
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে সিকদার গ্রুপের পরিচালক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক দুই ভাই রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা করেছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মাদ বাদী হয়ে গত রোববার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দুটি করেন। মামলার তথ্য সোমবার প্রকাশ করা হয়।
সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের (প্রয়াত) ছেলে রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। তাদের মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংকে অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে এর আগেও এই দুই ভাই আলোচনায় এসেছিলেন। এসব নিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দুই ভাই বিমান ভাড়া করে বিদেশে চলে যান।
দুদকের মামলায় এজাহারে বলা হয়, প্রধান দুই আসামি রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় ক্রেডিট কার্ডে অর্থ যুক্ত করে বিদেশে নিয়ে ব্যয় করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি পাচার। দুই মামলায় আসামি মোট ১২ জন। কারও কারও নাম দুই মামলায়ই থাকায় ব্যক্তি হিসেবে আসামি ৭ জন।
রন হকসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, ক্রেডিট কার্ডে অর্থ যুক্ত করতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হতে বা অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামি রন হক সিকদারের এফসি অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স (জিএফইটি) লঙ্ঘন করেছেন।
একই সঙ্গে জিএফইটি, ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) সার্কুলার নম্বর-৪, প্রুডেনশিয়াল রেগুলেশন্স ফর কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিংয়ের রেগুলেশন্স ফর ক্রেডিট কার্ডস রেগুলেশন-১৩ এর নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
রন হক গত ৫ বছরে ৭টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ কোটি টাকা) বিদেশে ব্যয় করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করে পাচার করা অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ৫৪(৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আবদুল বারী, সাবেক ডিএমডি এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।
রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, গত ৫ বছরে ৬টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) বিদেশে ব্যয় করেছেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করে অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আবদুল বারী, সাবেক ডিএমডি এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে সিকদার গ্রুপের পরিচালক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক দুই ভাই রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার এবং ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা করেছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মাদ বাদী হয়ে গত রোববার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা দুটি করেন। মামলার তথ্য সোমবার প্রকাশ করা হয়।
সিকদার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের (প্রয়াত) ছেলে রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। তাদের মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংকে অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে এর আগেও এই দুই ভাই আলোচনায় এসেছিলেন। এসব নিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দুই ভাই বিমান ভাড়া করে বিদেশে চলে যান।
দুদকের মামলায় এজাহারে বলা হয়, প্রধান দুই আসামি রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহায়তায় ক্রেডিট কার্ডে অর্থ যুক্ত করে বিদেশে নিয়ে ব্যয় করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি পাচার। দুই মামলায় আসামি মোট ১২ জন। কারও কারও নাম দুই মামলায়ই থাকায় ব্যক্তি হিসেবে আসামি ৭ জন।
রন হকসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, ক্রেডিট কার্ডে অর্থ যুক্ত করতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হতে বা অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামি রন হক সিকদারের এফসি অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন্স ফর ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন্স (জিএফইটি) লঙ্ঘন করেছেন।
একই সঙ্গে জিএফইটি, ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি) সার্কুলার নম্বর-৪, প্রুডেনশিয়াল রেগুলেশন্স ফর কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিংয়ের রেগুলেশন্স ফর ক্রেডিট কার্ডস রেগুলেশন-১৩ এর নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
রন হক গত ৫ বছরে ৭টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০ কোটি টাকা) বিদেশে ব্যয় করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করে পাচার করা অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ৫৪(৩) ধারা লঙ্ঘন করেছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আবদুল বারী, সাবেক ডিএমডি এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।
রিক হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, গত ৫ বছরে ৬টি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) বিদেশে ব্যয় করেছেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডগুলোর ঋণ পরিশোধ করে অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন– ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আবদুল বারী, সাবেক ডিএমডি এম এ ওয়াদুদ, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম বুলবুল, সাবেক এমডি চৌধুরী মোশতাক আহমেদ।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজধানীর গুলশনে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সন্তোষে তাকে কবর
১০ ঘণ্টা আগে
সেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার পুরোনো একটি ভাষণ, যেখানে তিনি পলাতক হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার উচিত লেন্দুপ দর্জির করুণ ইতিহাস পড়া। ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের কান্না, শাপলা চত্বরে নিহত আলেমদের পরিবার-সন্তান
১১ ঘণ্টা আগে
দাফন প্রক্রিয়া চলার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোটভাই আরাফাত রহমানের স্ত্রী শামিলা রহমান, তার ছোট মেয়ে জাফিরা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত
১১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ প্রকাশ্যে এসেছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাকে দেখা গেছে। ভিডিওতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে