প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
গত কয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে চলে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।
তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না, কোথায় আছেন, তাও কেউ বলতে পারছে না। বিপুল সম্পদেরভয়ে তিনি আত্মগোপনে করেছেন বলে এলাকায় আলোচনা হচ্ছে। সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক এত সম্পদের মালিক হতে পারেন কিনা-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঈদের দুই দিন আগে সর্বশেষ অফিস করেছেন লাকী। ঈদের ছুটি শেষ হলেও উপজেলা কার্যালয়ে যাননি তিনি।
গত রোববার সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় লাকী অংশ নেননি।
রায়পুরার ইউএনও ইকবাল হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণের ১২ লাখ টাকা দিয়ে কোরবানির ছাগল কেনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন ওই তরুণের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান। যদিও রিফাত মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে।
রোববার মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
স্বামীর সূত্রে এবার আলোচনায় এসেছেন লায়লা কানিজ লাকী, যিনি ছিলেন রাজধানীর তিতুমির সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক। আয়কর বিবরণী অনুযায়ী লাকীবছরে মাত্র ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পেনশন পান। অথচ নির্বাচনী হলফনামা ও আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তিনি বিপুল ধন-সম্পদের মালিক।
রায়পুরা উপজেলার মরজালে নিজ এলাকায় প্রায় দেড় একর জমিতে ‘ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট’ নামে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। যদিও তিনি তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি যেতিনি ওয়ান্ডার পার্ক এবং ইকো রিসোর্টের অন্যতম মালিক।
ইকো রিসোর্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, লাকির দুই সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান ও ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ইকো রিসোর্টের সহ-মালিক।
২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক মারা গেলে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন লাকী এবং সংসদ সদস্যের রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর প্রভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির তিনি দুর্যোগ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। নরসিংদীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি। তাকে জোর করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের অনেকেই এখন কোনঠাসা।
শিক্ষক থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া লাকীর নামে প্রচুর সম্পদ রয়েছে। মতিউরের বেশিরভাগ সম্পত্তি তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে। তাঁর নামে প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে; এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরে একটি ভবনেই রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট।
মরজাল বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরে মতিউর-লাকী দম্পতির রয়েছে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি। সেখানে দেশি-বিদেশি গাছের সারি, সবুজ ঘাসের আঙিনা। পেছনে রয়েছে সানবাঁধানো ঘাট ও লেক।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লাকীর জমা রয়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তার কৃষিজমির পরিমান ১৫৪ শতাংশ, তার অকৃষিজমির মধ্যে রয়েছে রাজউকের পাঁচ কাঠা ও সাভারে সাড়ে ৮ কাঠা জমি।
গাজীপুর সদর, পুবাইল, খিলগাঁও, বাহাদুরপুর, মেঘদুবী ও ধোপাপাড়ায় মোট প্রায় ৯০ শতাংশ জমি রয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরায় ৩৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ, রায়পুরার মরজালে ১৩৩ শতাংশ, সোয়া ৫ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ, শিবপুরে ২৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, শিবপুরের যোশরে সাড়ে ৪৪ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় ১ একর ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে।
লাকীর বাৎসরিক আয় কৃষিখাত থেকে ১৮ লাখ, বাড়িসহ অন্যান্য ভাড়া ৯ লাখ ৯০ হাজার, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে আয় ৩ লাখ ৮২ হাজার, উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী বাবদ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৫, ব্যাংক সুদ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯টাকা।
এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। সোনাগাজীতে শ্বশুরের ভিটায় শাশুড়িকে একটিডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়ে দেন মতিউর রহমান।
ছেলের ছাগল–কাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আলোচনা এখন মতিউর রহমানের সম্পদের দিকে গড়িয়েছে। তাঁর কত সম্পদ রয়েছে, সেটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নরসিংদীতে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখছেন।
এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তাঁর বিপুল বিনিয়োগের খবরও বের হয়েছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হলেও শেয়ারবাজারে বড় ব্যবসায়ী হলেন কীভাবে-সেই প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুঁজিবাজারের বাইরে পরিবার ও পরিচিতজনদের নামে কয়েকটি কোম্পানিতে মতিউর রহমান বিনিয়োগ করেছেন।
মতিউরের নামে সাভারে ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ (দশমিক ৩৮ বিঘা), গাজীপুর সদরেরখিলগাঁও মৌজায় ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ (দেড় বিঘা) জমি রয়েছে। তার নামে গাজীপুরে একটিরিসোর্ট রয়েছে। ‘আপন ভুবন’ নামের ওই পিকনিক অ্যান্ড শুটিং স্পট ও রিসোর্ট গাজীপুর মহানগরীর খিলগাঁও এলাকায়।
এনবিআর কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত তাঁর দুই স্ত্রী, সন্তান, ভাই–বোনসহ নিকটজনদের নামে ছয় জেলায় জমি, ফ্ল্যাট, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্টসহ নানা সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
আলোচিত এই কর্মকর্তা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা এখন পর্যন্ত ৬৫ বিঘা জমি, ৮টি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট এবং দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দুদক কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এদিকে ছাগলকে কেন্দ্র করে ভাইরাল হওয়ার পর ইফাতের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপনের নানা বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারি চাকরজীবী বাবার বেতনের টাকা দিয়ে ছেলে কীভাবে এমন ব্যয়বহুল জীবনযাপন করতে পারে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।
যদিও আত্মগোপনে চলে গেছেন ইফাত, তাকেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গত কয়েকদিন ধরে আত্মগোপনে চলে গেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী।
তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না, কোথায় আছেন, তাও কেউ বলতে পারছে না। বিপুল সম্পদেরভয়ে তিনি আত্মগোপনে করেছেন বলে এলাকায় আলোচনা হচ্ছে। সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক এত সম্পদের মালিক হতে পারেন কিনা-তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঈদের দুই দিন আগে সর্বশেষ অফিস করেছেন লাকী। ঈদের ছুটি শেষ হলেও উপজেলা কার্যালয়ে যাননি তিনি।
গত রোববার সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় লাকী অংশ নেননি।
রায়পুরার ইউএনও ইকবাল হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণের ১২ লাখ টাকা দিয়ে কোরবানির ছাগল কেনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন ওই তরুণের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান। যদিও রিফাত মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে।
রোববার মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।
স্বামীর সূত্রে এবার আলোচনায় এসেছেন লায়লা কানিজ লাকী, যিনি ছিলেন রাজধানীর তিতুমির সরকারি কলেজের বাংলার সহযোগী অধ্যাপক। আয়কর বিবরণী অনুযায়ী লাকীবছরে মাত্র ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পেনশন পান। অথচ নির্বাচনী হলফনামা ও আয়কর বিবরণী অনুযায়ী তিনি বিপুল ধন-সম্পদের মালিক।
রায়পুরা উপজেলার মরজালে নিজ এলাকায় প্রায় দেড় একর জমিতে ‘ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট’ নামে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। যদিও তিনি তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি যেতিনি ওয়ান্ডার পার্ক এবং ইকো রিসোর্টের অন্যতম মালিক।
ইকো রিসোর্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, লাকির দুই সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান ও ফারজানা রহমান ইপ্সিতা ইকো রিসোর্টের সহ-মালিক।
২০২৩ সালে রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাদেক মারা গেলে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হন লাকী এবং সংসদ সদস্যের রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর প্রভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির তিনি দুর্যোগ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। নরসিংদীর সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নও চেয়েছিলেন তিনি। তাকে জোর করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের অনেকেই এখন কোনঠাসা।
শিক্ষক থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া লাকীর নামে প্রচুর সম্পদ রয়েছে। মতিউরের বেশিরভাগ সম্পত্তি তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে। তাঁর নামে প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে; এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরে একটি ভবনেই রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট।
মরজাল বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার দূরে মতিউর-লাকী দম্পতির রয়েছে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি। সেখানে দেশি-বিদেশি গাছের সারি, সবুজ ঘাসের আঙিনা। পেছনে রয়েছে সানবাঁধানো ঘাট ও লেক।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লাকীর জমা রয়েছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তার কৃষিজমির পরিমান ১৫৪ শতাংশ, তার অকৃষিজমির মধ্যে রয়েছে রাজউকের পাঁচ কাঠা ও সাভারে সাড়ে ৮ কাঠা জমি।
গাজীপুর সদর, পুবাইল, খিলগাঁও, বাহাদুরপুর, মেঘদুবী ও ধোপাপাড়ায় মোট প্রায় ৯০ শতাংশ জমি রয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরায় ৩৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ, রায়পুরার মরজালে ১৩৩ শতাংশ, সোয়া ৫ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ, শিবপুরে ২৭ শতাংশ ও ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, শিবপুরের যোশরে সাড়ে ৪৪ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় ১ একর ৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে।
লাকীর বাৎসরিক আয় কৃষিখাত থেকে ১৮ লাখ, বাড়িসহ অন্যান্য ভাড়া ৯ লাখ ৯০ হাজার, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে আয় ৩ লাখ ৮২ হাজার, উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী বাবদ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৫, ব্যাংক সুদ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯টাকা।
এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। সোনাগাজীতে শ্বশুরের ভিটায় শাশুড়িকে একটিডুপ্লেক্স বাড়ি বানিয়ে দেন মতিউর রহমান।
ছেলের ছাগল–কাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া আলোচনা এখন মতিউর রহমানের সম্পদের দিকে গড়িয়েছে। তাঁর কত সম্পদ রয়েছে, সেটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নরসিংদীতে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে লিখছেন।
এর মধ্যে শেয়ারবাজারে তাঁর বিপুল বিনিয়োগের খবরও বের হয়েছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হলেও শেয়ারবাজারে বড় ব্যবসায়ী হলেন কীভাবে-সেই প্রশ্ন উঠছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুঁজিবাজারের বাইরে পরিবার ও পরিচিতজনদের নামে কয়েকটি কোম্পানিতে মতিউর রহমান বিনিয়োগ করেছেন।
মতিউরের নামে সাভারে ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ (দশমিক ৩৮ বিঘা), গাজীপুর সদরেরখিলগাঁও মৌজায় ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ (দেড় বিঘা) জমি রয়েছে। তার নামে গাজীপুরে একটিরিসোর্ট রয়েছে। ‘আপন ভুবন’ নামের ওই পিকনিক অ্যান্ড শুটিং স্পট ও রিসোর্ট গাজীপুর মহানগরীর খিলগাঁও এলাকায়।
এনবিআর কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত তাঁর দুই স্ত্রী, সন্তান, ভাই–বোনসহ নিকটজনদের নামে ছয় জেলায় জমি, ফ্ল্যাট, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্টসহ নানা সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে।
আলোচিত এই কর্মকর্তা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা এখন পর্যন্ত ৬৫ বিঘা জমি, ৮টি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট এবং দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দুদক কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এদিকে ছাগলকে কেন্দ্র করে ভাইরাল হওয়ার পর ইফাতের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপনের নানা বিবরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। সরকারি চাকরজীবী বাবার বেতনের টাকা দিয়ে ছেলে কীভাবে এমন ব্যয়বহুল জীবনযাপন করতে পারে, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।
যদিও আত্মগোপনে চলে গেছেন ইফাত, তাকেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটার পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। সব ধর্ম মিলে যেন একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারি প্রতিনিধি দলের অংশ সফরসঙ্গী হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র
১৩ ঘণ্টা আগে