ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) মনোনীত প্যানেল ‘বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এই ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষা ও গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাগছাস মনোনীত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের ইশতেহার পাঠ করেন। এ সময় প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত ৮ দফা প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে-
১. রাজনৈতিক ইস্যু: নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় রাজনীতির বাহাদুরি, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানো হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়।
২. একাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কার : ৭৩-এর অধ্যাদেশে উল্লিখিত স্বায়ত্তশাসন কার্যকর করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ান স্টপ সলিউশন অ্যাপ তৈরি হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই সার্বিক সেবা পাবে; আধুনিক ক্লাসরুম সুবিধা, ল্যাব ফ্যাসিলিটি এবং লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন করা হবে; শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং স্বচ্ছ হবে; ক্যাম্পাসের সকল রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ সিসিটিভি এবং আলোর আওতায় আনা হবে।
৩. স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার : "ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস" এর মাধ্যমে লাইব্রেরি একসেস, স্বাস্থ্য সেবা, পরিবহন সেবা এবং ক্যান্টিন সেবা নিশ্চিত করা হবে; হলের সিট বণ্টনের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে; শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা এবং মেডিকেল সুবিধা প্রদান করা হবে।
৪. ছাত্র মর্যাদা : দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক বা আঞ্চলিকতা ভিত্তিক কোনও ধর্য্যব্যবস্থা বা "মোরাল পলিসিং" এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে; ভিন্ন ধর্ম, জাতিসত্তা এবং মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য রোধ করা হবে।
৫. ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি : পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে; ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খাবার, ক্যাম্পাস পরিষেবা, লাইব্রেরি একসেস নিশ্চিত করা হবে।
৬. ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট : ক্যারিয়ার ক্লাব প্রতিষ্ঠা, আউট সোর্সিং ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সরবরাহ করা হবে: শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
৭. কালচার ও স্পোর্টস : বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হবে; আধুনিক গেইমসরুম, জিমনেসিয়াম, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে।
৮. নারী শিক্ষার্থী কল্যাণ : নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি, মেডিক্যাল সেবা, এম্বুলেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি সেল প্রতিষ্ঠা করা হবে; নারীদের জন্য বিশেষ নামাজের স্থান এবং কমন স্পেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে; নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে "বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল” গঠন করা হবে; নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি লিঙ্গভিত্তিক যে-কোনো ধরণের বৈষম্য, হয়রানি দূর করে সমান এবং মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অধিকারকর্মীদের সন্নিবেশে) সমতা নিশ্চয়ন কমিটি গঠন করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করার লক্ষ্যে "লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস” চালু করা হবে।
এছাড়াও, প্যানেলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি, শিক্ষার গুণগত মান এবং ছাত্রকল্যাণে আরও ব্যাপক উন্নতি আনার অঙ্গীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) মনোনীত প্যানেল ‘বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এই ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষা ও গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাগছাস মনোনীত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুল কাদের ইশতেহার পাঠ করেন। এ সময় প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত ৮ দফা প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে-
১. রাজনৈতিক ইস্যু: নিয়মিত ডাকসু নির্বাচন একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জাতীয় রাজনীতির বাহাদুরি, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটানো হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় রাজনৈতিক কাঠামো বন্ধ করা হবে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়।
২. একাডেমিক ও প্রশাসনিক সংস্কার : ৭৩-এর অধ্যাদেশে উল্লিখিত স্বায়ত্তশাসন কার্যকর করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ান স্টপ সলিউশন অ্যাপ তৈরি হবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই সার্বিক সেবা পাবে; আধুনিক ক্লাসরুম সুবিধা, ল্যাব ফ্যাসিলিটি এবং লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন করা হবে; শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং স্বচ্ছ হবে; ক্যাম্পাসের সকল রাস্তা ও হলের সম্মুখভাগ সিসিটিভি এবং আলোর আওতায় আনা হবে।
৩. স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার : "ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস" এর মাধ্যমে লাইব্রেরি একসেস, স্বাস্থ্য সেবা, পরিবহন সেবা এবং ক্যান্টিন সেবা নিশ্চিত করা হবে; হলের সিট বণ্টনের জন্য একটি সমন্বিত নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে; শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা এবং মেডিকেল সুবিধা প্রদান করা হবে।
৪. ছাত্র মর্যাদা : দাড়ি-টুপি, বোরকা-হিজাবসহ পোশাক বা আঞ্চলিকতা ভিত্তিক কোনও ধর্য্যব্যবস্থা বা "মোরাল পলিসিং" এর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে; ভিন্ন ধর্ম, জাতিসত্তা এবং মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য রোধ করা হবে।
৫. ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি : পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে; ওয়ান কার্ড অল সার্ভিস ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের খাবার, ক্যাম্পাস পরিষেবা, লাইব্রেরি একসেস নিশ্চিত করা হবে।
৬. ক্যারিয়ার ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট : ক্যারিয়ার ক্লাব প্রতিষ্ঠা, আউট সোর্সিং ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সরবরাহ করা হবে: শিক্ষার্থীদের জন্য এক হাজার খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
৭. কালচার ও স্পোর্টস : বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য মিউজিয়াম এবং কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হবে; আধুনিক গেইমসরুম, জিমনেসিয়াম, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে।
৮. নারী শিক্ষার্থী কল্যাণ : নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্পোর্টস ফ্যাসিলিটি, মেডিক্যাল সেবা, এম্বুলেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি সেল প্রতিষ্ঠা করা হবে; নারীদের জন্য বিশেষ নামাজের স্থান এবং কমন স্পেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হবে; নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা করতে "বিশেষ সাইবার সিকিউরিটি সেল” গঠন করা হবে; নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি লিঙ্গভিত্তিক যে-কোনো ধরণের বৈষম্য, হয়রানি দূর করে সমান এবং মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে (শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অধিকারকর্মীদের সন্নিবেশে) সমতা নিশ্চয়ন কমিটি গঠন করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করার লক্ষ্যে "লিগ্যাল সাপোর্ট সার্ভিস” চালু করা হবে।
এছাড়াও, প্যানেলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি, শিক্ষার গুণগত মান এবং ছাত্রকল্যাণে আরও ব্যাপক উন্নতি আনার অঙ্গীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী আশরেফা খাতুনও উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি রাজনীতিবিদ নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (৩০ আগস্ট) দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার আদায়
৭ ঘণ্টা আগেদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আগামীকাল রোববার বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৮ ঘণ্টা আগেআফ্রিদিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে আবেদনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেবখতিয়ার রানা ও কাজী রওনাক হোসেন সহ–সভাপতি, অরুণ কর্মকার কোষাধ্যক্ষ, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাখাওয়াত হোসেন বাদশা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
৯ ঘণ্টা আগে