বাংলাদেশে ন্যায্য রূপান্তরে অর্থায়নের জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আজারবাইজানের বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ‘অ্যাকসিলারেটিং ফাইন্যান্স ফর জাস্ট ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ: ইনসাইট ফ্রম কপ ২৯’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে ন্যায্য রূপান্তরের জন্য আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজারবাইজানের বাকুতে চলমান কপ২৯ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত একটি সাইড ইভেন্টে এ আহ্বান জানান আলোচকরা।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত ‘অ্যাকসিলারেটিং ফাইন্যান্স ফর জাস্ট ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ: ইনসাইট ফ্রম কপ ২৯’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যানের (এনএপি ২০২৩-২০৫০) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে জাস্ট ট্রানজিশন বা রূপান্তর কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে ১১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। এর জোগান দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। ধনী দেশগুলোকে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়ে আলোচকরা বলেন, এটি করা গেলে প্রায় ৪১ লাখ মানুষের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে।

ওশি ফাউন্ডেশন ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেডরিখ-ইবার্ট স্টিফটুং-এফইএস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন। তিনি পরিবর্তন প্রশমনের (মিটিগেশন) জন্য শোভন ও মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান তৈরিতে অর্থায়ন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন বলেন, শোভন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কর্মশক্তি উন্নয়ন ও বিকল্প জীবিকা ব্যবস্থাপনার জন্যও অর্থায়ন প্রয়োজন। তিনি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য তহবিলের গঠনের ওপরও জোর দেন। পাশাপাশি রূপান্তরকালীন সময়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে সামাজিক সংলাপ আয়োজনেরও তাগিদ দেন আমিনুর রশীদ চৌধুরী রিপন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপারসন ড. এস এম মোর্শেদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে সবুজ রপ্তানি কর্মসূচি ও কৌশলগত রপ্তানি শিল্পের জন্য শতভাগ লিড সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু শ্রমের ন্যায্য রূপান্তর এবং ভবিষ্যতের শিল্প ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্যই প্রায় ১১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই সময়সীমার মধ্যে পরিকল্পনা কার্যক্রমগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার বিকল্প নেই।

আলোচনা অনুষ্ঠানে ইয়ুথ নেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান তার প্রবন্ধ উপস্থানায় ন্যায্য রূপান্তরের জন্য যুব সম্পৃক্ততা নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) বৈশ্বিক জলবায়ু নীতিমালা সমন্বয়ক বার্ট ডি ওয়েল, আইএলও প্রধান কার্যালয়ের জাস্ট ট্রানজিশনের পরিচালক মুস্তাফা কামাল, এফইএস ইন্ডিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার মান্দভি কুল শ্রেষ্ঠ, ইউনিফোর কানাডার সারি সাইরান্যান এবং জাস্ট ট্রানজিশন সেন্টার, বেলজিয়ামের উন্নয়নবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাকু ম্যাকলিওড।

বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন সুশীল সমাজ সংগঠনের মোট ৪০ জন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন