সকালেও ভাঙা চলছে ৩২ নম্বর বাড়ি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ৩৪

বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া রাজধানীর ৩২ নম্বর ভেঙে দেওয়ার কাজ এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিক নাগাদ এই বাড়ি এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙতে দেখা যায়। সামনের অংশ প্রায় পুরোটাই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এখন পর্যন্ত।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত আটটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে সমবেত হয়। প্রথমে ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারা। পরে বাড়ির বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে ম্যুরাল ভেঙে ফেলে এবং ভবনের দেওয়ালে লাল কালি দিয়ে ‘স্বৈরাচার সাবধান’ লেখে।

ভোরে ফজরের নামাজের পরও জনতার ঢল বাড়তে থাকে। সকালে ক্রেন ও এক্সকাভেটরের সাহায্যে ভবনটির বিভিন্ন অংশ ভাঙা হয়। একই সময় শেখ হাসিনার আরেক বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেওয়া হয়।

ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। রাত দেড়টার দিকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, যারা সহপাঠীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের কোনো চিহ্ন ক্যাম্পাসে রাখা হবে না। একইসঙ্গে বিজয় একাত্তর হল ও অমর একুশে হলের ফলক থেকে শেখ হাসিনার নাম মুছে ফেলা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেই অভ্যুত্থানের ছয় মাস পূর্তিতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টরা ‘বুলডোজার মিছিল’ ও ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেওয়া হয়। রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ব্যাংক এশিয়াতে নিয়োগ, লাগবে কমপক্ষে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা

১ ঘণ্টা আগে

ওয়ান ব্যাংকে কাজের সুযোগ, পদসংখ্যা ৩০

১ ঘণ্টা আগে

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ, পদসংখ্যা ২৮৪

১ ঘণ্টা আগে

দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, সেনাবাহিনী প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান বলেন, দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এ সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। সেনারা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে এত দীর্ঘ সময় মাঠে থাকতে হয়নি, তাই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি দূরত্ব থাকলে তা দূর করতে হবে

১ ঘণ্টা আগে