
সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়ার ৪২ বছরের প্রশাসনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন একজন নারী— ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা রিফাত আসমা। ১৯৮৩ সালে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কোনো নারী এই পদে আসীন হতে যাচ্ছেন, যা উখিয়ার প্রশাসনিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রিদুয়ানুর ইসলাম স্বাক্ষরে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে রিফাত আসমাসহ তিনজন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে উখিয়ার বর্তমান ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরীকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী অবস্থান, বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা শিবির, আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, মানবিক সহায়তার ঘাটতি, আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক ও মানবপাচার, জলবায়ু ঝুঁকি— এসব কারণে উখিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম কঠিন প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাসের কারণে নিরাপত্তা, সেবা ব্যবস্থাপনা, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ইউএনও’র জন্য প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের সমস্যা, উন্নয়ন প্রকল্প, বন ও পরিবেশ রক্ষা, রাজনৈতিক চাপ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও পরিচালনার জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে উখিয়ায় একজন নারী ইউএনও’র আগমনকে অনেকেই নারী নেতৃত্বের অগ্রযাত্রা ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। চট্টগ্রামের লালখান বাজারের বাসিন্দা রিফাত আসমা উখিয়ার মতো আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত, রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এলাকায় দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রশাসনে লিঙ্গ সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, তার অভিজ্ঞতা, কঠোর পরিশ্রম, নেতৃত্ব এবং দায়িত্ববোধ উখিয়ার প্রশাসনে নতুন গতি আনবে।
তবে অনেকেই মনে করছেন, রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জটিল প্রশাসনিক বাস্তবতা তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি কি এই চ্যালেঞ্জ জয় করে জনবান্ধব সফল প্রশাসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, নাকি উখিয়ার কঠিন বাস্তবতা তার পদচারণাকে ঝুঁকিপূর্ণ করবে— তা সময়ই বলে দেবে। তবুও উখিয়াবাসী নতুন আশা নিয়ে তাকে স্বাগত জানাচ্ছে, বিশ্বাস করছে একজন দক্ষ নারী কর্মকর্তার নেতৃত্ব উখিয়ার প্রশাসনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্রসঙ্গত, রিফাত আসমা বর্তমানে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ তিনি সেখানে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বরকল উপজেলার ইউএনও’র অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
২০১৭ সালের ২ মে পাবনা জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা এবং কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার ৪২ বছরের প্রশাসনিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন একজন নারী— ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা রিফাত আসমা। ১৯৮৩ সালে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম কোনো নারী এই পদে আসীন হতে যাচ্ছেন, যা উখিয়ার প্রশাসনিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ রিদুয়ানুর ইসলাম স্বাক্ষরে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে রিফাত আসমাসহ তিনজন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন উপজেলায় ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে উখিয়ার বর্তমান ইউএনও মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরীকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী অবস্থান, বিশ্বের বৃহত্তম রোহিঙ্গা শিবির, আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম, মানবিক সহায়তার ঘাটতি, আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক ও মানবপাচার, জলবায়ু ঝুঁকি— এসব কারণে উখিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম কঠিন প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাসের কারণে নিরাপত্তা, সেবা ব্যবস্থাপনা, সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ইউএনও’র জন্য প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের সমস্যা, উন্নয়ন প্রকল্প, বন ও পরিবেশ রক্ষা, রাজনৈতিক চাপ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও পরিচালনার জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে উখিয়ায় একজন নারী ইউএনও’র আগমনকে অনেকেই নারী নেতৃত্বের অগ্রযাত্রা ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। চট্টগ্রামের লালখান বাজারের বাসিন্দা রিফাত আসমা উখিয়ার মতো আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত, রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এলাকায় দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রশাসনে লিঙ্গ সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, তার অভিজ্ঞতা, কঠোর পরিশ্রম, নেতৃত্ব এবং দায়িত্ববোধ উখিয়ার প্রশাসনে নতুন গতি আনবে।
তবে অনেকেই মনে করছেন, রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জটিল প্রশাসনিক বাস্তবতা তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি কি এই চ্যালেঞ্জ জয় করে জনবান্ধব সফল প্রশাসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, নাকি উখিয়ার কঠিন বাস্তবতা তার পদচারণাকে ঝুঁকিপূর্ণ করবে— তা সময়ই বলে দেবে। তবুও উখিয়াবাসী নতুন আশা নিয়ে তাকে স্বাগত জানাচ্ছে, বিশ্বাস করছে একজন দক্ষ নারী কর্মকর্তার নেতৃত্ব উখিয়ার প্রশাসনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্রসঙ্গত, রিফাত আসমা বর্তমানে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ তিনি সেখানে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বরকল উপজেলার ইউএনও’র অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করছেন তিনি।
২০১৭ সালের ২ মে পাবনা জেলা প্রশাসনে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে তিনি চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা এবং কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ইসি সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশনা ও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আসনসীমা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে আসন বিন্যাস আরো যৌক্তিক ও সুনির্দিষ্ট হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
একই সঙ্গে নির্বাচনী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের যাচাইকরণ তালিকা হালনাগাদ, এভিএমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য সংযোজন, নির্বাচনী মহড়া এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে চলমান রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফেরার পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে
বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
৫ ঘণ্টা আগে