ঢাকা মহানগরীতে ওএমএস ডিলার নিয়ে জটিলতা, আটকে আছে নিয়োগ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরীর খোলা বাজার বিক্রয় বা ওএমএস ডিলারশিপ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হওয়ার পরও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ডিলারশিপ পাওয়া ডিলাররা নতুন ডিলার নিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত সরকারের শাসনামলে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ওএমএস ডিলার নিয়োগ নীতিমালা জারি করা হয়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বা বিজ্ঞাপন ছাড়া প্রায় চার শতাধিক আওয়ামী সরকারের দলীয় কর্মী বা আত্মীয়-স্বজনকে ঢাকা মহানগরীর জন্য ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন নীতিমালা ২০২৪ জারি করা হয়। এ সময় আগের নিয়োগ দেওয়া ডিলারদের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়।

এদিকে এ পরিপত্র বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আগের ডিলাররা। আদালত পুরাতন ডিলারদের তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখার আদেশ দেন। ফলে চলতি বছরের জুন নাগাদ তারা বহাল থাকেন। কিন্তু বাতিল ডিলাররা বিভিন্ন উপায়ে নতুন ডিলার নিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেন আবেদনকারীরা।

এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওএমএস ডিলার নিয়োগে সহস্রাধিক আবেদনকারীর উপস্থিতিতে লটারি আয়োজন করে খাদ্য বিভাগ। ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম জানান, খাদ্য কর্তৃপক্ষ সফলভাবে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে একাধিক যোগ্য আবেদনকারীর মাঝে এই লটারি আয়োজনের উদ্যোগ নেয়।

লটারির মাধ্যমে ডিলারশিপ নিয়োগের সেই কার্যক্রম পুরনো ডিলাররা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লটারিতে বিজয়ী নতুন ডিলারশিপপ্রাপ্ত একাধিক আবেদনকারী জানিয়েছেন, পুরনো ডিলাররা খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রেশনিং অফিসসহ ওএমএস কার্যক্রম অচল করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। আর এসব ক্ষেত্রে বিভাগীয় কমিশনার ও নিয়োগ কমিটির প্রধান শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এসব কারণে ‘ডিলার নিয়োগ-২০২৫’ বাতিলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

লটারিতে বিজয়ী আগারগাঁও তালতলা বাজার এলাকার ডিলারশিপ মো মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরদিনই নিয়োগ ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখন পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহা না করে উপকমিটি তৈরি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্রের কারণে এসব অবৈধ ডিলারদের দিয়ে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনায় খাদ্য বিভাগ বাধ্য হচ্ছে, যা কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ নয়।

লটারিতে বিজয়ী ডিলাররা জানান, তারা বৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত হয়েও আগেএ অবৈধ ডিলারদের দুর্নীতির কারণে নিয়োগপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হতেও প্রস্তুত।

নতুন নিয়োগ পাওয়া ডিলাররা আরও বলেন, কমিটি যদি কোনো অপতৎপরতা চালায় তবে তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন, অবৈধ ডিলাদের ওএমএস কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হবে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ইসরায়েল থেকে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে শহিদুল আলমকে

সমুদ্রপথে গাজার পথে রওয়ানা দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ অন্যদের তুরস্কে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২ ঘণ্টা আগে

শহিদুল আলমকে মুক্ত করার চেষ্টা চলছে: প্রেস উইং

৮ ঘণ্টা আগে

ভারত ইস্যুতে তারেকের মন্তব্যে কী বলছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা

১০ ঘণ্টা আগে

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ

১১ ঘণ্টা আগে