প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
চলতি বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত আড়াই মাসে দেশে অন্তত ৫০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক মসংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, এর মধ্যে গত ১০ মার্চ একদিনেই সাত শিশু নিহত হয়েছে, ছয় শিশুর সঙ্গে সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণ ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার প্রবণতা দিন দিন আরও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে শিশুদের ওপর, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার খবর উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমি গভীরভাবে আতঙ্কিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো যেসব জায়গায় শিশুদের সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে ওঠার কথা, সেসব জায়গাসহ অন্যান্য স্থানে শিশু ধর্ষণ ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার ভয়ানক ঘটনাগুলো সম্প্রতি যেভাবে বেড়েছে, তা নিয়ে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
রোববার (২৩ মার্চ) এক রানা ফ্লাওয়ার্সের এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে ইউনিসেফ। এতে শিশু, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্সও ‘ধর্ষণে’র ঘটনাকে ‘ধর্ষণ’ বলেই সম্বোধন করার ওপর জোর দিয়েছেন।
শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নির্ধারিত সময়ের মধ্য বিচারকাজ শেষ করাসহ গণমাধ্যমের প্রতিও চটকদার প্রতিবেদন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। শিশু ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো আপস চলবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্সের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব পরিসংখ্যান কেবল নিছক সংখ্যা নয়; এরা বিপন্ন জীবনের কথা বলে, নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে যাওয়া শিশুরা যে বিরাট মানসিক অভিঘাতের শিকার হয় তার কথা বলে। বাংলাদেশে শিশুরা, বিশেষ করে কন্যাশিশুরা কীভাবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে, তা মাগুরার আট বছরের শিশুটির মর্মান্ততিক মৃত্যু আমাদের ভয়ংকরভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশে অপরাধীরা মূলতই ভুক্তভোগীদের পরিচিত মানুষ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবার ও কমিউনিটিগুলো তাদের বয়ে বেড়ানো অকল্পনীয় কষ্টের অভিজ্ঞতা ইউনিসেফের সঙ্গে শেয়ার করেছে। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঘরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাদের কাছে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা সুরক্ষিত থাকে বলে সবাই আস্থা রাখে, সেই সব মানুষের হাতে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনা সবার মনে গভীর দাগ কেটেছে, নানা প্রশ্নেরও জন্ম দিচ্ছে।
ইউনিসেফের হিসাবে, বিশ্বে বর্তমানে জীবিত প্রতি আট নারী ও শিশুর মধ্যে একজন বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এই সংকটকালে সরকার অপরাধীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিসেফ।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধকে এর যথাযথ নাম ‘ধর্ষণ’ বলে সম্বোধন করার ওপর জোর দিচ্ছি। নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘শূন্য সহিষ্ণুতার’ (জিরো টলারেন্স) নীতির প্রতি অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে ইউনিসেফ। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট অপসারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রচেষ্টারও প্রশংসা করছি আমরা।
এসব পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, এগুলোকে শিশুদের ওপর সহিংসতার মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবাইকে অংশ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও সব অংশীদারদের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে বিনিয়োগ ও সেগুলো জোরদারে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জোরালো তদন্ত, প্রসিকিউশন ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর ওপর সহিংসতার সব ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একটি বিশেষায়িত শিশু সুরক্ষা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, এই ইউনিটের সদস্যদের মানসিক আঘাতপ্রাপ্তদের বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার প্রশিক্ষণ ও ভুক্তভোগীর প্রতি সংবেদনশীল মনোভাব নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই স্বাধীন ও জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে হবে, যেন সময়মতো বিচার নিশ্চিত হয়।
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করার জন্য সরকারের যে লক্ষ্য, তার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন রানা ফ্লাওয়ার্স। শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ সমাজ গঠনে সংবাদমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ইউনিসেফ প্রতিনিধি বলেন, গণমাধ্যমক কর্তৃপক্ষকে নৈতিকতাসম্পন্ন শিশু সুরক্ষার নীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, যেন তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে শিশুর মর্যাদা ও কল্যাণ সংরক্ষণ করা যায়। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্যাতনের শিকার শিশু ও ভুক্তভোগীদের পরিচয়, গোপনীয়তা ও মর্যাদা সুরক্ষিত রেখে দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোকে খবরকে ‘চটকদার’ করে অহেতুক উত্তেজনা তৈরি পরিহার করা এবং ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার ও কমিউনিটির আরও ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ এড়িয়ে চলার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
শিশুদের নিরাপত্তায় ঘাটতি শিশুবিবাহ ও শিশুর ওপর অন্যান্য ধরনের সহিংসতা টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে উল্লেখ করে ইউনিসেফ বলছে, প্রতিটি শিশুর একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। এটি ঘর বা জনসমাগমস্থলসহ সব জায়গার জন্য প্রযোজ্য। বিশেষ করে তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে সহিংসতার শিকার শিশু কোনোভাবেই যেন আর মানসিক আঘাতের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিশু সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে ইউনিসেফ প্রস্তুত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি রান্না ফ্লাওয়ার্স।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ পর্যন্ত আড়াই মাসে দেশে অন্তত ৫০টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক মসংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, এর মধ্যে গত ১০ মার্চ একদিনেই সাত শিশু নিহত হয়েছে, ছয় শিশুর সঙ্গে সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধর্ষণ ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার প্রবণতা দিন দিন আরও ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে শিশুদের ওপর, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার খবর উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমি গভীরভাবে আতঙ্কিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো যেসব জায়গায় শিশুদের সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে ওঠার কথা, সেসব জায়গাসহ অন্যান্য স্থানে শিশু ধর্ষণ ও শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার ভয়ানক ঘটনাগুলো সম্প্রতি যেভাবে বেড়েছে, তা নিয়ে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
রোববার (২৩ মার্চ) এক রানা ফ্লাওয়ার্সের এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে ইউনিসেফ। এতে শিশু, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের ওপর যৌন সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্সও ‘ধর্ষণে’র ঘটনাকে ‘ধর্ষণ’ বলেই সম্বোধন করার ওপর জোর দিয়েছেন।
শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় সরকারের পদক্ষেপ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নির্ধারিত সময়ের মধ্য বিচারকাজ শেষ করাসহ গণমাধ্যমের প্রতিও চটকদার প্রতিবেদন করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। শিশু ভুক্তভোগীদের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো আপস চলবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রানা ফ্লাওয়ার্সের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব পরিসংখ্যান কেবল নিছক সংখ্যা নয়; এরা বিপন্ন জীবনের কথা বলে, নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে যাওয়া শিশুরা যে বিরাট মানসিক অভিঘাতের শিকার হয় তার কথা বলে। বাংলাদেশে শিশুরা, বিশেষ করে কন্যাশিশুরা কীভাবে তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে, তা মাগুরার আট বছরের শিশুটির মর্মান্ততিক মৃত্যু আমাদের ভয়ংকরভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশে অপরাধীরা মূলতই ভুক্তভোগীদের পরিচিত মানুষ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবার ও কমিউনিটিগুলো তাদের বয়ে বেড়ানো অকল্পনীয় কষ্টের অভিজ্ঞতা ইউনিসেফের সঙ্গে শেয়ার করেছে। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঘরে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাদের কাছে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা সুরক্ষিত থাকে বলে সবাই আস্থা রাখে, সেই সব মানুষের হাতে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনা সবার মনে গভীর দাগ কেটেছে, নানা প্রশ্নেরও জন্ম দিচ্ছে।
ইউনিসেফের হিসাবে, বিশ্বে বর্তমানে জীবিত প্রতি আট নারী ও শিশুর মধ্যে একজন বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই ধর্ষণ বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এই সংকটকালে সরকার অপরাধীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার যে নির্দেশ দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ইউনিসেফ।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধকে এর যথাযথ নাম ‘ধর্ষণ’ বলে সম্বোধন করার ওপর জোর দিচ্ছি। নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর সহিংসতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘শূন্য সহিষ্ণুতার’ (জিরো টলারেন্স) নীতির প্রতি অঙ্গীকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে ইউনিসেফ। পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ক্ষতিকর কনটেন্ট অপসারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রচেষ্টারও প্রশংসা করছি আমরা।
এসব পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, এগুলোকে শিশুদের ওপর সহিংসতার মূল কারণগুলো মোকাবিলায় সবাইকে অংশ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও সব অংশীদারদের শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলোতে বিনিয়োগ ও সেগুলো জোরদারে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জোরালো তদন্ত, প্রসিকিউশন ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর ওপর সহিংসতার সব ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একটি বিশেষায়িত শিশু সুরক্ষা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য জানিয়ে ইউনিসেফ বলছে, এই ইউনিটের সদস্যদের মানসিক আঘাতপ্রাপ্তদের বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার প্রশিক্ষণ ও ভুক্তভোগীর প্রতি সংবেদনশীল মনোভাব নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই স্বাধীন ও জেন্ডার-সংবেদনশীল প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে হবে, যেন সময়মতো বিচার নিশ্চিত হয়।
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করার জন্য সরকারের যে লক্ষ্য, তার জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন রানা ফ্লাওয়ার্স। শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ সমাজ গঠনে সংবাদমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ইউনিসেফ প্রতিনিধি বলেন, গণমাধ্যমক কর্তৃপক্ষকে নৈতিকতাসম্পন্ন শিশু সুরক্ষার নীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, যেন তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে শিশুর মর্যাদা ও কল্যাণ সংরক্ষণ করা যায়। একইসঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্যাতনের শিকার শিশু ও ভুক্তভোগীদের পরিচয়, গোপনীয়তা ও মর্যাদা সুরক্ষিত রেখে দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমগুলোকে খবরকে ‘চটকদার’ করে অহেতুক উত্তেজনা তৈরি পরিহার করা এবং ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার ও কমিউনিটির আরও ক্ষতি হতে পারে এমন কাজ এড়িয়ে চলার নীতি অবলম্বন করতে হবে।
শিশুদের নিরাপত্তায় ঘাটতি শিশুবিবাহ ও শিশুর ওপর অন্যান্য ধরনের সহিংসতা টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে উল্লেখ করে ইউনিসেফ বলছে, প্রতিটি শিশুর একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। এটি ঘর বা জনসমাগমস্থলসহ সব জায়গার জন্য প্রযোজ্য। বিশেষ করে তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে সহিংসতার শিকার শিশু কোনোভাবেই যেন আর মানসিক আঘাতের শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিশু সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে ইউনিসেফ প্রস্তুত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি রান্না ফ্লাওয়ার্স।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
৮ ঘণ্টা আগেসাদিক কায়েম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ডাকসু নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ডুজা সাহসী ভূমিকা রেখেছে। আগামী দিনেও ডাকসুকে শিক্ষার্থীদের সত্যিকারের প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে সাংবাদিক সমিতির সহযোগিতা অপরিহার্য।
১৯ ঘণ্টা আগে