
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে শরৎকাল যেন এক নিবিড় বন্ধনে বাঁধা। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর বর্ষার নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি শেষে যখন আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে, তখনই বাংলার মাঠ-ঘাট সেজে ওঠে এক অনন্য সৌন্দর্যে। সেই সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক হলো কাশফুল। নদীর পাড়, খালের ধারে, পতিত জমি কিংবা চরাঞ্চলে যখন একসাথে দোল খায় সাদা কাশফুল, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন নতুন করে সাজতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে—শরৎকালেই কেন কাশফুল ফোটে? অন্য ঋতুতে তো আর দেখা যায় না! এই রহস্যের ভেতরেই আছে বাংলার আবহাওয়া, মাটির ধরন, আর কাশগাছের স্বভাবের এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
কাশগাছ এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ঘাস। এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum। এ গাছ সাধারণত নদী, খাল, কিংবা বালুকাময় জমিতে খুব ভালোভাবে জন্মায়। বর্ষার সময় যখন মাটিতে প্রচুর জল জমে যায়, তখন কাশগাছের মূলগুলো মাটির ভেতরে শক্তভাবে গেঁড়ে বসে। বর্ষার অতিরিক্ত জল ও পলিমাটি তার শিকড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু বর্ষা শেষে শরৎ এলে জল ধীরে ধীরে কমে যায়, তখন কাশগাছ নিজের ফুল ফুটিয়ে দেয়ার উপযুক্ত সময় খুঁজে পায়।
শরৎকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। দিনে থাকে হালকা রোদ, আর রাতে আসে শীতলতা। এই পরিবর্তিত আবহাওয়া কাশগাছের ভেতরে হরমোনের মতো কিছু রাসায়নিক প্রক্রিয়া চালু করে, যা ফুল ফোটার সংকেত দেয়। উদ্ভিদতত্ত্বের গবেষকরা বলেন, প্রতিটি গাছেরই একটা নির্দিষ্ট "ফোটার মৌসুম" থাকে। কাশফুলের জন্য সেই মৌসুম হলো শরৎকাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ড. নওশিন আরা এই প্রসঙ্গে এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন—
“কাশগাছ আসলে দিনের দৈর্ঘ্য আর আবহাওয়ার তাপমাত্রা অনুযায়ী ফুল ফোটায়। শরৎকালে দিনের দৈর্ঘ্য কমতে শুরু করে, যা কাশগাছকে সংকেত দেয় যে এখন প্রজননের উপযুক্ত সময়।”
অর্থাৎ শরৎকাল কাশফুলের বংশবিস্তার করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। কারণ এই সময় বাতাস শুকনো থাকে, ফলে ফুলের রেণু বা পরাগ সহজে বাতাসে ভেসে দূরে যেতে পারে। বৃষ্টির মৌসুমে হলে পরাগগুলো ধুয়ে যেত, আর শীতকালে ঠান্ডা বেশি হয়ে গেলে গাছের বৃদ্ধি মন্থর হয়ে যেত। তাই শরৎকাল কাশগাছের জন্য সেরা মৌসুম।
শুধু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নয়, কাশফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির সংস্কৃতি আর মননও। শরৎ মানেই দূর্গাপূজা, মানেই সাদা কাশফুলের সারি। অনেকে বলেন, মা দুর্গা যখন কৈলাশ থেকে পৃথিবীতে আসেন, তখন পথের ধারে কাশফুল দোল খেতে থাকে। সেই দৃশ্যই মানুষ আজও মনে গেঁথে রেখেছে। শরতের নীল আকাশ, ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ আর কাশফুলের শুভ্রতা একসাথে মিলে যেন উৎসবের আবহ তৈরি করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য গবেষক দেবাশিস ভট্টাচার্য এক প্রবন্ধে লিখেছেন—
“বাংলার মানুষ শরৎকালকে যতটা কাশফুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে, ততটা অন্য কোনো ফুলের সঙ্গে নয়। কাশফুল শুধু ফুল নয়, এটি ঋতুর পরিচয়, মনের প্রতীক।”
তবে কাশফুল কেবল সৌন্দর্যের জন্যই নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কাশগাছ মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখে। বিশেষ করে নদীর তীরভূমি যেখানে ভাঙনের আশঙ্কা থাকে, সেখানে কাশগাছ ভাঙন ঠেকাতে সাহায্য করে। আবার কাশগাছ স্থানীয় পাখি, প্রজাপতি, এমনকি অনেক ছোট প্রাণীর আশ্রয়স্থল। শরৎকালে যখন ফুল ফোটে, তখন শুধু মানুষের চোখই নয়, প্রকৃতির অন্য প্রাণীরাও সেই ফুলের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে।
কাশফুলের বৈশিষ্ট্য হলো, এর ফুলগুলো তুলার মতো হালকা এবং লম্বা। বাতাসে ভেসে তারা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নতুন জায়গায় কাশগাছ জন্মাতে পারে। এভাবেই শরৎকালের শুকনো হাওয়া কাশফুলের বংশবিস্তারকে সহজ করে তোলে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বলেন, যদি বর্ষার ভিজে হাওয়ায় বা শীতের ঠান্ডায় এই ফুল ছড়াতে যেত, তাহলে সফল হতো না। প্রকৃতি তাই শরৎকালকেই বেছে নিয়েছে কাশফুলের জন্য।
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদতত্ত্বের অধ্যাপক ইয়াসুহিরো মাতসুদা কাশফুল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বলেছেন—
“কাশগাছ হলো এমন এক উদ্ভিদ, যে পরিবেশের পরিবর্তনকে খুব সূক্ষ্মভাবে টের পায়। শরতের আর্দ্রতা আর আলো তার ফুল ফোটার জন্য এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।”
এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, কাশফুল আসলে প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর যোগসূত্রে বাঁধা। ঋতুর পরিবর্তনই তাকে সংকেত দেয়, কবে সে ফুল ফোটাবে।
কাশফুল নিয়ে সাহিত্যেও অনেক উল্লেখ আছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে শরৎকালের কাশফুল বারবার ফিরে এসেছে। কারণ এটি শুধু একটি ঘাসের ফুল নয়, বরং বাংলার মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দুলতে থাকা কাশফুল দেখে মানুষ যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে, তেমনি ভেতরের দুঃখ-সুখের কথাও মনে করে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শহর ও গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গা থেকে কাশফুল হারিয়ে যাচ্ছে। নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে, পতিত জমি কমে আসছে। ফলে কাশগাছের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। একসময় যেখানে শরৎ এলেই গ্রামবাংলা সাদা কাশফুলে ভরে যেত, এখন সেখানে কেবল কিছু জায়গাতেই দেখা মেলে। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিবেশের এই পরিবর্তন যদি চলতে থাকে, তবে কাশফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয়তো একদিন বিরল হয়ে পড়বে।
তবুও যতদিন শরৎ থাকবে, ততদিন কাশফুল বাংলার প্রকৃতিকে সাজিয়ে যাবে। গ্রীষ্মের তাপ আর বর্ষার বৃষ্টির পর যখন নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়, তখন নদীর ধারে, খালের পাড়ে দুলতে থাকা কাশফুল দেখে মানুষের মনে শান্তি আসে। কাশফুল তাই শুধু একটি ফুল নয়, এটি বাংলার শরৎকালের প্রতীক।
সবশেষে বলা যায়, শরৎকালে কাশফুল ফোটার পেছনে যেমন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে, তেমনি আছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাও। একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, দিন-রাতের তাপমাত্রা আর বাতাসের শুকনোভাব কাশগাছকে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে মানুষের মননে এটি আনন্দ আর উৎসবের প্রতীক হয়ে ওঠে। তাই কাশফুলের প্রস্ফুটন মানেই শরতের আগমন, আর শরতের আগমন মানেই বাঙালির জীবনে এক নতুন আনন্দের ঋতু।

বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে শরৎকাল যেন এক নিবিড় বন্ধনে বাঁধা। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ আর বর্ষার নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি শেষে যখন আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে, তখনই বাংলার মাঠ-ঘাট সেজে ওঠে এক অনন্য সৌন্দর্যে। সেই সৌন্দর্যের অন্যতম প্রতীক হলো কাশফুল। নদীর পাড়, খালের ধারে, পতিত জমি কিংবা চরাঞ্চলে যখন একসাথে দোল খায় সাদা কাশফুল, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন নতুন করে সাজতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে—শরৎকালেই কেন কাশফুল ফোটে? অন্য ঋতুতে তো আর দেখা যায় না! এই রহস্যের ভেতরেই আছে বাংলার আবহাওয়া, মাটির ধরন, আর কাশগাছের স্বভাবের এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
কাশগাছ এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ঘাস। এর বৈজ্ঞানিক নাম Saccharum spontaneum। এ গাছ সাধারণত নদী, খাল, কিংবা বালুকাময় জমিতে খুব ভালোভাবে জন্মায়। বর্ষার সময় যখন মাটিতে প্রচুর জল জমে যায়, তখন কাশগাছের মূলগুলো মাটির ভেতরে শক্তভাবে গেঁড়ে বসে। বর্ষার অতিরিক্ত জল ও পলিমাটি তার শিকড়কে আরও শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু বর্ষা শেষে শরৎ এলে জল ধীরে ধীরে কমে যায়, তখন কাশগাছ নিজের ফুল ফুটিয়ে দেয়ার উপযুক্ত সময় খুঁজে পায়।
শরৎকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। দিনে থাকে হালকা রোদ, আর রাতে আসে শীতলতা। এই পরিবর্তিত আবহাওয়া কাশগাছের ভেতরে হরমোনের মতো কিছু রাসায়নিক প্রক্রিয়া চালু করে, যা ফুল ফোটার সংকেত দেয়। উদ্ভিদতত্ত্বের গবেষকরা বলেন, প্রতিটি গাছেরই একটা নির্দিষ্ট "ফোটার মৌসুম" থাকে। কাশফুলের জন্য সেই মৌসুম হলো শরৎকাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক ড. নওশিন আরা এই প্রসঙ্গে এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন—
“কাশগাছ আসলে দিনের দৈর্ঘ্য আর আবহাওয়ার তাপমাত্রা অনুযায়ী ফুল ফোটায়। শরৎকালে দিনের দৈর্ঘ্য কমতে শুরু করে, যা কাশগাছকে সংকেত দেয় যে এখন প্রজননের উপযুক্ত সময়।”
অর্থাৎ শরৎকাল কাশফুলের বংশবিস্তার করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। কারণ এই সময় বাতাস শুকনো থাকে, ফলে ফুলের রেণু বা পরাগ সহজে বাতাসে ভেসে দূরে যেতে পারে। বৃষ্টির মৌসুমে হলে পরাগগুলো ধুয়ে যেত, আর শীতকালে ঠান্ডা বেশি হয়ে গেলে গাছের বৃদ্ধি মন্থর হয়ে যেত। তাই শরৎকাল কাশগাছের জন্য সেরা মৌসুম।
শুধু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নয়, কাশফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির সংস্কৃতি আর মননও। শরৎ মানেই দূর্গাপূজা, মানেই সাদা কাশফুলের সারি। অনেকে বলেন, মা দুর্গা যখন কৈলাশ থেকে পৃথিবীতে আসেন, তখন পথের ধারে কাশফুল দোল খেতে থাকে। সেই দৃশ্যই মানুষ আজও মনে গেঁথে রেখেছে। শরতের নীল আকাশ, ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ আর কাশফুলের শুভ্রতা একসাথে মিলে যেন উৎসবের আবহ তৈরি করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য গবেষক দেবাশিস ভট্টাচার্য এক প্রবন্ধে লিখেছেন—
“বাংলার মানুষ শরৎকালকে যতটা কাশফুলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে, ততটা অন্য কোনো ফুলের সঙ্গে নয়। কাশফুল শুধু ফুল নয়, এটি ঋতুর পরিচয়, মনের প্রতীক।”
তবে কাশফুল কেবল সৌন্দর্যের জন্যই নয়, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কাশগাছ মাটিকে শক্ত করে ধরে রাখে। বিশেষ করে নদীর তীরভূমি যেখানে ভাঙনের আশঙ্কা থাকে, সেখানে কাশগাছ ভাঙন ঠেকাতে সাহায্য করে। আবার কাশগাছ স্থানীয় পাখি, প্রজাপতি, এমনকি অনেক ছোট প্রাণীর আশ্রয়স্থল। শরৎকালে যখন ফুল ফোটে, তখন শুধু মানুষের চোখই নয়, প্রকৃতির অন্য প্রাণীরাও সেই ফুলের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে।
কাশফুলের বৈশিষ্ট্য হলো, এর ফুলগুলো তুলার মতো হালকা এবং লম্বা। বাতাসে ভেসে তারা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নতুন জায়গায় কাশগাছ জন্মাতে পারে। এভাবেই শরৎকালের শুকনো হাওয়া কাশফুলের বংশবিস্তারকে সহজ করে তোলে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা বলেন, যদি বর্ষার ভিজে হাওয়ায় বা শীতের ঠান্ডায় এই ফুল ছড়াতে যেত, তাহলে সফল হতো না। প্রকৃতি তাই শরৎকালকেই বেছে নিয়েছে কাশফুলের জন্য।
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদতত্ত্বের অধ্যাপক ইয়াসুহিরো মাতসুদা কাশফুল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বলেছেন—
“কাশগাছ হলো এমন এক উদ্ভিদ, যে পরিবেশের পরিবর্তনকে খুব সূক্ষ্মভাবে টের পায়। শরতের আর্দ্রতা আর আলো তার ফুল ফোটার জন্য এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।”
এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, কাশফুল আসলে প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর যোগসূত্রে বাঁধা। ঋতুর পরিবর্তনই তাকে সংকেত দেয়, কবে সে ফুল ফোটাবে।
কাশফুল নিয়ে সাহিত্যেও অনেক উল্লেখ আছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কিংবা বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে শরৎকালের কাশফুল বারবার ফিরে এসেছে। কারণ এটি শুধু একটি ঘাসের ফুল নয়, বরং বাংলার মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে দুলতে থাকা কাশফুল দেখে মানুষ যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে, তেমনি ভেতরের দুঃখ-সুখের কথাও মনে করে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে শহর ও গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গা থেকে কাশফুল হারিয়ে যাচ্ছে। নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে, পতিত জমি কমে আসছে। ফলে কাশগাছের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। একসময় যেখানে শরৎ এলেই গ্রামবাংলা সাদা কাশফুলে ভরে যেত, এখন সেখানে কেবল কিছু জায়গাতেই দেখা মেলে। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, পরিবেশের এই পরিবর্তন যদি চলতে থাকে, তবে কাশফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয়তো একদিন বিরল হয়ে পড়বে।
তবুও যতদিন শরৎ থাকবে, ততদিন কাশফুল বাংলার প্রকৃতিকে সাজিয়ে যাবে। গ্রীষ্মের তাপ আর বর্ষার বৃষ্টির পর যখন নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়, তখন নদীর ধারে, খালের পাড়ে দুলতে থাকা কাশফুল দেখে মানুষের মনে শান্তি আসে। কাশফুল তাই শুধু একটি ফুল নয়, এটি বাংলার শরৎকালের প্রতীক।
সবশেষে বলা যায়, শরৎকালে কাশফুল ফোটার পেছনে যেমন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে, তেমনি আছে সাংস্কৃতিক ব্যাখ্যাও। একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, দিন-রাতের তাপমাত্রা আর বাতাসের শুকনোভাব কাশগাছকে ফুল ফোটাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে মানুষের মননে এটি আনন্দ আর উৎসবের প্রতীক হয়ে ওঠে। তাই কাশফুলের প্রস্ফুটন মানেই শরতের আগমন, আর শরতের আগমন মানেই বাঙালির জীবনে এক নতুন আনন্দের ঋতু।

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা ও তার মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতে কয়েকদিন ধরে এমন বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতায় উপতদূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে। শিলিগুড়িতে ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি জানায়, তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানো ব্যক্তিদের কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করতে অনুরোধ করা হলো; অভ্যর্থনাকারীরা কোন যানবাহন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
১৪ ঘণ্টা আগে
এ সময় ময়মনসিংহে দীপু হত্যার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, দীপু চন্দ্র দাস হত্যার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং যারা জড়িত ছিলেন, ভিডিও এবং ভিজ্যুয়াল দেখে অন্তত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছি। এ বিষয়ে আজ বুধবার আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার আইনে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য আমরা
১৫ ঘণ্টা আগে
তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রব্বানী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। গুলি নাকি ককটেল এখনও বলা যাচ্ছে না। নিহতের বাড়ি খুলনা। তিনি পাশেই একটা অফিসে কাজ করতেন।
১৬ ঘণ্টা আগে