রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীতে গেল এক সপ্তাহ ধরের তাপমাত্রার পারদ থাকছে ৪০ ডিগ্রির ওপরে। তবে এরইমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তীব্র দাবদাহ মাথায় নিয়ে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র রোদের কারণে প্রাথমিকের রুটিনে পরিবর্তন আনা হলেও মাধ্যমিকের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোনো পরিবর্তন হয় নি। অর্থাৎ আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, টানা এই দাবদাহে বাইরে বের হওয়াই কঠিন। অথচ ছোট ছোট বাচ্চারা প্রখর রোদ ও তীব্র গরমের মধ্যে ক্লাসে যাচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত অমানবিক। তারা ক্লাসের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর গভ. লাবরেটরি হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক স্তরের বহু শিশু শিক্ষার্থী স্কুল ভবনের সামনে ভীড় জমাচ্ছে। কিন্তু ভবনে তখনো তালা। তাই স্কুলের আঙিনায় তারা জড়ো হয়। এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রাথমিক স্তরে সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হওয়া কথা। এ কারণে তারা আগেভাগেই স্কুলে হাজির হয়। কিন্তু তাদের স্কুলে ক্লাস শুরু হবে ১০টায়। এজন্য স্কুল ভবনের প্রধান ফটকে তালা। ক্লাসে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলের মাঠে তীব্র রোদে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনো ধরনের উদ্যোগ ছিল না।
রাজশাহী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন ফেরদৌস বলেন, তীব্র তাপদেহে বাসা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করেই স্কুল পর্যন্ত আসতে বেশ কষ্ট হয়। তাপে মনে হচ্ছে হাত-মুখ পুড়ে যাচ্ছে। স্কুল খোলা, ক্লাস চলছে। কিছু করার নাই, আসতেই হবে।
রাজশাহী শহীদ কর্ণেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী ফারহান হাবীব প্রিয়। খুব গরম লাগছিলো। স্কুলে ঘেমে যাচ্ছিলাম। পানি পাপাসা বেশি লাগছে। একটু পর পর পানি খেয়েছি।
এদিকে অভিভাবকরা বলছেন, এই গরমে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলে ভালো হতো। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপদহের থেকে রক্ষা পেত। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী চলছেন।
রাজশাহী শহীদ কর্ণেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের এক শিক্ষার্থী মা ফাহমিদা আখতার বলেন, এই গরমে স্কুল খোলা একটি অমানবিক কাজ। শিশুরা তো যে কোন সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকেরাও তো বলছে তাদের ঘরের বাইরে না নিয়ে যেতে। কিন্তু স্কুল খোলা। এখন যত কষ্টই হোক স্কুলে নিয়ে আসতে হবে।
লক্ষ্মীপুর বহুমুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন আইরিন জাফর, আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে চলছি। গরমে বাচ্চাদের তো কষ্ট হচ্ছেই। আমাদের করার কিছু নেই। মন্ত্রণালয় থেকে যদি স্কুলের সময়টা পরিবর্তন করত তাহলে হয়তো ভালো হতো। ক্লাসরুমে প্রত্যেকটি বাচ্চা পানির বোতল নিয়ে আসছে। আমার শিক্ষকদের বলেছি প্রতিটি বাচ্চার দিকে লক্ষ্য রাখতে।
রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন জানান, স্কুলের সময়-সুচির বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এ কারণে আগের সময় সুচি অনুযায়ীই ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, রাজশাহী আহাবওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, রোববার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা প্রায় ১৫দিনেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর তাপমাত্র ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
রাজশাহীতে গেল এক সপ্তাহ ধরের তাপমাত্রার পারদ থাকছে ৪০ ডিগ্রির ওপরে। তবে এরইমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই তীব্র দাবদাহ মাথায় নিয়ে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। তীব্র রোদের কারণে প্রাথমিকের রুটিনে পরিবর্তন আনা হলেও মাধ্যমিকের সঙ্গে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোনো পরিবর্তন হয় নি। অর্থাৎ আগের মতোই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস করতে হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। তারা বলছেন, টানা এই দাবদাহে বাইরে বের হওয়াই কঠিন। অথচ ছোট ছোট বাচ্চারা প্রখর রোদ ও তীব্র গরমের মধ্যে ক্লাসে যাচ্ছে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত অমানবিক। তারা ক্লাসের সময় পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর গভ. লাবরেটরি হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায়, প্রাথমিক স্তরের বহু শিশু শিক্ষার্থী স্কুল ভবনের সামনে ভীড় জমাচ্ছে। কিন্তু ভবনে তখনো তালা। তাই স্কুলের আঙিনায় তারা জড়ো হয়। এই ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রাথমিক স্তরে সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হওয়া কথা। এ কারণে তারা আগেভাগেই স্কুলে হাজির হয়। কিন্তু তাদের স্কুলে ক্লাস শুরু হবে ১০টায়। এজন্য স্কুল ভবনের প্রধান ফটকে তালা। ক্লাসে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় অনেক শিক্ষার্থীই স্কুলের মাঠে তীব্র রোদে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনো ধরনের উদ্যোগ ছিল না।
রাজশাহী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন ফেরদৌস বলেন, তীব্র তাপদেহে বাসা থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করেই স্কুল পর্যন্ত আসতে বেশ কষ্ট হয়। তাপে মনে হচ্ছে হাত-মুখ পুড়ে যাচ্ছে। স্কুল খোলা, ক্লাস চলছে। কিছু করার নাই, আসতেই হবে।
রাজশাহী শহীদ কর্ণেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী ফারহান হাবীব প্রিয়। খুব গরম লাগছিলো। স্কুলে ঘেমে যাচ্ছিলাম। পানি পাপাসা বেশি লাগছে। একটু পর পর পানি খেয়েছি।
এদিকে অভিভাবকরা বলছেন, এই গরমে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করলে ভালো হতো। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা তীব্র তাপদহের থেকে রক্ষা পেত। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, তারা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী চলছেন।
রাজশাহী শহীদ কর্ণেল কাজী এমদাদুল হক পাবলিক স্কুলের এক শিক্ষার্থী মা ফাহমিদা আখতার বলেন, এই গরমে স্কুল খোলা একটি অমানবিক কাজ। শিশুরা তো যে কোন সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকেরাও তো বলছে তাদের ঘরের বাইরে না নিয়ে যেতে। কিন্তু স্কুল খোলা। এখন যত কষ্টই হোক স্কুলে নিয়ে আসতে হবে।
লক্ষ্মীপুর বহুমুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন আইরিন জাফর, আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে চলছি। গরমে বাচ্চাদের তো কষ্ট হচ্ছেই। আমাদের করার কিছু নেই। মন্ত্রণালয় থেকে যদি স্কুলের সময়টা পরিবর্তন করত তাহলে হয়তো ভালো হতো। ক্লাসরুমে প্রত্যেকটি বাচ্চা পানির বোতল নিয়ে আসছে। আমার শিক্ষকদের বলেছি প্রতিটি বাচ্চার দিকে লক্ষ্য রাখতে।
রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন জানান, স্কুলের সময়-সুচির বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এ কারণে আগের সময় সুচি অনুযায়ীই ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, রাজশাহী আহাবওয়া অফিসের উচ্চপর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, রোববার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা প্রায় ১৫দিনেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর তাপমাত্র ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
সভায় ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৭ হিজরি ৯ ভাদ্র ১৪৩২
২ ঘণ্টা আগেএ সময় ইসহাক দারের সঙ্গে ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তারিক বাজওয়া, পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল (সাউথ এশিয়া ও সার্ক) ইলিয়াস মেহমুদ নিজামী, ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডেপুটি হাইকমিশনার মুহাম্মাদ ওয়াসিফ, পলিটিক্যাল কাউন্সেলর কামরান দাঙ্গল প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, প্রথাগত দলবাজি, দখলবাজি ও পদ বাণিজ্য প্রকটতর হয়ে কোনো কোনো সহিংস দলীয় কোন্দল স্থানীয় পর্যায়ে সহিংসতার পাশাপাশি হরতাল ঘোষণার মত বিরল দৃষ্টান্তও সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। দাবি আদায় অনেক ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের পাশাপাশি কোনো কোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও বিচ্ছিন্নভাবে অতিক্ষমতায়িত শক্তির সম্পৃক্তত
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন, যা পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
৩ ঘণ্টা আগে