
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ঢাকায় বাউল সাধক, ফকির, সাধু-সন্তদের নিয়ে মহাসম্মেলনের ডাক দিয়েছেন কবি, চিন্তক ফরহাদ মজহার।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানিকগঞ্জে বাউল সাধকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাধুগুরুভক্ত ও ওলি-আওলিয়া আশেকান পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ডাক দেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা খুব শিগগির রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাউল, ফকিরদের নিয়ে আমরা দুই-তিন দিনব্যাপী অবস্থাম নেব। সেখানে গান আর কথায় আমরা বাউলদের নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর করব।
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনার পরে ওই জেলা শহরেও বাউল-ফকিরদের সমাবেশ আয়োজন করার কথা বলেন ফরহাদ মজহার।
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো যদি দোষীদের আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে, তবে জনগণ ব্যালটেই এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি এ সময় বাউল সাধক ও ফকিরদের একজোট থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বতী সরকার অঙ্গীকার করেছিল, তারা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এ সরকারের আমলে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ এনে বলেন, একটি লুটেরা-মাফিয়া গোষ্ঠী নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে। তারা দম্ভ প্রকাশ করছে। এ গোষ্ঠী এখন মাজারে হামলা করছে, বাউলদের মারপিট করছে। এ গোষ্ঠী ইহুদিদের চর, মোসাদের চর। তারা দেশ থেকে ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায়। তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মর্যাদাহানি করছেন।
বাউল আবুল সরকার পালাগান পরিবেশনায় নাটকীয়তার মাধ্যমে ধর্মের নানা তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, আবুল সরকার কোনো ভুল করেননি। প্রশাসনে যারা কর্তব্যরত রয়েছেন, তাদেরই ব্যর্থতা যে তাদের সাংস্কৃতিক শিক্ষা নিচু স্তরের।
পরে আবুল সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সমাবেশে আগত বাউল অনুসারীরা।
তারা বলেন, কিছু শিক্ষাহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যসম্পন্ন মহল আবুল সরকারের পালার একটি অংশকে বিচ্ছিন্নভাবে সামনে এনে তাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি সুফি ধারার শিল্পী, এই ধারায় সাপ্তিকতার কোনো স্থান নেই, বরং আল্লাহ ও রাসূলের প্রশংসা ও প্রেমগাঁথাই তাদের প্রধান বিষয়বস্তু। সুতরাং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ স্পষ্টতই ভিত্তিহীন এবং অসৎ উদ্দেশ্যমূলক।
বাউল, ফকিরদের আশঙ্কা- একটি গোষ্ঠী এই ঘটনাকে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে সমাজে নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে।
পরে বাউল সাধকদের পক্ষে কবি ফরহাদ মজহার, মোহাম্মদ রোমেল, আবুল কাশেম, আলেয়া বেগম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো - বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি; মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা; সামাজিক নৈরাজ্য প্রতিরোধে রাষ্ট্রের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ; বিভিন্ন মাজারে হামলার ঘটনা প্রতিরোধ করা।

ঢাকায় বাউল সাধক, ফকির, সাধু-সন্তদের নিয়ে মহাসম্মেলনের ডাক দিয়েছেন কবি, চিন্তক ফরহাদ মজহার।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানিকগঞ্জে বাউল সাধকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাধুগুরুভক্ত ও ওলি-আওলিয়া আশেকান পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ ডাক দেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা খুব শিগগির রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাউল, ফকিরদের নিয়ে আমরা দুই-তিন দিনব্যাপী অবস্থাম নেব। সেখানে গান আর কথায় আমরা বাউলদের নিয়ে সব বিভ্রান্তি দূর করব।
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনার পরে ওই জেলা শহরেও বাউল-ফকিরদের সমাবেশ আয়োজন করার কথা বলেন ফরহাদ মজহার।
মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো যদি দোষীদের আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে, তবে জনগণ ব্যালটেই এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি এ সময় বাউল সাধক ও ফকিরদের একজোট থাকার আহ্বান জানান।
সমাবেশে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বতী সরকার অঙ্গীকার করেছিল, তারা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে। কিন্তু এ সরকারের আমলে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ এনে বলেন, একটি লুটেরা-মাফিয়া গোষ্ঠী নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইছে। তারা দম্ভ প্রকাশ করছে। এ গোষ্ঠী এখন মাজারে হামলা করছে, বাউলদের মারপিট করছে। এ গোষ্ঠী ইহুদিদের চর, মোসাদের চর। তারা দেশ থেকে ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে চায়। তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মর্যাদাহানি করছেন।
বাউল আবুল সরকার পালাগান পরিবেশনায় নাটকীয়তার মাধ্যমে ধর্মের নানা তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার।
তিনি বলেন, আবুল সরকার কোনো ভুল করেননি। প্রশাসনে যারা কর্তব্যরত রয়েছেন, তাদেরই ব্যর্থতা যে তাদের সাংস্কৃতিক শিক্ষা নিচু স্তরের।
পরে আবুল সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সমাবেশে আগত বাউল অনুসারীরা।
তারা বলেন, কিছু শিক্ষাহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যসম্পন্ন মহল আবুল সরকারের পালার একটি অংশকে বিচ্ছিন্নভাবে সামনে এনে তাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি সুফি ধারার শিল্পী, এই ধারায় সাপ্তিকতার কোনো স্থান নেই, বরং আল্লাহ ও রাসূলের প্রশংসা ও প্রেমগাঁথাই তাদের প্রধান বিষয়বস্তু। সুতরাং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ স্পষ্টতই ভিত্তিহীন এবং অসৎ উদ্দেশ্যমূলক।
বাউল, ফকিরদের আশঙ্কা- একটি গোষ্ঠী এই ঘটনাকে ইন্ধন হিসেবে ব্যবহার করে সমাজে নৈরাজ্য ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে।
পরে বাউল সাধকদের পক্ষে কবি ফরহাদ মজহার, মোহাম্মদ রোমেল, আবুল কাশেম, আলেয়া বেগম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো - বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি; মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা; সামাজিক নৈরাজ্য প্রতিরোধে রাষ্ট্রের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ; বিভিন্ন মাজারে হামলার ঘটনা প্রতিরোধ করা।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একই মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগ শুনানি মুলতবির আদেশ প্রত্যাহার করেন।
২ ঘণ্টা আগে
ফুলকোর্ট সভা মূলত বিচারপতিদের কথা বলার নিজস্ব ফোরাম। এতে নীতি-নির্ধারণী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিকে নিয়ে এ সভা করে থাকেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আদালত সূত্র বলছে, গত বছর ওই পোশাক কারখানার ফিনিশিং সুপারভাইজার আমিনুর রহমানের পর আর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে ১৮ নভেম্বরও মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত পরের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী বছরের ৯ মার্চ।
৬ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট আইনের সব বিধান অনুযায়ী দায়ি
৭ ঘণ্টা আগে