ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিশ্ববাসী। আমাদের ভবিষ্যৎও যে ভালো না তা বুঝতে গবেষক হতে হয় না। সেবিষয়ে বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন, সতর্ক করছেন। যে ভয় আমাদের আতঙ্কিত করছে সেই ভয়ের কারণও আমরাই । নির্দয়ভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করলে প্রকৃতিও বদলা নেবে—খুব স্বাভাবিক।
এই বাস্তবতায় পৃথিবীকে শীতল করতে এক অভিনব পদ্ধতির কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। একদল বিজ্ঞানী বলছেন, বায়ুমণ্ডলে যদি হীরার ধূলিকণা ছড়িয়ে দেয়া যায়—তাহলে কমতে পারে তাপমাত্রা। সম্প্রতি এবিষয়ক একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ (বর্ষ ৫১, সংখ্যা ১৯, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪) পত্রিকায়।
গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বছরে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে পারলে বিশ্বের তাপমাত্রা অনেকাংশেই কমবে। তাদের যুক্তি, সূর্যরশ্মি চকচকে হীরা-কণার ওপর পড়লে তা অনেকাংশেই প্রতিফলিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলে যাবে, এর ফলে তাপমাত্রা কমবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই প্রক্রিয়া যদি ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো যায় তাহলে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাপমাত্রা কমানোর এই অভিনব প্রক্রিয়ার নাম, ‘স্ট্রাটোস্ফিয়ারিক অ্যারোসল ইঞ্জেকশন’। এটি ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’-এর অংশ।
গবেষকরা শুধুমাত্র হীরার ধূলিকণা নিয়েই গবেষণা করেননি। বায়ুমণ্ডলে সালফারসহ আরও কয়েকটি অ্যারোসল ছড়িয়ে দিলে কি ঘটতে পারে—তাও বুঝতে চেষ্টা করেছেন। তারা আসলে জানতে চাইছিলেন, কোন অ্যারোসল সূর্যের আলোকে কতোটা প্রতিফলিত করে, কোনটি কতোক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকে এবং কোনটি কতো তাড়াতা়ড়ি জমাট বাঁধে। অবশেষে তারা আবিষ্কার করেন, সবচেয়ে কাজের হীরার কণা। হীরার কণাগুলো সহজে জমাট বাঁধে না, বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম এবং তা অন্যান্য অ্যারোসলের মতো অ্যাসিড বৃষ্টিতেও পরিণত হয় না।
তবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা সহজ নয়। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। টানা ৪৫ বছর হীরার ধূলিকণা ছিটিয়ে পৃথবীর তাপমাত্রা কমাতে খরচ হবে প্রায় ২০০ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। যেহেতু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না—যথাযথ ফলাফল আসবে কিনা, তাই অনেকে মনে করছেন, এই অনুমাননির্ভর প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ঢালা ঝুঁকিপূর্ণ ও অযৌক্তিক।
একদল গবেষক অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবী যে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে রয়েছে—তা থেকে উত্তরণ জরুরি। তাই লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা যেতেই পারে। আজকে যারা পৃথিবীকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিলো, তারা তো পরিবেশ ধ্বংস করে কম টাকা কামায়নি। পৃথিবীকে বাঁচানোর সদিচ্ছা তাদের থাকলে—এই টাকা আসলে কিছুই না।
হীরার কণার তুলনায় সালফার দ্রুত জমাট বাঁধে। তবুও বিকল্প অ্যারোসল হিসেবে সালফারকে বিবেচনায় রেখেছেন গবেষকরা। গবেষক দলে আছেন প্রকৌশলী ডগলাস ম্যাকমার্টিন। তার মতে, হীরার ধূলিকণা তৈরির চেয়ে সালফারের ধূলিকণা তৈরি করা সাশ্রয়ী।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধে সম্ভাব্য সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। অনেক পরিকল্পনা অস্বাভাবিক ও অবাস্তব মনে হলেও আলোচনার টেবিলে সেগুলো থাকা উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিশ্ববাসী। আমাদের ভবিষ্যৎও যে ভালো না তা বুঝতে গবেষক হতে হয় না। সেবিষয়ে বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন, সতর্ক করছেন। যে ভয় আমাদের আতঙ্কিত করছে সেই ভয়ের কারণও আমরাই । নির্দয়ভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করলে প্রকৃতিও বদলা নেবে—খুব স্বাভাবিক।
এই বাস্তবতায় পৃথিবীকে শীতল করতে এক অভিনব পদ্ধতির কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। একদল বিজ্ঞানী বলছেন, বায়ুমণ্ডলে যদি হীরার ধূলিকণা ছড়িয়ে দেয়া যায়—তাহলে কমতে পারে তাপমাত্রা। সম্প্রতি এবিষয়ক একটি গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স’ (বর্ষ ৫১, সংখ্যা ১৯, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪) পত্রিকায়।
গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বছরে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে পারলে বিশ্বের তাপমাত্রা অনেকাংশেই কমবে। তাদের যুক্তি, সূর্যরশ্মি চকচকে হীরা-কণার ওপর পড়লে তা অনেকাংশেই প্রতিফলিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলে যাবে, এর ফলে তাপমাত্রা কমবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই প্রক্রিয়া যদি ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো যায় তাহলে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রায় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাপমাত্রা কমানোর এই অভিনব প্রক্রিয়ার নাম, ‘স্ট্রাটোস্ফিয়ারিক অ্যারোসল ইঞ্জেকশন’। এটি ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং’-এর অংশ।
গবেষকরা শুধুমাত্র হীরার ধূলিকণা নিয়েই গবেষণা করেননি। বায়ুমণ্ডলে সালফারসহ আরও কয়েকটি অ্যারোসল ছড়িয়ে দিলে কি ঘটতে পারে—তাও বুঝতে চেষ্টা করেছেন। তারা আসলে জানতে চাইছিলেন, কোন অ্যারোসল সূর্যের আলোকে কতোটা প্রতিফলিত করে, কোনটি কতোক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকে এবং কোনটি কতো তাড়াতা়ড়ি জমাট বাঁধে। অবশেষে তারা আবিষ্কার করেন, সবচেয়ে কাজের হীরার কণা। হীরার কণাগুলো সহজে জমাট বাঁধে না, বাতাসে ভেসে থাকতে সক্ষম এবং তা অন্যান্য অ্যারোসলের মতো অ্যাসিড বৃষ্টিতেও পরিণত হয় না।
তবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা সহজ নয়। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। টানা ৪৫ বছর হীরার ধূলিকণা ছিটিয়ে পৃথবীর তাপমাত্রা কমাতে খরচ হবে প্রায় ২০০ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। যেহেতু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না—যথাযথ ফলাফল আসবে কিনা, তাই অনেকে মনে করছেন, এই অনুমাননির্ভর প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ঢালা ঝুঁকিপূর্ণ ও অযৌক্তিক।
একদল গবেষক অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, এই মুহূর্তে পৃথিবী যে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে রয়েছে—তা থেকে উত্তরণ জরুরি। তাই লাখ লাখ কোটি টাকা ব্যয় করা যেতেই পারে। আজকে যারা পৃথিবীকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিলো, তারা তো পরিবেশ ধ্বংস করে কম টাকা কামায়নি। পৃথিবীকে বাঁচানোর সদিচ্ছা তাদের থাকলে—এই টাকা আসলে কিছুই না।
হীরার কণার তুলনায় সালফার দ্রুত জমাট বাঁধে। তবুও বিকল্প অ্যারোসল হিসেবে সালফারকে বিবেচনায় রেখেছেন গবেষকরা। গবেষক দলে আছেন প্রকৌশলী ডগলাস ম্যাকমার্টিন। তার মতে, হীরার ধূলিকণা তৈরির চেয়ে সালফারের ধূলিকণা তৈরি করা সাশ্রয়ী।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধে সম্ভাব্য সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। অনেক পরিকল্পনা অস্বাভাবিক ও অবাস্তব মনে হলেও আলোচনার টেবিলে সেগুলো থাকা উচিত।
সকালে মাঠে কাজ করার সময় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় সদর উপজেলার আড়মুখী গ্রামের শমসের বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস (২৮) ও শৈলকূপার শেখড়া গ্রামের হুরমত শেখ (৫৫) মারা গেছেন। শৈলকূপা ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন পৃথক বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
৮ ঘণ্টা আগে