
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১২ জন শ্রমিক। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৩ বছর। কিন্তু শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি।
আলোচিত এ ঘটনার মামলার বিচারকাজ চলছে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহানের আদালতে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। তবে কবে নাগাদ মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালত সূত্র বলছে, গত বছর ওই পোশাক কারখানার ফিনিশিং সুপারভাইজার আমিনুর রহমানের পর আর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে ১৮ নভেম্বরও মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত পরের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী বছরের ৯ মার্চ।
এ মামলার বিচার না হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনায় শ্রমিকদের স্বজনরা বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় ওই ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণও তারা পাচ্ছেন না।
তোবা গ্রুপের মালিকানাধীন ওই কারখানায় আগুন লাগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর। আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত সে কারখানার আগুন ছিল স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ।
বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরও ছয় তলা ওই কারখানার বিভিন্ন তলায় দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল, শ্রমিকদের বের হতে দেওয়া হয়নি। ওই সময় কারখানায় প্রায় এক হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে ১১২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে আহত ও দগ্ধ হন আরও দুই শতাধিক শ্রমিক।
এদিকে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ৫৩টি পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ২৫ নভেম্বর আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম একই থানায় নাশকতা ও অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাসখানেক পর ২২ ২২ ডিসেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারকে প্রধান আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে হত্যা ও অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় আসামিদের।
মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের মধ্যে স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, লোডার শামীম মিয়া ও প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর পলাতক।
মামলার আরও সাত আসামি জামিনে মুক্ত আছেন। তারা হলেন— কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক ও কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান দুলাল। তারা সবাই জামিনে আছেন।
এ মামলার বিচারকাজ থমকে রয়েছে মূলত সাক্ষ্য গ্রহণে ধীরগতির কারণে। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১০৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছিল। ২০১৫ সালে আদালত সাক্ষ্য নিতে শুরু করার পর গত ১০ বছরে মাত্র ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু সেলিম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নতুন করে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। মামলার নথিপত্র নতুন করে গুছিয়ে নিয়ে শুরু করতে গিয়ে নানা নথিপত্র না পাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত গতিতে কাজ করতে পারছেন না।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১২ জন শ্রমিক। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৩ বছর। কিন্তু শ্রমিকদের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি।
আলোচিত এ ঘটনার মামলার বিচারকাজ চলছে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহানের আদালতে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। তবে কবে নাগাদ মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারছে না রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালত সূত্র বলছে, গত বছর ওই পোশাক কারখানার ফিনিশিং সুপারভাইজার আমিনুর রহমানের পর আর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে ১৮ নভেম্বরও মামলার সাক্ষ্য নেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কোনো সাক্ষী না আসায় আদালত পরের তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী বছরের ৯ মার্চ।
এ মামলার বিচার না হওয়ায় প্রাণহানির ঘটনায় শ্রমিকদের স্বজনরা বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় ওই ঘটনায় যথাযথ ক্ষতিপূরণও তারা পাচ্ছেন না।
তোবা গ্রুপের মালিকানাধীন ওই কারখানায় আগুন লাগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর। আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত সে কারখানার আগুন ছিল স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ।
বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরও ছয় তলা ওই কারখানার বিভিন্ন তলায় দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল, শ্রমিকদের বের হতে দেওয়া হয়নি। ওই সময় কারখানায় প্রায় এক হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে ১১২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে আহত ও দগ্ধ হন আরও দুই শতাধিক শ্রমিক।
এদিকে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে ৫৩টি পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের পরদিন ২৫ নভেম্বর আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম একই থানায় নাশকতা ও অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাসখানেক পর ২২ ২২ ডিসেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারকে প্রধান আসামি করে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে হত্যা ও অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় আসামিদের।
মামলায় অভিযুক্ত অন্যদের মধ্যে স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, লোডার শামীম মিয়া ও প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর পলাতক।
মামলার আরও সাত আসামি জামিনে মুক্ত আছেন। তারা হলেন— কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক ও কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান দুলাল। তারা সবাই জামিনে আছেন।
এ মামলার বিচারকাজ থমকে রয়েছে মূলত সাক্ষ্য গ্রহণে ধীরগতির কারণে। মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১০৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছিল। ২০১৫ সালে আদালত সাক্ষ্য নিতে শুরু করার পর গত ১০ বছরে মাত্র ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু সেলিম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে নতুন করে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। মামলার নথিপত্র নতুন করে গুছিয়ে নিয়ে শুরু করতে গিয়ে নানা নথিপত্র না পাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত গতিতে কাজ করতে পারছেন না।

এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১২১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮১ জন, খুলনা বিভাগে ১১২ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪
১৬ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ফের ভারতের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
সারাদেশে মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষায় সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, তাদেরকে নীতিমালায় নিয়ে আসা হবে, যাতে করে তারা কোনো বৈষম্যের শিকার হলে সুরক্ষা বা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
আসকের মতে, রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলো পুলিশের আইনগত ও নৈতিক বাধ্যবাধকতা। এ ধরনের মৃত্যু বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ ও মানদণ্ডে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তার সাথেও সাংঘর্ষিক।
১৮ ঘণ্টা আগে