
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের এই বাসিন্দা তিনি। নাম টিম ফ্রেডি। আগে ছিলেন ট্রাকচালক। এখন নিজেকেগবেষক হিসে দাবি করেন। করছেন অ্যান্টিভেনম আবিষ্কারের গবেষণা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই শতাধিকবার স্বেচ্ছায় বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন এবং কমপক্ষে ৭০০ বার সাপের বিষ শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়েছেন। তার এই সাহসিকতার পেছনে রয়েছে একটি মহৎ উদ্দেশ্য—এমন এক ওষুধ তৈরি করা, যা বিষধর সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে অব্যর্থ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
টিম ফ্রেডির ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি ব্ল্যাক মাম্বার কামড় খেয়ে ক্যামেরায় তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। তার হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে, আর তিনি বর্ণনা করছেন যে এই কামড়ের পরপরই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। একটি ব্ল্যাক মাম্বার বিষ ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এই বিষ প্রবেশর সঙ্গে সঙ্গে শরীর ফুলে ওঠে এবং মারাত্মক যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।
ফ্রেডি বলেন, ‘ব্ল্যাক মাম্বার কামড়ের পর মনে হবে যেন এক হাজার মৌমাছি একসঙ্গে কামড় দিয়েছে।’
যদিও ফ্রেডির ইউটিউব ফ্যানরা তার সাহসিকতায় মুগ্ধ, তবু সবাই একমত নয়। লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ড স্টুয়ার্ট এইনসওয়ার্থের মতে, এ ধরনের কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনৈতিক।
ব্রিটেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট সাপের বিষ প্রতিরোধী ওষুধ তৈরির গবেষণা করছে। তাঁদের মতে, উৎপাদন, নিরাপত্তা এবং ওষুধের কার্যকারিতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন কোনো মানদণ্ড নেই।
অনেকেই মরেন করেন, ইউটিউবে ভিউ বাড়ানো ও সমাজের চোখে হিরো হওয়ার জন্য ফ্রেডি এই কাজ করেন। তবে ফ্রেডি বলেন, তিনি শুধু ইউটিউব ভিডিওর জন্য এ কাজ করছেন না। ‘আমি জীবন বাঁচাতে চেয়েছি। আমার কাজ করতে আগ্রহী চিকিৎসকদের খুঁজে পাওয়ার জন্য আমি ইউটিউব ব্যবহার করেছি।’
ফ্রেডি মনে করেন, ধীরে ধীরে শরীরে বিষের মাত্রা বাড়ালে, শরীর একসময় বিষ-প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ব গ্রহণ করেন না। বর্তমানে সাপের অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি মাত্র পদ্ধতি রয়েছে। ঘোড়ার মতো সাপের বিষসহ প্রাণীর শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করেই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। তারপর সেই ঘোড়ার শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় অ্যান্টিভেনম।
দুই বছর আগে টিম ফ্রেডির একটি ইউটিউব ভিডিও নজর কাড়ে প্রখ্যাত রোগতত্ত্ববিদ জেকব গ্ল্যানভিলের। তিনি বলেন, ‘টিম যা করছে তা অসামান্য। কিন্তু এটা বিপজ্জনক। এটা করার জন্য আমি অন্য কাউকে পরামর্শ দেব না। ফ্রেডির রক্তের নমুনা ব্যবহার করে নতুন একটি অ্যান্টিভেনম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে গ্ল্যানভিলের কম্পানি।’
টিম ফ্রেডি ব্যতিক্রমী ব্যক্তি। তিনি নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে বিষধর সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বলে যে কেউই চাইলে এমন গবেষণা করতে পারেন না, করা উচিতও নয়। সাপের একটি কামড়ই হয়তো আপনার জীবন সংশয়ে ফেলে দিতে পারে। তা ছাড়া বেঁচে গেলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই সাবাধান, ফ্রেডির মতো আপনিও একই চেষ্টা করবেন না।
সূত্র : বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের এই বাসিন্দা তিনি। নাম টিম ফ্রেডি। আগে ছিলেন ট্রাকচালক। এখন নিজেকেগবেষক হিসে দাবি করেন। করছেন অ্যান্টিভেনম আবিষ্কারের গবেষণা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই শতাধিকবার স্বেচ্ছায় বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন এবং কমপক্ষে ৭০০ বার সাপের বিষ শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়েছেন। তার এই সাহসিকতার পেছনে রয়েছে একটি মহৎ উদ্দেশ্য—এমন এক ওষুধ তৈরি করা, যা বিষধর সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে অব্যর্থ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
টিম ফ্রেডির ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি ব্ল্যাক মাম্বার কামড় খেয়ে ক্যামেরায় তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। তার হাত দিয়ে রক্ত ঝরছে, আর তিনি বর্ণনা করছেন যে এই কামড়ের পরপরই তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। একটি ব্ল্যাক মাম্বার বিষ ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এই বিষ প্রবেশর সঙ্গে সঙ্গে শরীর ফুলে ওঠে এবং মারাত্মক যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।
ফ্রেডি বলেন, ‘ব্ল্যাক মাম্বার কামড়ের পর মনে হবে যেন এক হাজার মৌমাছি একসঙ্গে কামড় দিয়েছে।’
যদিও ফ্রেডির ইউটিউব ফ্যানরা তার সাহসিকতায় মুগ্ধ, তবু সবাই একমত নয়। লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ড স্টুয়ার্ট এইনসওয়ার্থের মতে, এ ধরনের কাজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনৈতিক।
ব্রিটেনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়েলকাম ট্রাস্ট সাপের বিষ প্রতিরোধী ওষুধ তৈরির গবেষণা করছে। তাঁদের মতে, উৎপাদন, নিরাপত্তা এবং ওষুধের কার্যকারিতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে অভিন্ন কোনো মানদণ্ড নেই।
অনেকেই মরেন করেন, ইউটিউবে ভিউ বাড়ানো ও সমাজের চোখে হিরো হওয়ার জন্য ফ্রেডি এই কাজ করেন। তবে ফ্রেডি বলেন, তিনি শুধু ইউটিউব ভিডিওর জন্য এ কাজ করছেন না। ‘আমি জীবন বাঁচাতে চেয়েছি। আমার কাজ করতে আগ্রহী চিকিৎসকদের খুঁজে পাওয়ার জন্য আমি ইউটিউব ব্যবহার করেছি।’
ফ্রেডি মনে করেন, ধীরে ধীরে শরীরে বিষের মাত্রা বাড়ালে, শরীর একসময় বিষ-প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ব গ্রহণ করেন না। বর্তমানে সাপের অ্যান্টিভেনম তৈরির একটি মাত্র পদ্ধতি রয়েছে। ঘোড়ার মতো সাপের বিষসহ প্রাণীর শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করেই অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হয়। তারপর সেই ঘোড়ার শরীর থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় অ্যান্টিভেনম।
দুই বছর আগে টিম ফ্রেডির একটি ইউটিউব ভিডিও নজর কাড়ে প্রখ্যাত রোগতত্ত্ববিদ জেকব গ্ল্যানভিলের। তিনি বলেন, ‘টিম যা করছে তা অসামান্য। কিন্তু এটা বিপজ্জনক। এটা করার জন্য আমি অন্য কাউকে পরামর্শ দেব না। ফ্রেডির রক্তের নমুনা ব্যবহার করে নতুন একটি অ্যান্টিভেনম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে গ্ল্যানভিলের কম্পানি।’
টিম ফ্রেডি ব্যতিক্রমী ব্যক্তি। তিনি নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে বিষধর সাপের কামড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই বলে যে কেউই চাইলে এমন গবেষণা করতে পারেন না, করা উচিতও নয়। সাপের একটি কামড়ই হয়তো আপনার জীবন সংশয়ে ফেলে দিতে পারে। তা ছাড়া বেঁচে গেলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই সাবাধান, ফ্রেডির মতো আপনিও একই চেষ্টা করবেন না।
সূত্র : বিবিসি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রণীত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা
১৬ ঘণ্টা আগে
হাইকমিশন জানিয়েছে, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের সপ্তম সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আজ দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও তার দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো শঙ্কা দেখছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, রায়ের পরে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার সম্ভাবনা নেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, ময়মনসিহং বিভাগে ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী রয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে