
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

সাংবাদিক বাবার সন্তানও সাংবাদিক। কাজ করেন ডেইলি স্টারে। দেশের অন্যতম সেরা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকতার সব ঝুঁকি মেনেও বাবা তাই সন্তানকে নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত, গর্বিত।
সাংবাদিক সন্তানের সেই সাংবাদিক বাবার নির্ঘুম রাত রাত কেটেছে, উদ্বেগে ভরা দীর্ঘতম এক রাত। সন্তান যখন পত্রিকা অফিসে ডিউটিতে, তখন যে ভাঙচুর চালানো হয়ে সেখানে, লাগানো হয়েছে আগুন। টিভি-অনলাইন, ফেসবুক-ইউটিবে কেবল দেখছেন— দাউ দাউ করে জ্বলছে সন্তানের কর্মস্থল, ছেলে ভেতরে আটকা সহকর্মীদের সঙ্গে।
সন্তানের জন্য মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহরের সে অনুভূতি তুলে ধরেছেন ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্তর বাবা আহমেদ জহুর। সন্তানকে ফিরে পেয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে লিখেছেন সেই ‘বীভৎস’ রাতের কথা।
সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসে আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘এক বীভৎস রাত পাড়ি দিলাম। বড় ছেলে আহমেদ দীপ্ত এইমাত্র বাসায় ফিরল। সারা রাত আগুন আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে শরীরটা কালচে হয়ে গেছে।’
আহমেদ জহুর জানান, শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে সেনাবাহিনী আহমেদ দীপ্তসহ তার সহকর্মী কয়েকজনকে উদ্ধার করে। এ সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকেও তারা উদ্ধার করে। নূরুল কবির ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে গেলে তার ওপরও হামলা হয়।
আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘ডেইলি স্টারের ছাদে আটকে পড়া অন্যান্য সাংবাদিকের পিতা-মাতাও আমাদের মতো সারা রাত উদ্বিগ্ন সময় কাটিয়েছেন। সমবেদনা রইল।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকার শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথম আলো-ডেইলি স্টারকে ‘ভারতের দালাল ও সহযোগী’ অভিহিত করে প্রতিষ্ঠান দুটিতে হামলার আহ্বান জানানো হয় অনলাইনে।
এরপর মধ্যরাতে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে প্রথমে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। সেখান থেকে একই বিক্ষোভকারীরা গিয়ে হামলা-ভাঙচুরের পর আগুন দেয় ডেইলি স্টার ভবনে।

নিজের ও সন্তানের জীবনের অভিজ্ঞতায় দেশের সাংবাদিকতা নিয়ে আক্ষেপ করে আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘সাংবাদিকতার জগতে আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। এরশাদ আমলে ১৯৮৮ সালে পল্টন মোড়ে আমি পুলিশের হাতে প্রহৃত হয়েছিলাম। আমার ছেলে প্রথম আলোয় থাকাকালে ২০১৮ সালে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর হাতে প্রহৃত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ৫৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিল।’
‘এখন সে কাজ করে ডেইলি স্টারে। গতকাল রাতে তার লেট নাইট ছিল। উগ্রবাদী জনতা (আমি তৌহিদি শব্দ বলতে চাই না) ফার্মগেটে পত্রিকাটির অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।’
আহমেদ জহুর আরও লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমার সন্তানকে আগুন আর পশুদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, এতেই আমরা এখন খুশি। আমার অসংখ্য বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী সারারাত জেগে আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল। মহান আল্লাহ যেন এইসব গণ্ডমূর্খ পশুদেরকে হেদায়েত করেন।’
ডেইলি স্টারে কর্মরত সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন লাগানোর সময় ভেতরে ২৫-৩০ জন সংবাদ কর্মী আটকা পড়েন। আগুন-ধোঁয়ায় তারা একসময় ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ভোরের দিকে ক্রেন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

সাংবাদিক বাবার সন্তানও সাংবাদিক। কাজ করেন ডেইলি স্টারে। দেশের অন্যতম সেরা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকতার সব ঝুঁকি মেনেও বাবা তাই সন্তানকে নিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্ত, গর্বিত।
সাংবাদিক সন্তানের সেই সাংবাদিক বাবার নির্ঘুম রাত রাত কেটেছে, উদ্বেগে ভরা দীর্ঘতম এক রাত। সন্তান যখন পত্রিকা অফিসে ডিউটিতে, তখন যে ভাঙচুর চালানো হয়ে সেখানে, লাগানো হয়েছে আগুন। টিভি-অনলাইন, ফেসবুক-ইউটিবে কেবল দেখছেন— দাউ দাউ করে জ্বলছে সন্তানের কর্মস্থল, ছেলে ভেতরে আটকা সহকর্মীদের সঙ্গে।
সন্তানের জন্য মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহরের সে অনুভূতি তুলে ধরেছেন ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্তর বাবা আহমেদ জহুর। সন্তানকে ফিরে পেয়ে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ফেসবুকে লিখেছেন সেই ‘বীভৎস’ রাতের কথা।
সকাল ৮টা ১৯ মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসে আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘এক বীভৎস রাত পাড়ি দিলাম। বড় ছেলে আহমেদ দীপ্ত এইমাত্র বাসায় ফিরল। সারা রাত আগুন আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে শরীরটা কালচে হয়ে গেছে।’
আহমেদ জহুর জানান, শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে সেনাবাহিনী আহমেদ দীপ্তসহ তার সহকর্মী কয়েকজনকে উদ্ধার করে। এ সময় নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকেও তারা উদ্ধার করে। নূরুল কবির ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে গেলে তার ওপরও হামলা হয়।
আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘ডেইলি স্টারের ছাদে আটকে পড়া অন্যান্য সাংবাদিকের পিতা-মাতাও আমাদের মতো সারা রাত উদ্বিগ্ন সময় কাটিয়েছেন। সমবেদনা রইল।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী ঢাকার শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রথম আলো-ডেইলি স্টারকে ‘ভারতের দালাল ও সহযোগী’ অভিহিত করে প্রতিষ্ঠান দুটিতে হামলার আহ্বান জানানো হয় অনলাইনে।
এরপর মধ্যরাতে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে প্রথমে প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। সেখান থেকে একই বিক্ষোভকারীরা গিয়ে হামলা-ভাঙচুরের পর আগুন দেয় ডেইলি স্টার ভবনে।

নিজের ও সন্তানের জীবনের অভিজ্ঞতায় দেশের সাংবাদিকতা নিয়ে আক্ষেপ করে আহমেদ জহুর লিখেছেন, ‘সাংবাদিকতার জগতে আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। এরশাদ আমলে ১৯৮৮ সালে পল্টন মোড়ে আমি পুলিশের হাতে প্রহৃত হয়েছিলাম। আমার ছেলে প্রথম আলোয় থাকাকালে ২০১৮ সালে ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনীর হাতে প্রহৃত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ৫৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিল।’
‘এখন সে কাজ করে ডেইলি স্টারে। গতকাল রাতে তার লেট নাইট ছিল। উগ্রবাদী জনতা (আমি তৌহিদি শব্দ বলতে চাই না) ফার্মগেটে পত্রিকাটির অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।’
আহমেদ জহুর আরও লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমার সন্তানকে আগুন আর পশুদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন, এতেই আমরা এখন খুশি। আমার অসংখ্য বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী সারারাত জেগে আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল। মহান আল্লাহ যেন এইসব গণ্ডমূর্খ পশুদেরকে হেদায়েত করেন।’
ডেইলি স্টারে কর্মরত সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন লাগানোর সময় ভেতরে ২৫-৩০ জন সংবাদ কর্মী আটকা পড়েন। আগুন-ধোঁয়ায় তারা একসময় ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ভোরের দিকে ক্রেন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে ওসমান হাদির মরদেহ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি রওয়ানা হয়েছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থি। এ নিন্দনীয় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও সরকার কাজ করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এবং যাদের ভারতপন্থি বলে মনে করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের বৈরিতা উসকে দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বার্তায় শোক প্রকাশ করে মার্কিন দূতাবাস।
৪ ঘণ্টা আগে