প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ঢাকাসহ সারা দেশে রোববারের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছুঁই ছুঁই করছে।
১৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেলেও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সারা দেশে আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, তাদের ৩০০ সদস্য আহত হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দেশজুড়ে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক জন পুলিশ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।”
রাত দশটা পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২২ জন মারা গেছে। ঢাকায় মারা গেছে ১১ জন।
এ ছাড়া ফেনীতে ও লক্ষ্মীপুরে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
নরসিংদীতে ছয় জন, রংপুরে পাঁচ জন মারা গেছে।
কক্সবাজারে মারা গেছে দুজন।
এ ছাড়া মাগুরা ৪, বগুড়ায় ৪, পাবনা, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, শেরপুর, ও কুমিল্লায় তিন জন করে ১৮ জন মারা গেছে।
বরিশাল, জয়পুরহাট, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও ভোলায় এক জন করে ৫ জন নিহত হয়েছে।
এ মাসে ছাত্র আন্দোলনে শুরুর পর শনিবার পর্যন্ত ২১৯ জনের মৃত্যু হয়।
রোববার রাত দশটা পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা সহসাই ১০০ পার হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতাল, পুলিশ, সাংবাদিক ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে আন্দোলনকারী ছাড়াও পুলিশ সদস্য, বিএনপি-ছাত্রদল নেতা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
রোববার সংঘর্ষের সময় ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়, কয়েকজন সংসদ সদস্য ও নেতার বাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো৷
খুলনা, গাজীপুর, মাগুরা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকায় সচিবালয়ের একটি গেটের সামনে, উত্তরা, মিরপুরসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
শাহবাগ, মৎসভবন, বাংলামোটর ও কাওরান বাজার এলাকায় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী জনতা অবস্থান নেয়।
বাসস জানায়, রবিবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
“এখন যারা নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সচিব, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ও এনএসআই-এর প্রধানসহ এ কমিটির মোট সদস্য ২৯ জন।
এদিকে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে।”
এতে আরো বলা হয়, “জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জানানো হয়েছে সোমবার থেকে আবারও তিন দিনের (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
ঢাকাসহ সারা দেশে রোববারের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছুঁই ছুঁই করছে।
১৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেলেও এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সারা দেশে আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, তাদের ৩০০ সদস্য আহত হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে ৫০ জন আহত হওয়ার কথা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দেশজুড়ে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার এক জন পুলিশ সদস্যসহ এ পর্যন্ত ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।”
রাত দশটা পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত ৯৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ ২২ জন মারা গেছে। ঢাকায় মারা গেছে ১১ জন।
এ ছাড়া ফেনীতে ও লক্ষ্মীপুরে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
নরসিংদীতে ছয় জন, রংপুরে পাঁচ জন মারা গেছে।
কক্সবাজারে মারা গেছে দুজন।
এ ছাড়া মাগুরা ৪, বগুড়ায় ৪, পাবনা, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, শেরপুর, ও কুমিল্লায় তিন জন করে ১৮ জন মারা গেছে।
বরিশাল, জয়পুরহাট, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও ভোলায় এক জন করে ৫ জন নিহত হয়েছে।
এ মাসে ছাত্র আন্দোলনে শুরুর পর শনিবার পর্যন্ত ২১৯ জনের মৃত্যু হয়।
রোববার রাত দশটা পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, যা সহসাই ১০০ পার হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতাল, পুলিশ, সাংবাদিক ও সিভিল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে আন্দোলনকারী ছাড়াও পুলিশ সদস্য, বিএনপি-ছাত্রদল নেতা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী রয়েছেন।
রোববার সংঘর্ষের সময় ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়, কয়েকজন সংসদ সদস্য ও নেতার বাড়ি ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টা হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সকল বিভাগীয় সদর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো৷
খুলনা, গাজীপুর, মাগুরা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকায় সচিবালয়ের একটি গেটের সামনে, উত্তরা, মিরপুরসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা।
শাহবাগ, মৎসভবন, বাংলামোটর ও কাওরান বাজার এলাকায় কয়েক হাজার আন্দোলনকারী জনতা অবস্থান নেয়।
বাসস জানায়, রবিবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে নাশকতাকারীদের শক্ত হাতে দমন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
“এখন যারা নাশকতা করছে, তারা কেউই ছাত্র নয়। তারা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভা থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সচিব, সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ও এনএসআই-এর প্রধানসহ এ কমিটির মোট সদস্য ২৯ জন।
এদিকে এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে।”
এতে আরো বলা হয়, “জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন জানানো হয়েছে সোমবার থেকে আবারও তিন দিনের (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গঠনতন্ত্রের ৬(এ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপাচার্য আপনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ২০২৫-এর কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৭৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেপিআর নাকি বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে- এর সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোই নেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সরকারের এ বিষয়ে কম কথা বলাই ভালো।
১৬ ঘণ্টা আগেজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে