প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সরকার বলেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর একে একে পেরিয়ে গেছে ১৩টি বছর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার সময় নিয়েছে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। কিন্তু ১১৫ বার সময় নিয়েও সেই প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ফের সাগর-রুনি মামলাটি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটির প্রধানকে নিয়ে গত অক্টোবরে চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়। ওই সময় মামলাটির তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী পিবিআই মামলাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পিবিআই আশা করছে, তারা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। আজ সেই হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।
১৩ বছরে মামলার তদন্ত শেষ না হলেও এখনো বিচারের আশা ছাড়েনি সাগর-রুনির পরিবার। পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ায় তারা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। সাগরের মা সালেহা মনির জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে সন্তানের খুনিদের বিচার দেখে যেতে চান। রুনির ভাই নওশের রোমানও জানিয়েছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন, বোনের বিচারের দাবি জানিয়েই যাবেন।
শুরুতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল পুলিশ। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করেছে। তাদের পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তে যুক্ত হয় র্যাব। এই তিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনোটিই তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। সবশেষ গত বছর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই।
সবশেষ গত ২৭ জানুয়ারি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। ওই দিনও পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ফলে ১১৫তম বারের মতো মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে যায়। ওই দিন আরও একবার প্রতিবেদন দাখিলের সময় চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ২ মার্চ নির্ধারণ করেছেন।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আলোচিত এ মামলাটি নানা দিক থেকে স্পর্শকাতর। ফলে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। তদন্ত করে আমরা যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করব।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই এরই মধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিক, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই মামলায় কারাগারে থাকা পাঁচজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই আগের নথিপত্র বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মামলার বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুনিকে পেছন থেকে ডান হাত দিয়ে পেটের ডান পাশে কোপ দেওয়া হয়েছে। তার পরনের টি-শার্টে ওই ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। সাগরের হাত-পা যে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল, সেখানে আরেকজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। পিবিআই ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ মিলিয়ে সন্দেহভাজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে।
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান আলোচিত এ হত্যা মামলার বাদী। তার সঙ্গেও পিবিআই কথা বলেছে। নওশের বলেন, ১৩ বছর ধরে মামলাটি চলছে। আগে কোনো বাহিনীই মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। এখন পিবিআই তদন্ত করছে। দেখা যাক তারা কী করে। তবে আমরা বিচারের আশা ছাড়ছি না। যতদিন বেঁচে থাকব, বিচারের দাবি করেই যাব।
এদিকে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বার্তা দিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘সাগর-রুনি হিউম্যান রাইটস ফটো অ্যাওয়ার্ড’ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে সাগর-রুনি ফাউন্ডেশন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আজ হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্তির দিনে প্রদর্শনী দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা চৌধুরীর।
নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সরকার বলেছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর একে একে পেরিয়ে গেছে ১৩টি বছর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বারবার সময় নিয়েছে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। কিন্তু ১১৫ বার সময় নিয়েও সেই প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ফের সাগর-রুনি মামলাটি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের ভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সংস্থাটির প্রধানকে নিয়ে গত অক্টোবরে চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়। ওই সময় মামলাটির তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী পিবিআই মামলাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পিবিআই আশা করছে, তারা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। আজ সেই হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।
১৩ বছরে মামলার তদন্ত শেষ না হলেও এখনো বিচারের আশা ছাড়েনি সাগর-রুনির পরিবার। পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ায় তারা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। সাগরের মা সালেহা মনির জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে সন্তানের খুনিদের বিচার দেখে যেতে চান। রুনির ভাই নওশের রোমানও জানিয়েছেন, যতদিন বেঁচে থাকবেন, বোনের বিচারের দাবি জানিয়েই যাবেন।
শুরুতে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছিল পুলিশ। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করেছে। তাদের পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তে যুক্ত হয় র্যাব। এই তিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনোটিই তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। সবশেষ গত বছর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই।
সবশেষ গত ২৭ জানুয়ারি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত ছিল। ওই দিনও পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। ফলে ১১৫তম বারের মতো মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়ে যায়। ওই দিন আরও একবার প্রতিবেদন দাখিলের সময় চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী তারিখ ২ মার্চ নির্ধারণ করেছেন।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আলোচিত এ মামলাটি নানা দিক থেকে স্পর্শকাতর। ফলে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। তদন্ত করে আমরা যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করব।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই এরই মধ্যে বিভিন্ন সাংবাদিক, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই মামলায় কারাগারে থাকা পাঁচজনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই আগের নথিপত্র বিশ্লেষণ ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মামলার বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুনিকে পেছন থেকে ডান হাত দিয়ে পেটের ডান পাশে কোপ দেওয়া হয়েছে। তার পরনের টি-শার্টে ওই ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। সাগরের হাত-পা যে ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল, সেখানে আরেকজনের ডিএনএ পাওয়া গেছে। পিবিআই ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ মিলিয়ে সন্দেহভাজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে।
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান আলোচিত এ হত্যা মামলার বাদী। তার সঙ্গেও পিবিআই কথা বলেছে। নওশের বলেন, ১৩ বছর ধরে মামলাটি চলছে। আগে কোনো বাহিনীই মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। এখন পিবিআই তদন্ত করছে। দেখা যাক তারা কী করে। তবে আমরা বিচারের আশা ছাড়ছি না। যতদিন বেঁচে থাকব, বিচারের দাবি করেই যাব।
এদিকে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বার্তা দিতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘সাগর-রুনি হিউম্যান রাইটস ফটো অ্যাওয়ার্ড’ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে সাগর-রুনি ফাউন্ডেশন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আজ হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পূর্তির দিনে প্রদর্শনী দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা চৌধুরীর।