চিররঞ্জন সরকার
সরদার স্যারকে প্রথম দেখি ক্লাসে, ১৯৮৯ সালে; যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলাম। স্যারকে দেখে ভীষণ হতাশ হয়েছিলাম। তার আগে স্যারের নাম শুনে, লেখা পড়ে ভেবেছিলাম, মানুষটি নিশ্চয়ই বিশাল লম্বা-চওড়া-সুদর্শন হবেন!
কিন্তু এ কী! ছোটোখাটো একজন মানুষ। চোয়াল ভাঙা। মোটা ফ্রেমের চশমা পরেন। কোটরাগত চোখ। আস্তে আস্তে ভেবে কথা বলেন। বলেন যত, বিরতি দেন তার চেয়ে বেশি। ভাবেন আরো বেশি। আপাদমস্তক একজন ভাবুক কিসিমের মানুষ। এই মানুষই দর্শনকোষ লিখেছেন! অবিশ্বাস্য লাগছিল।
সরদার স্যার আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাস পড়াতেন। সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো। স্যার এমনভাবে তাদের চিন্তা-ভাবনা-তত্ত্ব-দর্শনের কথা বলতেন যেন, ওই সব চিন্তাবিদ সকলে স্যারের পরিবারের সদস্য। স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা ওসব কথা বলেছেন বা লিখেছেন। থেমে থেমে ভেবে ভেবে নিচুস্বরে কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ় উচ্চারণে স্যার কথা বলতেন। নিজেই হারিয়ে যেতেন সেই সব মহান চিন্তাবিদের চিন্তার দিগন্তে। আমরা তারুণ্যের বেপরোয়া অস্থিরতা নিয়েও মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্যারের কথা শুনতাম। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি কতদিন। অথচ সরদার স্যারের ক্লাসের সেই কথাগুলো এখনো স্মৃতির পর্দায় অমলিন জেগে আছে।
স্যারের প্রতিটি কথা ছিল লিখে রাখবার মতো। ভাবনার খোরাক। তিনি আমাদের সব সময় বলতেন, ভাব, চিন্তা কর, অনুসন্ধান করে। খোঁজ। কোনো প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিতেন না। তাঁর সব কথা ছিল দার্শনিকতা বা চিন্তার ছাপযুক্ত। বলতেন সবই, কিন্তু গতানুগতিকভাবে নয়, একটু ঘুরিয়ে, দৃষ্টান্তসহ।
সরদার স্যার বলতেন, মনে রেখ, চিন্তা ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা করার কথা চিন্তাও করা যায় না। কাজেই তোমরা প্রশ্ন কর, উত্তর খোঁজ, চিন্তা কর। এই যে আমি সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো পড়াই— উনারা কী বলেছেন? উনারা প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। আর এ জন্য চিন্তা করেছেন।
একদিন স্যার ক্লাসে প্রশ্ন করেছিলেন, বল তো, মানুষ মরণশীল না অমরণশীল? আমরা একযোগে জবাব দিয়েছিলাম, মানুষ মরণশীল! স্যার খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলেন। তারপর মাথা নেড়ে বললেন, না, মানুষ অমরণশীল! রাম মরণশীল, শ্যাম মরণশীল, যদু মরণশীল, মধু মরণশীল, সরদার মরণশীল। কিন্তু মানুষ অমরণশীল। মনুষ্যত্ব, চিন্তা, বুদ্ধির সমাহার হলো মানুষ। মানুষ-সত্তার কখনো মরণ হয় না। ব্যক্তি মরে, মানুষ মরে না। সামষ্টিক মানুষের মরণ হয় না। যদ্দিন পৃথিবী নামক গ্রহ থাকবে, তদ্দিন মানুষ থাকবে। মানুষ অমরণশীল! বলতে দ্বিধা নেই সেদিন প্রথম মানবসত্তাকে এমনভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছিলাম, আর তা শিখিয়েছিলেন সরদার স্যার!
স্যার কখনো ক্লাস ফাঁকি দেননি। কোনোদিন দেরি করে আসেননি বরং দেখেছি সময়ের আগেই তিনি ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন। করিডোরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন, কখন অন্য স্যার ক্লাসরুম খালি করে দেবেন। একদিন স্যার ক্লাসে বলছিলেন, ‘আমার বত্রিশ বছর শিক্ষকতা জীবনে মাত্র একজন ছাত্রকে দেখেছি, যে কখনো দেরি করেনি, পড়া ফাঁকি দেয়নি, ক্লাস ফাঁকি দেয়নি সেই ছাত্রটি হচ্ছে’ বলে একটু থামলেন। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম, স্যার কোন সে সৌভাগ্যবানের নাম বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজের নামটি শোনার জন্যও ব্যস্ত হচ্ছিল, কিন্তু স্যার আমাদের সবাইকে হতাশ করে উদাস কিন্তু দৃঢ় ভঙ্গিতে বললেন, ‘সেই ছাত্রটির নাম হচ্ছে সরদার ফজলুল করিম!’
এমন কথা এভাবে সরদার স্যার ছাড়া আর কে বলতে পারতেন?
স্যার বলতেন, ‘‘সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এগুলো হয়তো ইউটোপিয়া। তবে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা অর্জনের জন্য যে সংগ্রাম এবং আকাঙ্ক্ষা তাই সমাজতন্ত্র। গণতন্ত্রও তাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বা অর্জনের জন্য যে আকাঙ্ক্ষা বা লড়াই তাই গণতন্ত্র। প্রকৃত গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র হয়তো ডুমুরের ফুল।’’
ছাত্রজীবনে সরদার স্যার ছিলেন তুখোড় মেধাবী। কর্মজীবনে ঢুকেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায়। পার্টির নির্দেশে চাকরি ছেড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিলেন, ধরা পড়ে জেল খেটেছেন। পুরো পাকিস্তান আমলটাই তাঁর জেলজীবন। জেল থেকে জেলে গিয়ে ভেঙে পড়েননি, মনোবল হারাননি, পাঠ থেকে বিচ্যুত হননি। চিন্তা করা, অভিজ্ঞতা অর্জন করা আর তা লিখে প্রকাশ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা তিনি অনুভব করেছেন। জীবনসংগ্রামকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলেছিলেন সরদার স্যার। জীবনে তুচ্ছ চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষেননি কখনো।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা একাডেমিতে। বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষরূপে তিনি দায়িত্ব পালন (১৯৬০-১৯৭১) করেছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। সে সঙ্গে লিখেছেন ‘দর্শন কোষ’, ‘নানা কথার পরের কথা’, ‘নানা কথা’, ‘রুমির আম্মা’, ‘গল্পে গল্প চল্লিশের দশকের ঢাকা’, ‘যুক্তিবিদ্যা’, ‘সেই সে কাল’, ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’, ‘আমাদের সাহিত্য’, ‘নূহের কিশতি’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পূর্ববঙ্গীয় সমাজ’। অসামান্য সৃজনশীলতায় অনুবাদ করেছেন ‘প্লেটোর সংলাপ;, এঙ্গেলসের ‘অ্যান্টি ড্যুরিং’, প্লেটোর ‘রিপাবলিক’, রুশোর ‘সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’সহ নানা গ্রন্থ।
নিরন্তর প্রশ্ন করা, সরলভাবে সুগভীর প্রশ্নোত্তর দিয়ে দার্শনিক জিজ্ঞাসা চরিতার্থ করেছেন এবং তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে পেরেছিলেন। ‘জীবন জয়ী হবে’ গ্রন্থে পাওয়া যায় তাঁর জীবন সংগ্রামের ইতিকথা।
১৯২৫ সালের ১ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই মহান শিক্ষক, দার্শনিক, বিপ্লবী সরদার ফজলুল করিম। জন্মদিনে জানাই তাঁর প্রতি অনিঃশেষ শ্রদ্ধা! [লেখকের ফেসবুক থেকে]
সরদার স্যারকে প্রথম দেখি ক্লাসে, ১৯৮৯ সালে; যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলাম। স্যারকে দেখে ভীষণ হতাশ হয়েছিলাম। তার আগে স্যারের নাম শুনে, লেখা পড়ে ভেবেছিলাম, মানুষটি নিশ্চয়ই বিশাল লম্বা-চওড়া-সুদর্শন হবেন!
কিন্তু এ কী! ছোটোখাটো একজন মানুষ। চোয়াল ভাঙা। মোটা ফ্রেমের চশমা পরেন। কোটরাগত চোখ। আস্তে আস্তে ভেবে কথা বলেন। বলেন যত, বিরতি দেন তার চেয়ে বেশি। ভাবেন আরো বেশি। আপাদমস্তক একজন ভাবুক কিসিমের মানুষ। এই মানুষই দর্শনকোষ লিখেছেন! অবিশ্বাস্য লাগছিল।
সরদার স্যার আমাদের রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাস পড়াতেন। সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো। স্যার এমনভাবে তাদের চিন্তা-ভাবনা-তত্ত্ব-দর্শনের কথা বলতেন যেন, ওই সব চিন্তাবিদ সকলে স্যারের পরিবারের সদস্য। স্যারের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা ওসব কথা বলেছেন বা লিখেছেন। থেমে থেমে ভেবে ভেবে নিচুস্বরে কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ় উচ্চারণে স্যার কথা বলতেন। নিজেই হারিয়ে যেতেন সেই সব মহান চিন্তাবিদের চিন্তার দিগন্তে। আমরা তারুণ্যের বেপরোয়া অস্থিরতা নিয়েও মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্যারের কথা শুনতাম। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি কতদিন। অথচ সরদার স্যারের ক্লাসের সেই কথাগুলো এখনো স্মৃতির পর্দায় অমলিন জেগে আছে।
স্যারের প্রতিটি কথা ছিল লিখে রাখবার মতো। ভাবনার খোরাক। তিনি আমাদের সব সময় বলতেন, ভাব, চিন্তা কর, অনুসন্ধান করে। খোঁজ। কোনো প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিতেন না। তাঁর সব কথা ছিল দার্শনিকতা বা চিন্তার ছাপযুক্ত। বলতেন সবই, কিন্তু গতানুগতিকভাবে নয়, একটু ঘুরিয়ে, দৃষ্টান্তসহ।
সরদার স্যার বলতেন, মনে রেখ, চিন্তা ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা করার কথা চিন্তাও করা যায় না। কাজেই তোমরা প্রশ্ন কর, উত্তর খোঁজ, চিন্তা কর। এই যে আমি সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল, হবস, লক, রুশো পড়াই— উনারা কী বলেছেন? উনারা প্রশ্ন করেছেন, প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। আর এ জন্য চিন্তা করেছেন।
একদিন স্যার ক্লাসে প্রশ্ন করেছিলেন, বল তো, মানুষ মরণশীল না অমরণশীল? আমরা একযোগে জবাব দিয়েছিলাম, মানুষ মরণশীল! স্যার খানিকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলেন। তারপর মাথা নেড়ে বললেন, না, মানুষ অমরণশীল! রাম মরণশীল, শ্যাম মরণশীল, যদু মরণশীল, মধু মরণশীল, সরদার মরণশীল। কিন্তু মানুষ অমরণশীল। মনুষ্যত্ব, চিন্তা, বুদ্ধির সমাহার হলো মানুষ। মানুষ-সত্তার কখনো মরণ হয় না। ব্যক্তি মরে, মানুষ মরে না। সামষ্টিক মানুষের মরণ হয় না। যদ্দিন পৃথিবী নামক গ্রহ থাকবে, তদ্দিন মানুষ থাকবে। মানুষ অমরণশীল! বলতে দ্বিধা নেই সেদিন প্রথম মানবসত্তাকে এমনভাবে উপলব্ধি করতে শিখেছিলাম, আর তা শিখিয়েছিলেন সরদার স্যার!
স্যার কখনো ক্লাস ফাঁকি দেননি। কোনোদিন দেরি করে আসেননি বরং দেখেছি সময়ের আগেই তিনি ক্লাসে উপস্থিত হয়েছেন। করিডোরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন, কখন অন্য স্যার ক্লাসরুম খালি করে দেবেন। একদিন স্যার ক্লাসে বলছিলেন, ‘আমার বত্রিশ বছর শিক্ষকতা জীবনে মাত্র একজন ছাত্রকে দেখেছি, যে কখনো দেরি করেনি, পড়া ফাঁকি দেয়নি, ক্লাস ফাঁকি দেয়নি সেই ছাত্রটি হচ্ছে’ বলে একটু থামলেন। আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম, স্যার কোন সে সৌভাগ্যবানের নাম বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজের নামটি শোনার জন্যও ব্যস্ত হচ্ছিল, কিন্তু স্যার আমাদের সবাইকে হতাশ করে উদাস কিন্তু দৃঢ় ভঙ্গিতে বললেন, ‘সেই ছাত্রটির নাম হচ্ছে সরদার ফজলুল করিম!’
এমন কথা এভাবে সরদার স্যার ছাড়া আর কে বলতে পারতেন?
স্যার বলতেন, ‘‘সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এগুলো হয়তো ইউটোপিয়া। তবে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বা অর্জনের জন্য যে সংগ্রাম এবং আকাঙ্ক্ষা তাই সমাজতন্ত্র। গণতন্ত্রও তাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বা অর্জনের জন্য যে আকাঙ্ক্ষা বা লড়াই তাই গণতন্ত্র। প্রকৃত গণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র হয়তো ডুমুরের ফুল।’’
ছাত্রজীবনে সরদার স্যার ছিলেন তুখোড় মেধাবী। কর্মজীবনে ঢুকেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায়। পার্টির নির্দেশে চাকরি ছেড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গিয়েছিলেন, ধরা পড়ে জেল খেটেছেন। পুরো পাকিস্তান আমলটাই তাঁর জেলজীবন। জেল থেকে জেলে গিয়ে ভেঙে পড়েননি, মনোবল হারাননি, পাঠ থেকে বিচ্যুত হননি। চিন্তা করা, অভিজ্ঞতা অর্জন করা আর তা লিখে প্রকাশ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা তিনি অনুভব করেছেন। জীবনসংগ্রামকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে জীবনকে উপভোগ্য করে তুলেছিলেন সরদার স্যার। জীবনে তুচ্ছ চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষেননি কখনো।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, বাংলা একাডেমিতে। বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষরূপে তিনি দায়িত্ব পালন (১৯৬০-১৯৭১) করেছিলেন। পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। সে সঙ্গে লিখেছেন ‘দর্শন কোষ’, ‘নানা কথার পরের কথা’, ‘নানা কথা’, ‘রুমির আম্মা’, ‘গল্পে গল্প চল্লিশের দশকের ঢাকা’, ‘যুক্তিবিদ্যা’, ‘সেই সে কাল’, ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’, ‘আমাদের সাহিত্য’, ‘নূহের কিশতি’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পূর্ববঙ্গীয় সমাজ’। অসামান্য সৃজনশীলতায় অনুবাদ করেছেন ‘প্লেটোর সংলাপ;, এঙ্গেলসের ‘অ্যান্টি ড্যুরিং’, প্লেটোর ‘রিপাবলিক’, রুশোর ‘সোশ্যাল কন্ট্রাক্ট’সহ নানা গ্রন্থ।
নিরন্তর প্রশ্ন করা, সরলভাবে সুগভীর প্রশ্নোত্তর দিয়ে দার্শনিক জিজ্ঞাসা চরিতার্থ করেছেন এবং তরুণদের উদ্দীপ্ত করতে পেরেছিলেন। ‘জীবন জয়ী হবে’ গ্রন্থে পাওয়া যায় তাঁর জীবন সংগ্রামের ইতিকথা।
১৯২৫ সালের ১ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই মহান শিক্ষক, দার্শনিক, বিপ্লবী সরদার ফজলুল করিম। জন্মদিনে জানাই তাঁর প্রতি অনিঃশেষ শ্রদ্ধা! [লেখকের ফেসবুক থেকে]
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে