প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
তিন দফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটার শিকারও হয়েছেন।
এদিকে সড়কে নেমেছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। তাদের দাবি সাতটি। তারাও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশের ধাওয়ার মুখে পড়েন। পরে তাদের প্রতিনিধি দল শান্তিপূর্ণভাবেই সাত দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
এ পরিস্থিতিতে দুদিন ধরে রাজপথে থাকা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা করে সমাধানে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে সরকার। চার উপদেষ্টার সঙ্গে একজন আমলাকে রেখে গঠন করা এ কমিটি পছন্দ না হওয়ায় অবশ্য প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচি ঘিরে বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনভর রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। প্রধান প্রধান সড়কই স্থবির হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
তিন দাবি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে সড়কে অবস্থান নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রাতে প্রথম দিনের আন্দোলন শেষ করার সময় দ্বিতীয় দিনের জন্য ঘোষণা দেন ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি। তাতে অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বানও জানানো হয়। সে অনুযায়ী বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা দ্বিতীয় দিনের এ কর্মসূচি নিয়ে ফের হাজির হন শাহবাগে। তাদের তিন দাবি হলো—
দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দুপুর দেড়টার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জলকামান দিয়ে পানিও ছোড়া হয়। ৮ থেকে ১০টি সাউন্ড গ্রেনেডসহ টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে যমুনার দিকে সেনাসদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আর সামনে এগোতে পারেনি।
বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আমরা সকালে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা পজিটিভ ছিল। দুপুরে শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, তারা আধা ঘণ্টার মধ্যে কমিটির প্রজ্ঞাপন না পেলে সচিবালয়ের দিকে যাবেন। এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে গেছে। কিন্তু তারা হুট করে যমুনার দিকে রওয়ানা দিতে শুরু করেন। পুলিশও সেদিকে ছুটে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
ডিসি মাসুদ আরও বলেন, শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের এলাকায় আন্দোলন-জমায়েত নিষিদ্ধ করে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ডিএমপি। মানুষদেরও দুর্ভোগ হচ্ছিল। তারপরও আমরা কিছু বলিনি। শুধু কয়েকবার এখান থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি।
বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সাত দাবি নিয়ে সড়কে নেমেছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে তারা গণজমায়েত করেন কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের সামনে।
সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার পথে তাদেরও ধাওয়া দেয় পুলিশ। পরে পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. আখেরুজ্জামান ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার একান্ত সচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
বুধবার ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থী-পেশাজীবীরাও সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আমলে নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধানে সরকার এরই মধ্যে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে সরকারের চার উপদেষ্টা ও একজন আমলাকে রাখা হয়েছে কমিটিতে। কমিটির সদস্যরা হলেন—
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকারের কাছে এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে। কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এদিকে আইডিইবির সভাপতিতে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারের গঠন করা কমিটিকেই ‘অনুপযুক্ত’ অভিহিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ তিন দাবি তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রথম দাবি— সরকারের গঠন করা অনুপযুক্ত কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি— আমার ভাইদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশের ডিসিকে আমাদের কাছে মাফ চাইতে হবে। তৃতীয় দাবি— সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত এখানে আসেননি, অথচ আমাদের মেধাবী ভাইবোনেরা কষ্ট পাচ্ছে, তাদের এখানে আসতে হবে।
এই তিন দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান ওয়ালী উল্লাহ।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ আক্রমণ করেছে। যেসব পুলিশ আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে, কুকুরের মতো লাঠিপেটা করেছে, আমরা চাই যাদের হুকুমে এসব করেছে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তা হলে আমরা এখানেই অবস্থান করব।
শাহবাগ থেকে যমুনায় যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে ডিএমপির আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা হলেন— ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজোয়ানুল ইসলাম, এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী, কনস্টেবল আদিব, কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০)।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহতদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর। তাদের দুজনসহ আহত সবাইকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিন দফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা। দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটার শিকারও হয়েছেন।
এদিকে সড়কে নেমেছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। তাদের দাবি সাতটি। তারাও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশের ধাওয়ার মুখে পড়েন। পরে তাদের প্রতিনিধি দল শান্তিপূর্ণভাবেই সাত দফা দাবির স্মারকলিপি জমা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে।
এ পরিস্থিতিতে দুদিন ধরে রাজপথে থাকা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবি পর্যালোচনা করে সমাধানে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে সরকার। চার উপদেষ্টার সঙ্গে একজন আমলাকে রেখে গঠন করা এ কমিটি পছন্দ না হওয়ায় অবশ্য প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের এসব কর্মসূচি ঘিরে বুধবার (২৭ আগস্ট) দিনভর রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট। প্রধান প্রধান সড়কই স্থবির হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে।
তিন দাবি নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করে সড়কে অবস্থান নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রাতে প্রথম দিনের আন্দোলন শেষ করার সময় দ্বিতীয় দিনের জন্য ঘোষণা দেন ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি। তাতে অন্যান্য প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বানও জানানো হয়। সে অনুযায়ী বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা দ্বিতীয় দিনের এ কর্মসূচি নিয়ে ফের হাজির হন শাহবাগে। তাদের তিন দাবি হলো—
দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা দুপুর দেড়টার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জলকামান দিয়ে পানিও ছোড়া হয়। ৮ থেকে ১০টি সাউন্ড গ্রেনেডসহ টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে যমুনার দিকে সেনাসদস্যের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আর সামনে এগোতে পারেনি।
বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আমরা সকালে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা পজিটিভ ছিল। দুপুরে শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, তারা আধা ঘণ্টার মধ্যে কমিটির প্রজ্ঞাপন না পেলে সচিবালয়ের দিকে যাবেন। এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে গেছে। কিন্তু তারা হুট করে যমুনার দিকে রওয়ানা দিতে শুরু করেন। পুলিশও সেদিকে ছুটে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
ডিসি মাসুদ আরও বলেন, শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের এলাকায় আন্দোলন-জমায়েত নিষিদ্ধ করে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ডিএমপি। মানুষদেরও দুর্ভোগ হচ্ছিল। তারপরও আমরা কিছু বলিনি। শুধু কয়েকবার এখান থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেছি।
বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সাত দাবি নিয়ে সড়কে নেমেছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীরাও। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে তারা গণজমায়েত করেন কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের সামনে।
সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার পথে তাদেরও ধাওয়া দেয় পুলিশ। পরে পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. আখেরুজ্জামান ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যমুনায় গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার একান্ত সচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
বুধবার ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থী-পেশাজীবীরাও সাত দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
বিএসসি ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আমলে নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়ার যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সমস্যার সমাধানে সরকার এরই মধ্যে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে প্রধান করে সরকারের চার উপদেষ্টা ও একজন আমলাকে রাখা হয়েছে কমিটিতে। কমিটির সদস্যরা হলেন—
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটি প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সরকারের কাছে এক মাসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে। কমিটি প্রয়োজনে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এদিকে আইডিইবির সভাপতিতে রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারের গঠন করা কমিটিকেই ‘অনুপযুক্ত’ অভিহিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ তিন দাবি তুলে ধরে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রথম দাবি— সরকারের গঠন করা অনুপযুক্ত কমিটি পরিবর্তন করে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি— আমার ভাইদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশের ডিসিকে আমাদের কাছে মাফ চাইতে হবে। তৃতীয় দাবি— সংশ্লিষ্ট তিন উপদেষ্টা এখন পর্যন্ত এখানে আসেননি, অথচ আমাদের মেধাবী ভাইবোনেরা কষ্ট পাচ্ছে, তাদের এখানে আসতে হবে।
এই তিন দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান ওয়ালী উল্লাহ।
প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিবুল হক লিপু বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ আক্রমণ করেছে। যেসব পুলিশ আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে, সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে, কুকুরের মতো লাঠিপেটা করেছে, আমরা চাই যাদের হুকুমে এসব করেছে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তা হলে আমরা এখানেই অবস্থান করব।
শাহবাগ থেকে যমুনায় যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে ডিএমপির আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আহতদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা হলেন— ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজোয়ানুল ইসলাম, এসআই তৌহিদুল ইসলাম, এএসআই ফরহাদ আলী, কনস্টেবল আদিব, কনস্টেবল আমিনুল ইসলাম ও কনস্টেবল শ্রাবণ (২০)।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহতদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম ও আদিবের অবস্থা গুরুতর। তাদের দুজনসহ আহত সবাইকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আলুর সাম্প্রতিক বিক্রয়মূল্য উৎপাদন খরচের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় আলুচাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনামতে উৎপাদন মৌসুমে উৎপাদিত আলুর ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে সুপারিশ প্রদানের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি এবং বাণিজ্য ম
৩ ঘণ্টা আগেসাড়ে চার মাস ধরে ডিবিপ্রধানের পদটি শূন্য ছিল। গত ১২ এপ্রিল ডিবির তৎকালীন প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়েছিল। এরপর থেকে একজন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এই ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা দুপুর দেড়টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। প্রচারণা শেষে বিকাল ৫ টায় তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে