদের অংশগ্রহণের জন্য ভিপি পদে একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি এবং এ জিএস পদেও একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমরা ডাকসুর ভোটকেন্দ্রে একাডেমিক ভবনে চেয়েছিলাম। তবুও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে তাকে ছাত্রদল সাদরে গ্ৰহণ করবো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে পায়রা চত্ত্বরে ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো’ নামে একটি সংগঠন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু । বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাইফ সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন। এই সভার সভাপতিত্ব করেন সজীব হোসেন যিনি মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো এর সংগঠক।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন,আজকে এখানে এসে ডাকসুর জন্য কথা বলার কথা ছিল না। গণ অভ্যুত্থানের পরেও এখানে এসে বলতে হচ্ছে ডাকসু আমার অধিকার। মেয়েদের সিটের জন্য ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে হচ্ছে। যখনই যেই সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পুতুল বানিয়ে রাখতে চেয়েছে। তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। পরিকল্পিতভাবে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বড় বড় বিল্ডিং হয় । তাদের প্লাটফর্ম আছে। করোনার মধ্যে কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। অথচ ডাকসু হতে গেলে কতো বাধা। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য আমাদের কেন বার বার আন্দোলন করতে হচ্ছে।
আজকে আমাদের দায়বদ্ধতা জায়গা নাই,জবাবদিহিতা নাই।একজন শিক্ষক একটা স্লাইডের বানান ভুল থাকলে বলে ঠিক করে নিয়ো। সে একই কথা তার পূর্ববর্তী অনেক ব্যাচকে বলেছে। তার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় শিক্ষকরা কতটা দায়বদ্ধ।
আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই । এজন্যই এমন সমস্যা হয়।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার এক সহপাঠী আগের দিন বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে কিন্তু পরদিন তাকে এসে মিড টার্ম পরীক্ষায় বসতে হবে অন্যথায় তাকে ২০ মার্ক ছেড়ে দিতে হবে।৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন চেয়েছিলাম। আর এটা তখনই নিশ্চিত হবে যখন ডাকসু প্রতিনিধি থাকবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সূচনা হয় এখান থেকে। এখান থেকে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি হবে তা সারা দেশে প্রতিফলিত হবে। বিগত ১৫ বছর এই ক্যাম্পাসে কোন রাজনৈতিক মত ছিল না। এই অবস্থাকে দূরীকরণের জন্য ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আগের প্রশাসন বাদ দিয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসন যখন শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে কাজ করে না তখন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রশ্ন করে। প্রশাসন যেন একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সেদিকে কাজ করবে ডাকসু নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা।
ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন । ২০১৯ সালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না যা আমরা ইলেকশনের মাঝামাঝি সময়ে দেখি, ২৫ সালেও তা হচ্ছে কি না। সভাপতি পদে ভিসি আছে,যা সংস্কার করতে হবে। একাডেমিক ভবনে ইলেকশন আনতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র ফেডারেশন যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে তা হলো প্রথম বর্ষ থেকে বৈধ সিট দিতে হবে। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ক্যান্টিন থাকবে,প্রতিটি শিক্ষার্থী চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে,রাত ৯ টা পর্যন্ত বাস চালু করতে হবে, রুট বৃদ্ধি করতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা হয় তখন এটাকে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা বলা হয় ।
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের আগে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে কোন ধরণের রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে আলোচনা কথা হতো না। তোফাজ্জল হয়ে যিনি মামলা করেছিলেন তার কাজিন তিনি কিছু দিন আগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । এটাই হচ্ছে প্রক্টরের আমলনামা। যখন ঘৃণা স্তম্ভ মুছে ফেলা হলো তখন বলা কোন নিরাপত্তা সংস্থার কথায় তিনি এটা করেছেন। কিন্তু যখন তার নাম জানতে চাওয়া হয় তখন তিনি কথার টোন পাল্টে ফেলেন। চারুকলায় হাসিনার মোড়াল পোড়ানো হলো। যখন আমরা চারুকলায় যেতে চাই তখন হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় । আমাদের ঢুকতে দেয় না। কিন্তু এতো নিরাপত্তার মধ্যেই কিভাবে মোড়াল পোড়ালো। তবুও তাকে ধরতে পারে নি।
তিনি আরো বলেন,"রাষ্ট্রের ক্ষমতা কাঠামোর বিকল্প কাঠামো হলো ডাকসু। রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে সেখানে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়াবে ডাকসু। তবে ডাকসু বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবে অনেক ভালো বিষয় ছিলো। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি প্রস্তাবের একটিরও ছিটেফোঁটাও পরিবর্তন করেনি প্রশাসন। তবুও ডাকসু করতে চাই। যদি শিক্ষার্থীদেরকে গণতান্ত্রিক ভাবে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের অধিকার দেয়া হয়। সেটা ডাকসুর আগে বা পরেও হতে পারে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন,দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ফিলোসফিকেল প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া থাকে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপন্ন করা জ্ঞানকে কাজে লাগায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তুলনায় জ্ঞান উৎপাদন করতে পারছে না।যখন একটা বিশ্ববিদ্যালয় তার রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে উঠতে পারে না সেটা কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়? অন্তবর্তীকালীন সরকার, ৩৬ পৃষ্ঠার ভিসি পেয়েছি তাদের কাছ থেকে কখনোই আন্তরিকতা দেখি নাই । যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে এভাবে চলতে পারে না। প্রত্যেকটা ছাত্র সংগঠনের সাথে ওপেন ডিবেট করা হোক। এই ধরণের ডিবেটের মধ্য ছাত্র রাজনীতির একটা সুরাহা হবে। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনো ছাত্র সংগঠন থেকে দূরে মনে করে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় নির্বাচনের চাপে পরে এখন ডাকসু নির্বাচনের তড়িঘড়ি করছে। যখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছিল না তখন ডাকসুর কথা মনে করে নাই। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে পরিক্ষা । যার ফলে অনেকেই এই ডাকসু থেকে দূরে থাকবে। ডাকসু কে সংশোধন করতে হলে শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখলে হবে না , একাডেমিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে হবে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা। সাধারণ ছাত্ররা যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভুগে। যারা ছাত্র নেতারা আছেন তারা অধিকাংশই ডিপার্টমেন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে।
তিনি আরো বলেন, ডাকসু কে একটা একাডেমিক ক্যালেন্ডারে আনতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন যেকোন অবস্থা থেকে উঠে আসতে পারে এই ব্যাপারে প্রশাসনের দেখতে হবে। ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন," বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদল সামনের সারিতে ছিল। বিগত দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের স্বীকার হয়েছিল ছাত্রদল । বিগত সময়ের যে ইতিহাস ,আমাদের লড়াইয়ের মাধ্যমে অধিকার বাস্তবায়ন করেছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য ডাকসু অধিকার। একাত্তরের পর অর্ধ শত বছর পার হয়ে গেলেও অনেক কিছু হয় নি।শিক্ষা কাঠামো সংস্কারের মধ্য দিকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, ডাকসু আমাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা প্রশাসনকে নানা প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেখানে শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা চিন্তা করে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলেছি।আমরা ছাত্রদলের ৩৭৭ টি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম ।যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩১ টি প্রস্তাবনা ছিল। নারীদের অংশগ্রহণের জন্য ভিপি পদে একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি এবং এ জিএস পদেও একজন পুরুষ ও নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। তাছাড়া আমরা ডাকসুর ভোটকেন্দ্রে একাডেমিক ভবনে চেয়েছিলাম। তবুও শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে তাকে ছাত্রদল সাদরে গ্ৰহণ করবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন পার হলেও এই স্মৃতি এখনো সবার মধ্যে দগদগে হয়ে আছে। আমি ঘটনা জানামাত্রই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনারা যে দুঃসময়ের মধ্যে ছিলেন, সেসময়ে দেখা করা সমীচীন হতো না। আমরা আপনাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করতে পারি, কিন্তু এই দুঃসহ স্মৃতি মুছে দেয়ার ক্ষমতা আমাদ
৩ ঘণ্টা আগেকর কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে ও জুনে আন্দোলনের জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। যার শুরু গত জুলাই থেকেই।
৩ ঘণ্টা আগে